আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৫ ১২:৩৮ এএম
মোদির ভাষণের পরই ড্রোন হামলা ও বিস্ফোরণ, কাশ্মীর-পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি
জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রেক্ষিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (১২ মে) রাত ৮টায় দেওয়া সেই ভাষণের ঠিক পরপরই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা ও পাঞ্জাবের জলন্ধর এলাকায় ড্রোনের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে কিছু এলাকায় তাৎক্ষণিক ব্ল্যাকআউট (বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন) ঘোষণা করা হয়।
ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয় পাঠানকোট অঞ্চলেও। সাম্বা থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আকাশে লাল আলোর রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে, যা ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্রিয়তা নির্দেশ করে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
জলন্ধরের উপকমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রীর বরাতে জানানো হয়, সুরানাসি সেনাঘাঁটির আশপাশে ড্রোন শনাক্ত হওয়ার পরই নিরাপত্তাজনিত সতর্কতার অংশ হিসেবে কিছু এলাকায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ ব্ল্যাকআউট কার্যকর হয়নি। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার দাসুয়া এলাকাতেও ৭-৮টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। জেলা প্রশাসক আশিকা জানান, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ড্রোন শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ কার্যক্রম চলছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, দাসুয়া ও মুকেরিয়া এলাকায় ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দিয়ে কেবল অফিসিয়াল তথ্য অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এর আগে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ বিষয়ে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “সন্ত্রাস ও আলোচনা একসাথে চলতে পারে না। সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। পানি ও রক্ত একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না।”
তিনি আরও জানান, ভারতের সেনাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত রয়েছে—আকাশ, স্থল ও সমুদ্র সর্বত্র। ‘নতুন নর্মাল’ তৈরি করেছে আমাদের সেনারা। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবারও জবাব দেওয়া হবে। কোনো ধরনের ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেইল’ ভারত সহ্য করবে না বলেও কড়া বার্তা দেন তিনি।
ভোরের আকাশ/হ.র