আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫ ০২:০৪ এএম
ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ ঘোষণা
পাকিস্তান সরকার সোমবার (১৩ জুন) ইরানের সঙ্গে দেশের সব সীমান্ত ক্রসিং অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।
বেলুচিস্তানের পাঁচটি জেলা - চাগাই, ওয়াশুক, পাঞ্জগুর, কেচ ও গাদার — যেখানে ইরানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে, সেখানকার সব সীমান্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাদেশিক কর্মকর্তা কাদির বখশ পিরকানি।
চাগাই জেলার সীমান্ত কর্মকর্তা আতাউল মুনিম জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পাকিস্তানি নাগরিকরা ইরানে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ইরান থেকে পাকিস্তানে ফেরত আসার সুযোগ থাকবে। বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি।
মুনিম আরও জানান, সোমবার (১৬ জুন) ইরান থেকে প্রায় ২০০ জন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, ইরান ও ইরাক থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫০ জন পাকিস্তানি হজযাত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং আরও ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। উল্লেখ্য, ইরান ও ইরাক শিয়া মুসলিমদের পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত।
গত শুক্রবার পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়। ইসলামাবাদ ও তেহরান উভয়ই ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
সোমবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সতর্ক করেছেন, ইসরায়েলের পারমাণবিক শক্তি নিয়ে বিশ্বকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, “ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মকাণ্ডে কোনো শৃঙ্খলা নেই।”
পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা এবং সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
বর্তমানে পাকিস্তান-ইরানের বাণিজ্যিক পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার, যা আগামী কয়েক বছরে এক হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
ভোরের আকাশ//হ.র