নাইজেরিয়ায় ডাকাতদের অতর্কিত হামলায় নিহত অন্তত ৭০
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলের প্লাতিউ রাজ্যে সশস্ত্র ডাকাতদের হামলায় অন্তত ৭০ জন নিরাপত্তা স্বেচ্ছাসেবী প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরের দিকে কানাম জেলার কুকাওয়া ও বুনিউন এলাকায় এ ভয়াবহ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী নেতা আলিউ বাফা জানান, মাদাম ফরেস্ট নামক একটি জঙ্গলে অভিযান চালাতে যাচ্ছিলেন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী। এই বনটি ডাকাতদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। অভিযানের পথেই সশস্ত্র ডাকাতরা অতর্কিতে হামলা চালায়, যাতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।
তিনি আরও জানান, কেবল কুকাওয়া এলাকাতেই অন্তত ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবীর মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এছাড়া আশেপাশের এলাকায় আরও মরদেহ পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
বুনিউন গ্রামের বাসিন্দা মুসা ইব্রাহিম বলেন, হামলার সময় ডাকাতরা আরও ১০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে হত্যা করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সম্প্রতি নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র ও সশস্ত্র মিলিশিয়াদের সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। শুধু ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই দেশটিতে ২,২০০-এর বেশি মানুষ এসব সহিংস হামলায় নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে।
প্লাতিউ রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলের প্লাতিউ রাজ্যে সশস্ত্র ডাকাতদের হামলায় অন্তত ৭০ জন নিরাপত্তা স্বেচ্ছাসেবী প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরের দিকে কানাম জেলার কুকাওয়া ও বুনিউন এলাকায় এ ভয়াবহ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা।স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী নেতা আলিউ বাফা জানান, মাদাম ফরেস্ট নামক একটি জঙ্গলে অভিযান চালাতে যাচ্ছিলেন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী। এই বনটি ডাকাতদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। অভিযানের পথেই সশস্ত্র ডাকাতরা অতর্কিতে হামলা চালায়, যাতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।তিনি আরও জানান, কেবল কুকাওয়া এলাকাতেই অন্তত ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবীর মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এছাড়া আশেপাশের এলাকায় আরও মরদেহ পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।বুনিউন গ্রামের বাসিন্দা মুসা ইব্রাহিম বলেন, হামলার সময় ডাকাতরা আরও ১০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে হত্যা করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।সম্প্রতি নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র ও সশস্ত্র মিলিশিয়াদের সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। শুধু ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই দেশটিতে ২,২০০-এর বেশি মানুষ এসব সহিংস হামলায় নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে।প্লাতিউ রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ভোরের আকাশ/হ.র
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিন্ডা ইয়াকারিনো হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (৯ জুলাই) তার এই সিদ্ধান্তের খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।হঠাৎ করেই এমন পদত্যাগের খবরে প্রযুক্তি ও ব্যবসা জগতে শুরু হয়েছে আলোচনা। যদিও ইয়াকারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে তার সিদ্ধান্তের কোনো কারণ জানাননি, তবু সাম্প্রতিক কিছু প্রেক্ষাপট এতে প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।সাম্প্রতিক সময়ে ‘এক্স’-এর মালিক ইলন মাস্ক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন। এ ছাড়া টেসলার বিক্রিবাটাও নিম্নমুখী, যা মাস্কের ব্যবসায়িক পরিসরে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। ঠিক এই সময়েই ইয়াকারিনোর পদত্যাগকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন অনেকে।২০২৩ সালে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে সেটির নাম পরিবর্তন করে ‘এক্স’ করেন ইলন মাস্ক। এরপর প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্বে আনা হয় অভিজ্ঞ মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ লিন্ডা ইয়াকারিনোকে, যিনি এর আগে এনবিসি ইউনিভার্সালে বিজ্ঞাপন খাতে আধুনিকায়নের কাজ করেছেন।সিইও পদে দায়িত্ব পালনের সময় ইয়াকারিনোকে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। ইলন মাস্কের বিতর্কিত মন্তব্য, বিশেষ করে ইহুদি-বিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য, বিজ্ঞাপনদাতাদের সরে যাওয়া এবং সেই সূত্রে বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়গুলো তাকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে।চলতি বছরের মার্চে মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক কোম্পানি xAI পুরো এক্স প্ল্যাটফর্মকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারে অল-স্টক চুক্তিতে অধিগ্রহণ করে, যা আরও আলোচনার জন্ম দেয়।এখন ইয়াকারিনোর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে এবং কে হবেন ‘এক্স’-এর নতুন সিইও—সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে প্রযুক্তি বিশ্ব। ভোরের আকাশ/হ.র
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় ‘অবৈধ অভিবাসী’ সন্দেহে অন্তত ৪৪৮ জনকে আটক করেছে রাজ্য পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) রাত থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে এই অভিযান চালানো হয়। আটকদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।বুধবার (৯ জুলাই) ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, ওড়িশার ঝাড়সুগুদা জেলায় ৪৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে, যাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন। এছাড়া জগৎসিংহপুর জেলা থেকেও আরও ৪ জন বাংলাদেশি সন্দেহে আটক হন।আটকরা রাজ্যের বিভিন্ন কারখানা, খনি, নির্মাণ ও রঙের কাজে নিযুক্ত ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। এখন তাদের নথিপত্র যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।ওড়িশা পুলিশের উত্তরাঞ্চলীয় আইজি হিমাংশু কুমার লাল জানান, “সন্দেহভাজনদের একটি নির্দিষ্ট আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে এবং পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া চলছে।”জেলা পুলিশ জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রাজ্যে ‘অবৈধ বিদেশি’ শনাক্তে বিশেষ টাস্কফোর্স (STF) গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের সমন্বয়ে এই অভিযান চালানো হয়।এর আগে গত ২৯ জুন কেন্দ্রপাড়া জেলায়ও ১৮ জন বাংলাদেশিকে শনাক্ত করে পুলিশ। তাদের আটক করে সংশ্লিষ্ট আটককেন্দ্রে পাঠানো হয়।ওড়িশা বিধানসভায় গত মার্চে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জানান, রাজ্যে ৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রপাড়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি এবং জগৎসিংহপুর, মালকানগিরি, ভাদ্রাক ও নবরংপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করছেন বলে তথ্য উঠে আসে। ভোরের আকাশ/হ.র
ভারতের গুজরাট রাজ্যে ভারী বর্ষণের কারণে একটি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে আনন্দ ও বরোদা জেলার সংযোগকারী গম্ভীরা ব্রিজ ধসে পড়ে, যেখানে যানবাহনসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি মহীসাগর নদীতে পড়ে যায়।স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, দুর্ঘটনার সময় দুটি ট্রাক ও দুটি পিকআপ ভ্যানসহ আরও কিছু যান নদীতে তলিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে নামে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো। এখনো চলছে উদ্ধার কার্যক্রম।সেতু ধসে যাওয়ার কারণে আনন্দ, বরোদা, ভারুচ ও অঙ্কালেশ্বরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিকল্প রুট নির্ধারণে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।দুর্ঘটনার পর রাজ্য সরকারের অবকাঠামোগত প্রস্তুতির প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নাগরিক সমাজের অনেকে বলছেন, সম্প্রতি মোরবি সেতু দুর্ঘটনার ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই আরও একটি বড় ধস ঘটায় রাজ্য সরকারের সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।সমালোচকরা বলছেন, বিজেপির ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে অবকাঠামোর অবস্থা দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। গুজরাটকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে তুলে ধরলেও, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সেতু ধস ও রাস্তা ভাঙনের মতো ঘটনা সে দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।প্রতিবাদকারীরা উল্লেখ করেন, বিজেপি যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের একটি সেতু দুর্ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছিল, সেভাবে নিজেদের রাজ্যে একের পর এক সেতু বিপর্যয়ের দায় এড়ানো উচিত নয়। ভোরের আকাশ/হ.র