আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫ ০১:৪১ এএম
ইলন মাস্ককে দেশছাড়ার হুমকি ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ককে তার জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। ট্যাক্স ও বাজেট বিল নিয়ে মতবিরোধের জেরে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এই হুমকি দেন।
প্রসঙ্গত, মাস্ক বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হলেও তার জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরে কানাডা হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং দেশটির নাগরিকত্ব অর্জন করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এ বিষয়টি দেখব। আমাদের ইলনের ওপর ডিওজিই প্রয়োগ করতে হবে। আপনারা জানেন ডিওজিই কী? এটি সেই দানব, যা ইলনকে খেয়ে ফেলবে। ভয়ানক, তাই না?”
ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেন, মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার থেকে বিপুল ভর্তুকি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ‘ডিওজিই’ (Department of Excess Government Expenditure) নামে একটি নতুন দপ্তর গঠন করেন ট্রাম্প। সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করাই ছিল এই দপ্তরের কাজ। প্রাথমিকভাবে এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান ইলন মাস্ক। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করেন এবং প্রকাশ্যে ট্রাম্পের বাজেট পরিকল্পনার সমালোচনা শুরু করেন।
এর জবাবে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভর্তুকি ছাড়া ইলনকে হয়তো সব ব্যবসা বন্ধ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে। আর স্পেসএক্সের কোনো রকেট বা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে না, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যাবে।”
তিনি সামাজিকমাধ্যম Truth Social-এ আরও লেখেন, “ইলন মাস্ক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকিপ্রাপ্ত ব্যক্তি। ডিওজিই’র উচিত এই বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করতে পারবে।”
এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, “সরকার চাইলে সব ভর্তুকি বন্ধ করে দিতে পারে।”
মঙ্গলবার আরও উত্তেজনাকর মন্তব্যে মাস্ক হুঁশিয়ারি দেন, যারা ট্রাম্পের বাজেট বিলকে সমর্থন দেবেন, মিডটার্ম নির্বাচনে তিনি তাদের বিরুদ্ধেই প্রচার চালাবেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও অর্থনৈতিক নীতির দিক থেকেও প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: ইউএসএ টুডে
ভোরের আকাশ//হ.র