বিদেশি ওমরাহযাত্রীদের প্রস্থানের সময়সীমা জানাল সৌদি আরব
এবছর পবিত্র হজের আগে যাঁরা ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যাবেন, তাঁদের অবশ্যই ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সে দেশ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি হজ ও ওমরা পালনকারীদের অতিরিক্ত সময়ের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান নিশ্চিত করার পরেও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন না দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা আরোপ করা হবে।
এই জরিমানা ১ লাখ সৌদি রিয়াল (২৬ হাজার ৬০০ ডলার) পর্যন্ত হতে পারে এবং অবৈধভাবে অবস্থানকারী ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
সৌদি আরবের হাজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, উমরাহ পালনকারীদের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশের শেষ সময় ১৩ এপ্রিল এবং ওমরাহ পালনকারীদের সৌদি আরব ছাড়ার শেষ সময় আগামী ২৯ এপ্রিল।
মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, যারা এই সময়ের পর সৌদি আরবে অবস্থান করবেন, নিয়ম ভাঙবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি কার্যকর করা হবে। হজ মৌসুমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি।
সৌদি চাঁদের দেখার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর হজ শুরু হবে ৬ জুন সন্ধ্যায় এবং শেষ হবে ১১ জুন সন্ধ্যায়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে অবস্থিত ক্ল্যুচেভস্কয় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) প্রশান্ত মহাসাগরে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরপরই এই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ও উচ্চতম এই আগ্নেয়গিরির ঢাল বেয়ে নেমে আসছে জ্বলন্ত লাভা।রুশ বিজ্ঞান একাডেমির ইউনাইটেড জিওফিজিক্যাল সার্ভিস টেলিগ্রামে জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরিটির পশ্চিম ঢাল দিয়ে জ্বলন্ত লাভা নেমে আসছে। আর আগ্নেয়গিরির ঠিক ওপরেই তীব্র আলোর ঝলক ও বিস্ফোরণ দেখা গেছে।ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগ্নেয়গিরিটি পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি শহর থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। আর ক্ল্যুচি নামের একটি ছোট শহরের কাছাকাছি হওয়ায় এটির নাম রাখা হয়েছে ক্ল্যুচেভস্কয়।এটি ইউরেশিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। এর উচ্চতা প্রায় চার হাজার ৮৩৫ মিটার (১৫ হাজার ৮৩৩ ফুট)। আগ্নেয়গিরিটি প্রায় সাত হাজার বছর আগে গঠিত হয়েছিল এবং এটি এখনো নিয়মিত অগ্ন্যুৎপাত করে। এটির অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত ভূকম্পনপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে।ইতিহাস বলছে, ২০১৩ ও ২০২০ সালে এই আগ্নেয়গিরির শক্তিশালী অগ্ন্যুৎপাত বিশ্ব মিডিয়ায় স্থান পেয়েছিল। অগ্ন্যুৎপাতের সময় এটি আকাশে কয়েক কিলোমিটার উঁচু ছাইয়ের স্তম্ভ নিক্ষেপ করে, যা বিমান চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।ক্ল্যুচেভস্কয় আগ্নেয়গিরি গঠিত হয়েছে বহু বছর ধরে জমে থাকা লাভা, ছাই ও অন্যান্য আগ্নেয় উপাদান দিয়ে। এটি রুশ ভূতত্ত্ববিদ ও অভিযাত্রীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার বিষয় হয়ে আছে। তবে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ায় এর চারপাশে জনবসতি সীমিত। রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা আগ্নেয়গিরিটির গতিবিধি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেন, যেন অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস আগে থেকেই দেওয়া যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাসের সঙ্গে শান্তি আলোচনা প্রত্যাখান করার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা আরও বেড়েছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় উপত্যকাটিতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় নিহত অন্তত ১০৪ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৯৯ জন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে আনাদোলু এজেন্সি বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।এতে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার পর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। বুধবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬০ হাজার ১৩৮ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনি।২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত চার মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৯৭০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৪ হাজার ২২৮ জন। যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএফপি।বুধবার (৩০ জুলাই) হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্রাজিলের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে ব্রাজিলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা মোট শুল্ক ৫০ শতাংশে দাঁড়াল। হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় বলা হয়, ব্রাজিল সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দমন–পীড়ন, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি, সেন্সরশিপ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো ও তার হাজার হাজার সমর্থকের বিরুদ্ধে বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। এগুলো ব্রাজিলে আইনের শাসনকে দুর্বল করে দিয়েছে।ঘোষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, ব্রাজিলের অস্বাভাবিক ও ব্যতিক্রমী নীতি ও পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো, মার্কিন নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতির ক্ষতি করছে। ঘোষণায় বলসোনারোর বিচারে যুক্ত ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে মোরায়েসের নামও আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষুধার্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে সৌদি আরব।আজ বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে রাফা ক্রসিং দিয়ে ছয়টি ট্রাকে করে এসব সহায়তা গাজায় প্রবেশ করে। খবর আরব নিউজের।আরব নিউজ জানিয়েছে, সৌদি বাদশাহ সালমানের মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কেন্দ্র কে এস রিলিফের তত্ত্বাবধানে এই সহায়তা পাঠানো হয়েছে। ট্রাকগুলোতে প্রধানত খাদ্যসামগ্রী ছিল, যা গাজার ক্ষুধার্ত জনগণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত।সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮টি কার্গো বিমান ও ৮টি জাহাজের মাধ্যমে গাজার জন্য বিপুল পরিমাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি গ্যাজেট। এ সহায়তার মধ্যে ছিল প্রায় ৭ হাজার ২০০ টন খাদ্য, ওষুধ, আশ্রয়ের সামগ্রী এবং ২০টি অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্সগুলো ইতিমধ্যে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে শুধু ট্রাক নয়, সৌদি আরব জর্ডানের সহায়তায় গাজায় আকাশপথেও খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে। বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে এসব খাদ্য সামগ্রী ফেলা হয়—যা মানবিক সহায়তার একটি তাৎক্ষণিক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ