গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ইসরায়েলের দুই উগ্রপন্থি মন্ত্রী
গাজায় হামাসের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন ইসরায়েলের দুই উগ্রপন্থি মন্ত্রী—জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ। তারা যুদ্ধবিরতি ঠেকাতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছেন।
টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, বুধবার (২ জুলাই) বেন গিভির অর্থমন্ত্রী স্মোরিচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি নেতানিয়াহু সরকারের অভ্যন্তরে একটি বিকল্প জোট গঠনের প্রস্তাব দেন, যা যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে।
হিব্রু ভাষার গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, বেন গিভিরের নেতৃত্বাধীন ওতজমা ইয়েহুদিত এবং স্মোরিচের রিলিজিয়াস জায়োনিজম পার্টি যৌথভাবে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করছিল। লক্ষ্য ছিল— যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে শক্ত অবস্থান তৈরি করা।
তবে স্মোরিচের মুখপাত্র এসব তথ্য অস্বীকার করে বলেন, অর্থমন্ত্রী এমন কোনো পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি দাবি করেন, বেন গিভির সংবাদমাধ্যমে তথ্য ফাঁস করে ‘নোংরা রাজনৈতিক খেলা’ খেলছেন।
এদিকে দুই মন্ত্রীর এমন রাজনৈতিক তৎপরতা জানাজানি হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ইসরায়েলের বিরোধী দলগুলো। তারা ঘোষণা দেয়, গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে প্রয়োজন হলে তারা নেতানিয়াহু সরকারকে সংসদে সমর্থন দেবে।
গাজার চলমান সংঘাতে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা যখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে, তখনই উগ্রপন্থি মন্ত্রীদের এই পদক্ষেপ ইসরায়েলি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
গাজায় হামাসের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন ইসরায়েলের দুই উগ্রপন্থি মন্ত্রী—জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ। তারা যুদ্ধবিরতি ঠেকাতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছেন।টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, বুধবার (২ জুলাই) বেন গিভির অর্থমন্ত্রী স্মোরিচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি নেতানিয়াহু সরকারের অভ্যন্তরে একটি বিকল্প জোট গঠনের প্রস্তাব দেন, যা যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে।হিব্রু ভাষার গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, বেন গিভিরের নেতৃত্বাধীন ওতজমা ইয়েহুদিত এবং স্মোরিচের রিলিজিয়াস জায়োনিজম পার্টি যৌথভাবে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করছিল। লক্ষ্য ছিল— যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে শক্ত অবস্থান তৈরি করা।তবে স্মোরিচের মুখপাত্র এসব তথ্য অস্বীকার করে বলেন, অর্থমন্ত্রী এমন কোনো পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি দাবি করেন, বেন গিভির সংবাদমাধ্যমে তথ্য ফাঁস করে ‘নোংরা রাজনৈতিক খেলা’ খেলছেন।এদিকে দুই মন্ত্রীর এমন রাজনৈতিক তৎপরতা জানাজানি হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ইসরায়েলের বিরোধী দলগুলো। তারা ঘোষণা দেয়, গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে প্রয়োজন হলে তারা নেতানিয়াহু সরকারকে সংসদে সমর্থন দেবে।গাজার চলমান সংঘাতে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা যখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে, তখনই উগ্রপন্থি মন্ত্রীদের এই পদক্ষেপ ইসরায়েলি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েলভোরের আকাশ//হ.র
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী শামখানি বেঁচে আছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আহত হলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি।গত ১৩ জুন ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েল একটি হামলা চালায়। ওই সময় শামখানির অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ভবনটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ছাদ ধসে পড়ে। এতে তিনি প্রায় তিন ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিলেন। পরে উদ্ধারকর্মীরা তাকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।হামলার পর শামখানির ব্যাপারে কোনও নিশ্চিত তথ্য না থাকায় এবং তাকে প্রকাশ্যে দেখা না যাওয়ায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। নিউইয়র্ক টাইমস-ও এক পর্যায়ে শামখানির পরিবার ও ইরানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তার নিহত হওয়ার খবর প্রচার করেছিল।তবে সম্প্রতি এই ধারণার অবসান হয়েছে। গত শনিবার ইরানের সামরিক কমান্ডারদের জানাজায় আলী শামখানিকে দেখা গেছে। কালো স্যুট ও কালো শার্ট পরা শামখানি হাঁটতে কষ্ট পাচ্ছিলেন এবং লাঠির সাহায্যে হাঁটছিলেন। তার মুখ বেশ শুকনো দেখাচ্ছিল এবং ঘাড় বেঁকে ছিল—এমন তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।৬৯ বছর বয়সী শামখানি ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সাবেক সেক্রেটারি এবং বর্তমান সুপ্রিম লিডারের অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা। পারমাণবিক আলোচনা থেকে শুরু করে সৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন—সবক্ষেত্রেই তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।আল-আলম টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামখানি বলেন, “আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম। আমার স্ত্রী অন্য ঘরে ছিলেন। আমার ছেলে মাত্র ১০ মিনিট আগেই বাইরে গিয়েছিল। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে ভবন কেঁপে ওঠে। প্রথমে মনে হয়েছিল ভূমিকম্প। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, এটি ইসরায়েলি হামলা।”তিনি আরও বলেন, “ধ্বংসস্তূপের নিচে তিন ঘণ্টা আটকে ছিলাম। অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস নিতে পারছিলাম না। আমি বারবার স্ত্রী ও ছেলেকে ডাকছিলাম। শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আমার শব্দ শুনে এসে আমাকে উদ্ধার করে। তারা প্রথমে আমার পা খুঁজে পায়, এরপর পুরো শরীর।”তবে তার স্ত্রী ওই হামলায় আহত হয়েছেন কিনা, তা স্পষ্ট করেননি শামখানি।সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ককে তার জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। ট্যাক্স ও বাজেট বিল নিয়ে মতবিরোধের জেরে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এই হুমকি দেন।প্রসঙ্গত, মাস্ক বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হলেও তার জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরে কানাডা হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং দেশটির নাগরিকত্ব অর্জন করেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এ বিষয়টি দেখব। আমাদের ইলনের ওপর ডিওজিই প্রয়োগ করতে হবে। আপনারা জানেন ডিওজিই কী? এটি সেই দানব, যা ইলনকে খেয়ে ফেলবে। ভয়ানক, তাই না?”ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেন, মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার থেকে বিপুল ভর্তুকি পাচ্ছে।উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ‘ডিওজিই’ (Department of Excess Government Expenditure) নামে একটি নতুন দপ্তর গঠন করেন ট্রাম্প। সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করাই ছিল এই দপ্তরের কাজ। প্রাথমিকভাবে এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান ইলন মাস্ক। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করেন এবং প্রকাশ্যে ট্রাম্পের বাজেট পরিকল্পনার সমালোচনা শুরু করেন।এর জবাবে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভর্তুকি ছাড়া ইলনকে হয়তো সব ব্যবসা বন্ধ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে। আর স্পেসএক্সের কোনো রকেট বা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে না, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যাবে।”তিনি সামাজিকমাধ্যম Truth Social-এ আরও লেখেন, “ইলন মাস্ক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকিপ্রাপ্ত ব্যক্তি। ডিওজিই’র উচিত এই বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করতে পারবে।”এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, “সরকার চাইলে সব ভর্তুকি বন্ধ করে দিতে পারে।”মঙ্গলবার আরও উত্তেজনাকর মন্তব্যে মাস্ক হুঁশিয়ারি দেন, যারা ট্রাম্পের বাজেট বিলকে সমর্থন দেবেন, মিডটার্ম নির্বাচনে তিনি তাদের বিরুদ্ধেই প্রচার চালাবেন।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও অর্থনৈতিক নীতির দিক থেকেও প্রভাব ফেলতে পারে।সূত্র: ইউএসএ টুডেভোরের আকাশ//হ.র
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম ডেমোক্র্যাট নেতা জোহরান মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়ে তাকে মেয়র নির্বাচিত করলে নিউইয়র্কবাসীকে ‘পাগল’ বলবেন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাইমারিতে জয়ী হয়ে মামদানি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে রিপাবলিকান প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়বেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রাইমারিতে তিনি পরাজিত করেছেন নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে।মামদানিকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “মামদানি হলো একজন কমিউনিস্ট। আমাদের যা শেষ দরকার, তা হলো এমন একজন মেয়র।”তিনি আরও বলেন, “নিউইয়র্কবাসীরা যদি তাকে মেয়র নির্বাচিত করে, তবে আমি বলব তারা পাগল। আমি শুনেছি সে সুবিধার মানুষ না। মেয়র নির্বাচিত হলে স্থানীয় সরকারে আমরা প্রথমবারের মতো একজন খাঁটি কমিউনিস্ট পাবো।”ট্রাম্প জানান, মামদানি নির্বাচিত হলে তাকে অর্থায়ন করবেন না তিনি। ব্যঙ্গ করে বলেন, “তার অর্থ পেতে হলে হোয়াইট হাউসের ভবনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ভয় নেই, সে কিছু নিতে পারবে না।”উল্লেখ্য, ৩৩ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র হওয়ার পথে রয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হলে নিউইয়র্কে সরকারি মালিকানাধীন গ্রোসারির দোকান চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ কারণেই ট্রাম্প তাকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে সমালোচনা করেন।সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্টভোরের আকাশ//হ.র