সংগৃহীত ছবি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে ৯০টির বেশি দেশ থেকে আমেরিকায় আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ থেকে ৪১% পর্যন্ত নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ট্রাম্পের নতুন শুল্কহার এ রকম-
+১০ শতাংশ শুল্ক : ব্রাজিল, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, যুক্তরাজ্য এবং নির্বাহী আদেশে তালিকাভুক্ত নয় এমন অন্যান্য সব দেশ।
১৫ শতাংশ শুল্ক : আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, বলিভিয়া, বতসোয়ানা, ক্যামেরুন, চাদ, কোস্টারিকা, আইভরি কোস্ট, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ইকুয়েডর, নিরক্ষীয় গিনি, ফিজি, ঘানা, গায়ানা, আইসল্যান্ড, ইসরায়েল, জাপান, জর্ডান, লেসোথো, লিচেনস্টাইন, মাদাগাস্কার, মালাউই, মরিশাস, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, নাউরু, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, নরওয়ে, পাপুয়া নিউ গিনি, দক্ষিণ কোরিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তুরস্ক, উগান্ডা, ভানুয়াতু, ভেনিজুয়েলা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে। ১৮ শতাংশ- নিকারাগুয়া।
১৯ শতাংশ শুল্ক : কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন।
২০ শতাংশ শুল্ক : বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম।
২৫ শতাংশ শুল্ক : ব্রুনাই, ভারত, কাজাখস্তান, মলদোভা, তিউনিসিয়া।
৩০ শতাংশ শুল্ক : আলজেরিয়া, বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনা, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা।
এভাবে ৩৫ শতাংশ-ইরাক, সার্বিয়া। ৩৯ শতাংশ- সুইজারল্যান্ড। ৪০ শতাংশ-লাওস, মিয়ানমার। ৪১ শতাংশ-সিরিয়া। এর বাইরে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম রয়েছে। কানাডা পহেলা অগাস্ট থেকে এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হচ্ছে। মেক্সিকোর ফেন্টানাইল ও গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ এবং ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে-যা ৯০ দিনের মধ্যে শুরু হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা পণ্য শূন্য থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের মুখোমুখি হচ্ছে। এই হার ৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর করা শুরু হবে।
ব্রাজিল প্রথমে ভেবেছিল যে তারা তুলনামূলকভাবে কম, ১০ শতাংশ মার্কিন শুল্কের আওতায় পড়েছে। তবে আসলে তাদের শুল্কহার অনেক বেড়েছে।
গত বুধবারই ট্রাম্প ল্যাটিন আমেরিকার বৃহত্তম এই অর্থনীতির ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। অন্যান্য দেশের মতো এই পদক্ষেপ বাণিজ্য সম্পর্কিত নয়, বরং এটি রাজনৈতিক।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চলতি বছর যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন জন ক্লার্ক, মিশেল দেভরেট ও জন এম মার্টিনিস। তারা ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে তাদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।এর আগে ২২৬ জন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন। সে হিসাবে তিনি ২২৭তম ব্যক্তি হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতে নিলেন।একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে জন বারডিন দুইবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুবারই যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি।গতকাল সোমবার চিকিৎসায় নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন ম্যারি ই. ব্রুনকো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্য সানাম জাভেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) পেশাওয়ার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামাটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাড়ি থামিয়ে সানাম জাভেদকে জোরপূর্বক নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।পিটিআই নেতাদের বর্ণনা অনুযায়ী, পেশাওয়ারের এক ব্যস্ত সড়কে দুটি গাড়ি এসে সানাম জাভেদের গাড়ির পথরোধ করে।পিটিআই নেতা শেখ ওয়াকাস আকরাম সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, সানাম জাভেদকে জোর করে গাড়ি থেকে টেনে নামানো হয় এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই অন্য গাড়িগুলোর একটিতে তুলে নেওয়া হয়।তিনি আরও লিখেছেন, ঘটনাটি প্রকাশ্য সড়কে, মানুষের চোখের সামনেই ঘটে এবং এতে তার সহযাত্রীরা হতবাক হয়ে পড়েন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় ফিলিস্তিনির গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা।সোমবার (৬ অক্টোবর) দুই দেশের প্রধানের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়।ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানায়, গাজার যুদ্ধপরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার বিষয়েও পুতিন ও নেতানিয়াহুর কথা হয়েছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতি ও সিরিয়ার স্থিতিশীলতার মতো বিষয় রয়েছে।পুতিন এর আগে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন। আশা প্রকাশ করেছেন, এ পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।একই সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতি মস্কোর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েলভোরের আকাশ/মো.আ.
একটি মাত্র ভিসা নিয়েই এবার ভ্রমণ করা যাবে আরব বিশ্বের ৬টি দেশ। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা জিসিসি চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু করতে যাচ্ছে অভিন্ন ও একক পর্যটন ভিসা— ‘জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা’। শুরুতে এটি পরীক্ষামূলকভাবে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।ইউএই-এর অর্থ ও পর্যটনমন্ত্রী এবং আমিরাত পর্যটন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বিন তৌক আল মারি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই অভিন্ন ভিসাটি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের শেনজেন ভিসা ব্যবস্থার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পর্যটকেরা এক ভিসায় জিসিসিভুক্ত ৬টি দেশ—সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন ও ওমানে সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন।তিনি আরও জানান, জিসিসি দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সমন্বয় জোরদার ও পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের কৌশলগত অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, ‘এই ভিসা শুধু ভ্রমণ সহজ করবে না, বরং উপসাগরীয় অঞ্চলকে একক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।’আমিরাতের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াম–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৌক আল মারি বলেন, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষে দ্বিতীয় ধাপে এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ঠিক কোন তারিখ থেকে ভিসাটি কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি।এর আগে গত ১৬ জুন খালিজ টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এটি চালু হবে।তবে কত দিনের জন্য এই ভিসা দেওয়া হবে বা এর খরচ কত হবে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।বিশ্লেষক ও পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হলে উপসাগরীয় অঞ্চলের পর্যটন ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এতে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং জিসিসি দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.