আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৫ ০১:২২ এএম
মিয়ানমারে সাবেক সেনা কর্মকর্তার হত্যায় ছয় বছরের শিশুসহ গ্রেপ্তার ১৬ জন
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তার হত্যা মামলায় ছয় বছর বয়সি এক কন্যাশিশুসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বাকি ১৫ জনের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, দেশটির সেনানিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার গত শুক্রবার (৬ জুন) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
জানা গেছে, গত ২২ মে মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও রাষ্ট্রদূত চো থুন অং (৬৮)। একটি স্বল্প পরিচিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী গোল্ডেন ভ্যালি ওয়ারিয়র্স এই গুপ্তহত্যার দায় স্বীকার করেছে। দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এটিকে অন্যতম উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সেনা সরকারের অভিযোগ, বিরোধী ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ (NUG)-এর সহযোগিতায়ই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এবং হত্যাকারীকে প্রায় দুই লাখ কিয়াত (স্থানীয় মুদ্রা) দেওয়া হয়েছিল। তবে এনইউজির মুখপাত্র নাই ফোন লাত এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা কাউকে হত্যার জন্য টাকা দিই না।”
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে ইয়াঙ্গুনের একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিকও, যিনি অভিযোগ অনুযায়ী, হামলায় গুলিবিদ্ধ হওয়া হত্যাকারীকে চিকিৎসা দেন। এছাড়া, গ্রেপ্তার হওয়া শিশুটির ছবি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে—সে অভিযুক্ত খুনি মিয়ো কো কো-এর মেয়ে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি-র নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সশস্ত্র সংঘাত চলছে। প্রায় চার বছর ধরে চলমান এই সংঘাত এখন পূর্ণমাত্রার গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে।
ভোরের আকাশ।।হ.র