সংগৃহীত ছবি
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অর্থনৈতিক খাতের যেসব নীতিমালা ও আইন কোনো কাজে আসছে না সেগুলো পরিবর্তন করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথ বের করতে হবে। বুধবার (৩০ জুলাই) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের প্রস্তুতিবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আগামী দুই মাসের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য করণীয় নিয়ে পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নিজেদের স্বার্থে, নিজেদের অর্থনীতির স্বার্থে এই কাজগুলো করে যেতে হবে। যেসব নীতিমালা-আইন কোনো কাজে আসছে না সেগুলো পরিবর্তন করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথ বের করতে হবে। এগুলো মৌলিক বিষয়। নিজেদের উত্তরণের জন্যই এ কাজগুলো আমাদের করে যেতে হবে। এ ছাড়া চামড়া শিল্পের সংকট সমাধানে করণীয় সম্পর্কিত একটি পৃথক বৈঠক আয়োজনের জন্য নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের চামড়া শিল্পের ব্যাপারে আমরা অপরাধ করেছি, এটার সঠিক মূল্যায়ন করিনি। এই শিল্প দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ১৬টি সিদ্ধান্তের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চারটি, শিল্প মন্ত্রণালয় তিনটি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ দুটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান জানান, এনবিআর ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো-এর পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। ইতোমধ্যে ১৯টি সংস্থা যুক্ত হয়েছে। আরও সংস্থাকে যুক্ত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, ট্যারিফ পলিসি ২০২৩-এর বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।
সভায় তৈরি পোশাক শিল্পের ন্যায় অন্যান্য রপ্তানি খাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও প্রণোদনা প্রদান এবং ম্যান মেইড ফাইবার সম্পর্কিত কাঁচামাল ও এ শিল্পের মেশিনারিজ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সাভারে অবস্থিত ট্যানারি ভিলেজে স্থাপিত ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) পূর্ণমাত্রায় চালু করা, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাস্তবায়নাধীন এপিআই পার্ক পূর্ণমাত্রায় চালু করা ও ২০২২ সালে প্রণীত শিল্প নীতি হালনাগাদকরণে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতসহ ২৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। তবে ১১টি দল নির্ধারিত সময়েও কোনো সাড়া দেয়নি। আর সিপিবিসহ ১০টি দল সময় চেয়ে আবেদন করেছে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে পঞ্জিকা বছরের নিরীক্ষিত আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমানে ইসির তালিকাভুক্ত নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি।ইসির জনসংযোগ কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, “আজকের মধ্যে ২৯টি দল তাদের অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ১০টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। তবে ১১টি দল নির্ধারিত সময়েও কোনো প্রতিবেদন দেয়নি।” এসব আবেদন ও অনিয়ম পরবর্তী কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে এবং সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।আইন অনুযায়ী, কোনো দল যদি পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই দলের নিবন্ধন বাতিলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটেই ১১টি দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।আদালতের সাম্প্রতিক রায়ের মাধ্যমে নিবন্ধন পুনর্বহাল হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীকেও এবার অডিট রিপোর্ট জমা দিতে হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় দলটির জন্য এই বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হয়নি।উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, দলগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতিবছর নিরীক্ষিত আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।ভোরের আকাশ//র.ন
জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত পুলিশ বিভাগের সদস্যদের জন্য মাসিক ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ২৮ জুলাই (সোমবার) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চার ক্যাটাগরির পদের জন্য চাকরির বয়স অনুযায়ী ৫টি ধাপে মাসিক ভাতার হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ হচ্ছে যথাক্রমে ১ হাজার ৮০০ টাকা ও ৬ হাজার ৪৮০ টাকা।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঘোষণাকৃত এ মাসিক ঝুঁকি ভাতা অর্থ বিভাগ থেকে চাকরি (বাংলাদেশ পুলিশ) (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০১৫-এর অনুচ্ছেদ-২৬ সংশোধনসংক্রান্ত এসআরও জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেল (নবম বেতন স্কেল)-এ ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকবে।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কনস্টেবল পদে চাকরির শুরু থেকে ৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ১ হাজার ৮০০ টাকা; ৫+ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ১৬০ টাকা; ১০+ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ৬৪০ টাকা; ১৫+ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার টাকা এবং চাকরির বয়স ২০+ থেকে তদূর্ধ্ব হলে মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ৩ হাজার ৬০০ টাকা।নায়েক পদে পদে চাকরির শুরু থেকে ৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ২ হাজার ৪০ টাকা; ৫+ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ টাকা; ১০+ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ৮৮০ টাকা; ১৫+ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৮০ টাকা এবং চাকরির বয়স ২০+ থেকে তদূর্ধ্ব হলে মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ৪ হাজার ৮০ টাকা।এএসআই (সশস্ত্র/নিরস্ত্র) গ্রেড-১৪ পদে চাকরির শুরু থেকে ৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ২ হাজার ১৬০ টাকা; ৫+ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ৬৪০ টাকা; ১০+ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার ২৪০ টাকা; ১৫+ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৪০ টাকা এবং চাকরির বয়স ২০+ থেকে তদূর্ধ্ব হলে মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ৪ হাজার ৫৬০ টাকা।এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই (গ্রেড-১০) পদে চাকরির শুরু থেকে ৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ৩ হাজার ২৪০ টাকা; ৫+ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৪০ টাকা; ১০+ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৬০ টাকা; ১৫+ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ৫ হাজার ৪০০ টাকা এবং চাকরির বয়স ২০+ থেকে তদূর্ধ্ব হলে মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ৬ হাজার ৪৮০ টাকা।ভোরের আকাশ/জাআ
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল বলেন, থানায় এসে কেউ যেন অপমানিত না হয়, থানার দরজা যেন মানুষের জন্য খোলা থাকে। থানার পরিবেশ যেন হয় সাহচর্যের, আতঙ্কের নয়। থানাই হোক ন্যায় বিচারের প্রথম ঠিকানা।আইজিপি বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে থানায় হয়রানিমুক্ত ও আইনগত সার্ভিস ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে জনআস্থা পুনরুদ্ধারে পুলিশের করণীয় শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, আমাদের পেছনের পথ ছিল অনেক ভুল সিদ্ধান্তের ফলাফল। আমরা মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি, আমাদের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আমরা যেন হয়রানিমুক্ত সেবা দেই। থানায় অভিযোগ করতে এসে কেউ যেন অপমানিত না হয়, থানার দরজা যেন মানুষের জন্য খোলা থাকে। আমাদের আচরণ যেন মানবিক হয় এবং আমরা যেন জনমুখী সেবা দিতে পারি।পুলিশ প্রধান বলেন, জুলাই বিপ্লব কেবল একটি ঘটনা প্রবাহ নয়। এটি ছিল ন্যায়, মানবতা ও দায়িত্ববোধের এক জাগরণ। এ জাগরণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সেবাই আমাদের প্রকৃত পরিচয়, জনগণই ক্ষমতার উৎস।বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজের ভারপ্রাপ্ত রেক্টর এস এম রোকন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ (ট্রেনিং) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামাল, ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।কর্মশালায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৫৯ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।ভোরের আকাশ/জাআ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট। এ সদস্যরা মনোনীত হবেন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর), অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনে দলগুলো যে ভোট পাবে, তার ভিত্তিতে দলগুলোর মধ্যে এসব আসন বণ্টন করা হবে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত আসে।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর কমিশন এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। তবে এ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দল ও জোটগুলো। তারা বলেছে, উচ্চকক্ষে সদস্য মনোনীত হতে হবে জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের আলোচনা চলছে। আজই আলোচনার সমাপ্তি টানতে চান বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন।আলোচনার শুরুতে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আজকের মধ্যেই আলোচনা পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে ও যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।আগের ধারাবাহিকতায় আজকেও সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য কীভাবে মনোনীত হবেন, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো এ প্রস্তাব সমর্থন করে। অপর দিকে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো বিরোধিতা করে। সে সময়ও তারা সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দের দাবি জানায়।আলোচনায় দলগুলোর ভিন্নমত থাকায় এক পর্যায়ে বিষয়টি কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর ঐকমত্য কমিশন ভোটের সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের সদস্য মনোনীত করার সিদ্ধান্ত জানায়।কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের নিজস্ব কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। তবে, অর্থবিল ব্যতীত অন্য সব বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ উভয় কক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না। এক মাসের বেশি বিল আটকে রাখলে সেটিকে উচ্চকক্ষের অনুমোদিত বলে গণ্য করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ