আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫ ১২:৩৭ এএম
দুই ঘণ্টার ফোনালাপে পুতিন-ট্রাম্প, যুদ্ধবিরতির আশায় তাকিয়ে বিশ্ব
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে এবার সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি দুই দেশের নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছেন যুদ্ধ বন্ধে।
এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার (১৯ মে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপ করেন ট্রাম্প। আলোচিত এই ফোনালাপ ঘিরে এখন প্রশ্ন— যুদ্ধ কি তবে থামবে?
ফোনালাপের বিষয়টি আগেই জানিয়েছিলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। পরে হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করে জানায়, ট্রাম্প ওয়াশিংটন থেকে এবং পুতিন রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত সোচি থেকে আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ ও সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর শান্তি আলোচনায় প্রস্তুতির কথা জানান পুতিন। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। এর জন্য সবচেয়ে কার্যকর পথ নির্ধারণ করতে হবে।’
ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের ঠিক একদিন আগেই তুরস্কের ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল সরাসরি বৈঠকে বসে। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর এটি ছিল তাদের মধ্যে প্রথম সম্মুখ আলোচনা। যদিও যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সেদিন কোনো অগ্রগতি হয়নি, তবে দুই পক্ষই প্রায় ১ হাজার বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়।
ফোনালাপের আগে ট্রাম্প কাতারে সফরের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “আমি ও পুতিন একসঙ্গে না বসলে কিছুই সম্ভব নয়।” এরপর থেকেই এই ফোনালাপ ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আশার সঞ্চার হয়।
তবে যুদ্ধবিরতির পথে এখনো জটিলতা রয়ে গেছে। ইউক্রেন ৩০ দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতি চাইলেও, রাশিয়ার উদ্বেগ— ইউক্রেন এই সময়টিকে সামরিক প্রস্তুতি ও অস্ত্র মজুতে কাজে লাগাতে পারে।
অন্যদিকে, রাশিয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানায়, যা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কোনোভাবেই মেনে নিতে রাজি নন।
ওয়াশিংটন থেকে জানানো হয়েছে, যদি আলোচনায় অগ্রগতি না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। এমনকি যুদ্ধ থামানোর কূটনৈতিক চেষ্টা ব্যর্থ হলে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে এই সংঘাত থেকে সরিয়ে নিতেও বাধ্য হতে পারে, বলছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ভোরের আকাশ//হ.র