আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৫ ১২:১০ এএম
লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসীবিরোধী বিক্ষোভ: ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসীবিরোধী অভিযানের জেরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার নামানো হয়েছে ৭০০ মেরিন সেনা।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় সামরিক বাহিনীর সহায়তায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। খবর বিবিসির।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়, লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন এলাকায় ফেডারেল কর্মী ও সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেরিন সেনারা মাঠপর্যায়ে কাজ করবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং জরুরি প্রয়োজনে সহায়তা করতেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগেও টাস্ক ফোর্স ৫১-এর আওতায় ২১০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য এবং ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। সামরিক বাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, এই সেনারা উত্তেজনা প্রশমন, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং বলপ্রয়োগের নীতিমালা সম্পর্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
তবে এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "মেরিন সেনারা আমাদের বীর। কিন্তু একজন স্বৈরতান্ত্রিক প্রেসিডেন্টের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তাদের জনগণের বিরুদ্ধে নামানো যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক আদর্শের পরিপন্থী।"
এর আগেও লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, গার্ড মোতায়েন না করা হলে শহরটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত।
অন্যদিকে, সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পল ইয়েপ জানান, রোববারের এক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ একপর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। এ সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
বিক্ষোভ চলাকালে ৬০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা পুলিশের অনুরোধ সত্ত্বেও বিক্ষোভস্থল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়। রাতভর আরও ১৪৮ জনকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে ছয়জন ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। পরে ১৪৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক সান ফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা, বাকিরা শহরের বাইরের।
এভাবে সেনা মোতায়েন এবং ক্রমাগত সংঘর্ষে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মহলও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
ভোরের আকাশ।।হ.র