আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ০১:৪৫ এএম
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের শঙ্কায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার শঙ্কা আবারও বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় প্রভাব ফেলেছে। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এক লাফে বেড়ে গেছে ১ শতাংশেরও বেশি। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্স জানায়, ২১ মে বুধবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি দাঁড়ায় ৮২.১৭ ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় ৭৯ সেন্ট বা ১.২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮.৮৫ ডলারে, যা ৮২ সেন্ট বা ১.৩ শতাংশ বেশি।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল যদি সত্যিই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, তাহলে ইরান পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তার তেল রপ্তানি বন্ধ করতে পারে। এমনকি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিলে পুরো অঞ্চলের জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ ওই প্রণালী দিয়েই সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশাল অংশের তেল রপ্তানি হয়।
উল্লেখ্য, ইরান ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদক, যারা প্রতিদিন গড়ে ১৫ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের মজুদ কিছুটা বেড়েছে। তবে বিপরীতে, পেট্রল ও ডিজেলের মজুদ কমে গেছে, যা বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, ওপেক প্লাসের উৎপাদন সীমিত রাখার অনুরোধ উপেক্ষা করে কাজাখস্তান সম্প্রতি তেল উৎপাদন ২ শতাংশ বাড়িয়েছে, যা বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহের চাপ বাড়াচ্ছে।
পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার আলোচনাও বর্তমানে স্থবির অবস্থায়। দুই দেশই তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে, ফলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনো সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারকে আরও অস্থির করে তুলতে পারে।
ভোরের আকাশ//হ.র