যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২১ মে) ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল জিউইশ জাদুঘরের বাইরে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ মে) আলজাজিরা, বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নয়েম বলেছেন, ‘জাদুঘরের কাছে এক হামলায় কর্মীদের ‘অর্থহীনভাবে (সেন্সলেসলি) হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সক্রিয়ভাবে তদন্ত করছি এবং আরও তথ্য শেয়ার করার জন্য কাজ করছি।’ ক্রিস্টি নয়েম আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করুন। আমরা এই বিকৃত অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনব।’
জাদুঘরটিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা আমেরিকান ইহুদি কমিটি জানিয়েছে, অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে একটি অকথ্য সহিংসতা ঘটেছে বলে তারা বিধ্বস্ত।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এই মুহূর্তে, ঠিক কী ঘটেছে সে সম্পর্কে পুলিশের কাছ থেকে আরও তথ্যের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এখন আমাদের মনোযোগ ও মন ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারের প্রতি।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং ঘটনার বিস্তারিত জানতে কাজ করছেন।
ওয়াশিংটনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত হামলার উদ্দেশ্য বা হামলাকারীর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় একদিনে অন্তত আরও ৯৩ জন নিহতসহ একই সময়ে আহত হয়েছেন আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনি। এতে গাজা উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৫৪ হাজারে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বুধবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯৩ জন নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে। এছাড়া বুধবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবির পরিদর্শনকারী বিদেশি কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালানোর ঘটনায় আন্তর্জাতিক নিন্দা বাড়ছে।পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫৩ হাজার ৬৫৫ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৮২ জন, আহত হয়েছেন আরও ২৬২ জন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৯৫০ জনে।মন্ত্রণালয় জানায়, এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকে আছেন, কিন্তু উদ্ধারকারী দলগুলো পৌঁছাতে পারছে না। ফলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।গত জানুয়ারিতে হামাসের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হলেও মার্চে তা ভেঙে দিয়ে ইসরায়েল আবারও গাজায় পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েল স্থল অভিযান আরও বিস্তৃত করেছে এবং বোমা হামলার মাত্রাও বাড়িয়েছে।এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২১ মে) ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল জিউইশ জাদুঘরের বাইরে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ মে) আলজাজিরা, বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নয়েম বলেছেন, ‘জাদুঘরের কাছে এক হামলায় কর্মীদের ‘অর্থহীনভাবে (সেন্সলেসলি) হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সক্রিয়ভাবে তদন্ত করছি এবং আরও তথ্য শেয়ার করার জন্য কাজ করছি।’ ক্রিস্টি নয়েম আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করুন। আমরা এই বিকৃত অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনব।’জাদুঘরটিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা আমেরিকান ইহুদি কমিটি জানিয়েছে, অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে একটি অকথ্য সহিংসতা ঘটেছে বলে তারা বিধ্বস্ত।সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এই মুহূর্তে, ঠিক কী ঘটেছে সে সম্পর্কে পুলিশের কাছ থেকে আরও তথ্যের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এখন আমাদের মনোযোগ ও মন ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারের প্রতি।মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং ঘটনার বিস্তারিত জানতে কাজ করছেন।ওয়াশিংটনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত হামলার উদ্দেশ্য বা হামলাকারীর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।ভোরের আকাশ/আজাসা
অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেনিন শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করতে গিয়ে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর গুলির মুখে পড়েন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব এবং এশিয়ার একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য দেশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আল জাজিরা এ তথ্য প্রকাশ করেছে।প্রতিনিধি দলটি বুধবার (২১ মে) আনুষ্ঠানিক সফরে জেনিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভয়াবহ হামলার মধ্যে মানবিক পরিস্থিতি দেখার জন্য গিয়েছিলেন। গত চার মাস ধরে সেখানে মৃত্যু এবং বাস্তুচ্যুতের ঘটনা ঘটছে।ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রতিনিধি দলটিকে লক্ষ্য করে সতর্কবার্তা হিসেবে গুলি ছুড়েছে। কারণ তাদের যে পথে যাওয়ার কথা ছিল সে পথে না গিয়ে অন্য পথে যাওয়ায় এটি করা হয়। আর ওই পথে তাদের প্রবেশে অনমুতি ছিল না। তবে এতে কোনো আহতের ঘটনা ঘটেনি।বিবৃতিতে ইসরায়েল সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সিভিল প্রশাসনের কমান্ডার সেনাবাহিনীর অফিসারদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। কী কারণে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে তার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।পশ্চিম তীর ও ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জর্ডানের আম্মান থেকে সংবাদিক হামদা জানিয়েছেন, এ ঘটনার মাধ্যমে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে পশ্চিম তীরে যে কেউ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার হতে পারে।তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের এই অঞ্চলটি পুরোপুরিভাবে ইসরায়েল দেখল করে নিয়েছে। বসবাসকারী ১০ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোড়পূর্বক তাদের বাড়িঘর ছাড়া করা হয়েছে এবং জেনিনে সামরিক অভিযান চলছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রতিনিধি দলটি যখন মিডিয়াতে সাক্ষাতকার দিচ্ছিলেন তখনই গুলির শব্দ শোনা যায়, এরপরই তারা দৌড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেন। আল-জাজিরার সানাদ ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা এই ভিডিও সত্যতা যাচাই করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রতিনিধি দলের দিকে দুই ইসরায়েলি সেনা বন্দুক তাক করে আছে।নাম না প্রকাশের শর্তে একজন ত্রাণ কর্মকর্তা এপিকে বলেছেন, ওই সময়ে ২০ জন কূটনীতি জেনিনের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কেন গুলি করা হয়েছে সেটি অজানা, তবে এতে কেউ আহত হয়নি।ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এ ধরনের সংগঠিত অপরাধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয়। ভয়াবহ ঝড়ের কবলে ভারতের উড়োজাহাজ, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন দুই শতাধিক আরোহীএ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইউরোপ ও আরব সরকার এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা এর কারণ জানতে চেয়েছেন।ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন নোয়েল ব্যারোট বলেছেন, প্রতিনিধি দলের ওপর গুলির ঘটনায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। এক্স পোস্টে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য এবং রাষ্ট্রদূতকে এর জবাব দিতে হবে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র পলিসি প্রধান কাজা কালাস বলেন, গুলি করে সতর্ক করাও অগ্রহণযোগ্য। এ ঘটনার একদিন আগে তিনি বলেছিলেন, গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি ২৭ দেশ বিবেচনা করছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
শীর্ষস্থানীয় একজন বিরোধী বিরোধীদলীয় নেতা এক সাক্ষাৎকারে নিজ দেশকে ‘অসভ্য রাষ্ট্র’ বলাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের সদস্যদের মধ্যেও এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।ওই নেতা বলেছেন, তার দেশ একটি অসভ্য রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে কারণ এখানে শখ মেটানোর মতো হত্যা করা হচ্ছে শিশুদের। প্রতিবেদনে বলা হয়, বামপন্থী এবং বিরোধী ডেমোক্র্যাটস পার্টির প্রধান ইয়ার গোলান ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা যদি একটি সুস্থ দেশের মতো আচরণ করতে ফিরে না আসি, তাহলে ইসরায়েল দক্ষিণ আফ্রিকার মতো একটি রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে।’তিনি আরও বলেন, ‘একটি সুস্থ দেশ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে না, শখের জন্য শিশুদের হত্যা করে না এবং জনসংখ্যাকে বিতাড়িত করার লক্ষ্য রাখে না। এই সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যক্তিত্বে পরিপূর্ণ যাদের কোনও নীতিবোধ নেই এবং সংকটের সময়ে দেশ চালানোর ক্ষমতা নেই। এটি আমাদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে।’গোলানের এই অভূতপূর্ব বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের সদস্যদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। নেতানিয়াহু গোলানের বক্তব্যকে ‘রক্তপাতের অপবাদ’ এবং ‘বন্য উসকানি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের বীর সৈন্যদের এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইয়ার গোলানের উসকানির তীব্র নিন্দা জানাই।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে নীতিবান সেনাবাহিনী।’গোলানের দেয়া বক্তব্যের জেরে উগ্র ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেছেন, ‘গোলান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইহুদি-বিরোধী রক্তপাতের অপবাদ ছড়াচ্ছেন। তিনি হামাসের একজন মুখপাত্র থেকে তার বক্তব্য নিয়েছেন।’এছাড়া যোগাযোগ মন্ত্রী শ্লোমো কারহি গোলানকে ‘একজন সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেছেন। ইসরায়েলি বিরোধী নেতার মন্তব্য চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠী এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিরোধিতাকারী ইসরায়েলিদের ক্রমবর্ধমান বক্তৃতার মধ্যে এসেছে।দখলকৃত পশ্চিম তীরের একটি বসতিতে বসবাসকারী অবৈধ বসতি স্থাপনকারী রিভকা লাফেয়ারের মন্তব্য উদ্ধৃত করে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দৈনিক হারেটজ বলেছে, এই ব্যক্তি গাজার ২৪ লাখ জনসংখ্যাকে ধ্বংস এবং বহিষ্কার করার বিষয়ে প্রকাশ্যে তার শ্রোতাদের কাছে বক্তব্য রাখেন।ভোরের আকাশ/আজাসা