ছবি: সংগৃহীত
ফিলিপাইনের দক্ষিণ উপকূলে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার (২৮ জুন) মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল দাভাও অক্সিডেন্টাল প্রদেশের উপকূল থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০১ কিলোমিটার গভীরে। তবে ভূমিকম্পটি থেকে সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। তবে সেগুলোর বেশিরভাগই তীব্রতা কম হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয় না।
এর আগে গত ২৪ জুনও দক্ষিণ ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পাকিস্তানে একটি আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত ও দুই ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকরাও রয়েছে। পাকিস্তানি তালেবান এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের বরাত দিয়ে এএফপি শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার একজন সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানান, একজন আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি নিয়ে একটি সামরিক বহরে ধাক্কা দেয়। প্রাথমিকভাবে ১৩ জন নিহত হওয়ার খবর এলেও, পরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়ায়।জেলার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শক্তিশালী বিস্ফোরণের ধাক্কায় দুটি বাড়ির ছাদ ধসে পড়েছে এবং এতে ছয় শিশু আহত হয়েছে।এই হামলার দায় স্বীকার করেছে হাফিজ গুল বাহাদুরের নেতৃত্বাধীন একটি তালেবানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী, যা পাকিস্তানি তালেবানেরই একটি অংশ।২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সহিংসতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ইসলামাবাদ দাবি করে আসছে, এসব হামলা আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত হচ্ছে, যদিও তালেবান প্রশাসন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।এএফপির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ২৯০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইরানের রাজধানী তেহরানের পশ্চিমে এসলামশাহর এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। অঞ্চলটিতে সঙ্গে সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়।ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে ফের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেল তেহরানে।শুক্রবার শেষ রাতে পশ্চিম তেহরানের এসলামশাহর, শাহরিয়ারসহ বিভিন্ন এলাকায় পর পর কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় নিহত ৬০ জন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তির রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে এ ঘটনা ঘটে।ইরান ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে জানা গেছে, তেহরানের ইসলামশহর এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে এবং সেখানকার আকাশে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট গান চালানো হয়। স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের পোস্ট থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলের বিদগানে এলাকাটি সামরিক ঘাঁটি ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনার জন্য পরিচিত। সম্প্রতি ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে একটি রকেট ছোড়া হয়েছে। বাতাসে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করে হুমকি প্রতিহত করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানি শহীদদের জানাজায় অংশ নিতে তেহরানে হাজারো মানুষ শনিবার (২৮ জুন) জড়ো হয়েছেন। শহীদদের মধ্যে ছিলেন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বেসামরিক ও সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত। ইরানের সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।তেহরানের ঐতিহাসিক ইঙ্গেলাব স্কয়ার ও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাস্তাগুলো ছিল শোকাহত মানুষের ভিড়ে পরিপূর্ণ। জাতীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো শহীদদের কফিন বহনের সময় মানুষের চোখে ছিল অশ্রু, হৃদয়ে ছিল শ্রদ্ধা আর কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল ‘আল্লাহু আকবর’ ও ‘শহীদরা অমর’- এমন সব শোকাবহ স্লোগান।জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পর থেকে পুরো এলাকায় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শোকাহত জনগণ শুধু তাদের প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে আসেননি। তারা এসেছিলেন এই বার্তা দিতে- সরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরান একতাবদ্ধ, আর শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না।অনেকেই বলছেন, শহীদদের আত্মত্যাগ দেশের জন্য গৌরবের এবং এই ত্যাগ ইরানিদের মাঝে আরও সাহস ও প্রতিরোধের শক্তি জোগাবে। জানাজা শেষে শহীদদের মরদেহ বিভিন্ন শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাদের নিজ নিজ এলাকায় দাফনের জন্য।গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় সরাসরি আক্রমণ চালায়। টানা ১২ দিন চলা এ আগ্রাসনের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় তেহরান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অধীন এয়ারোস্পেস ফোর্স ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’র আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে।এই পাল্টা হামলায় অধিকৃত ফিলিস্তিনের একাধিক শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুতর ফাঁক স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ব্লুমবার্গ-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ইসরায়েল শুধু নিরাপত্তাহীনতাই নয়, বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখেও পড়ে।এরই মধ্যে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায়- নাতানজ, ফোরদো এবং ইসফাহানে বিমান হামলা চালায়। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়ে এবং উত্তেজনার মাত্রা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফিলিপাইনের দক্ষিণ উপকূলে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।শনিবার (২৮ জুন) মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল দাভাও অক্সিডেন্টাল প্রদেশের উপকূল থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০১ কিলোমিটার গভীরে। তবে ভূমিকম্পটি থেকে সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। তবে সেগুলোর বেশিরভাগই তীব্রতা কম হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয় না।এর আগে গত ২৪ জুনও দক্ষিণ ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। ভোরের আকাশ/এসএইচ