আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫ ০২:০০ এএম
চীন-পাকিস্তানের নতুন আঞ্চলিক জোটে বাংলাদেশও যুক্ত থাকার দাবি পাকিস্তানি মিডিয়ার
নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের পরিকল্পনায় একসঙ্গে কাজ করছে পাকিস্তান ও চীন। সম্ভাব্য এই জোটটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জোট গঠনে বাংলাদেশও যুক্ত রয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তান ও চীন এখন একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করে আঞ্চলিক সংহতি বাড়ানো।
সম্প্রতি চীনের কুনমিং শহরে পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ছিল এই উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ছিল তিন দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের প্রথম বৈঠক, যা ভারতের নজরে এসেছে এবং কিছু উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল সার্কের অন্যান্য সদস্য দেশগুলোকে এই নতুন জোটে আমন্ত্রণ জানানো।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতকে এই নতুন জোটে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে, তবে দেশটির পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া আসার সম্ভাবনা কম। কারণ ভারতের আঞ্চলিক নীতি ও স্বার্থ অন্যান্য দেশ থেকে ভিন্ন। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান এই জোটের অংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী আঞ্চলিক সংস্থা সার্ক দীর্ঘদিন ধরেই সংকটে রয়েছে। সাম্প্রতিক দশ বছরে এর কার্যক্রম প্রায় স্থবির, ২০১৬ সালের পর থেকে কোনো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। পাকিস্তান তখন সম্মেলন আয়োজনের আগ্রহ দেখালেও ভারত ও বাংলাদেশের অনুপস্থিতিতে সাফল্য পায়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন এই জোট বাণিজ্য ও আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বৃহত্তর আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হবে। এছাড়া মতাদর্শগত মিল রয়েছে এমন দেশগুলোকে একত্রিত করাও পরিকল্পনার অংশ।
অন্যদিকে, ভারত সাম্প্রতিক সময়ে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) থেকেও অনেকটা দূরে সরে এসেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেষ দুটি এসসিও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেননি। এসসিও-র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো। অনেকেই এই জোটকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেন, যেখানে ভারতের নীতি ও অবস্থান পার্থক্যের কারণে যোগদান সীমিত।
নতুন এই জোট দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ভোরের আকাশ//হ.র