× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সেনা নিয়োগের নামে নিপীড়ন, জান্তার ভয়ে মিয়ানমার ছাড়ছেন তরুণরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৫ ১১:৩৫ এএম

সেনা নিয়োগের নামে নিপীড়ন, জান্তার ভয়ে মিয়ানমার ছাড়ছেন তরুণরা

সেনা নিয়োগের নামে নিপীড়ন, জান্তার ভয়ে মিয়ানমার ছাড়ছেন তরুণরা

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে টিকতে না পেরে সেনা সংকটে পড়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় জান্তা সরকারের নিপীড়নমূলক সেনা নিয়োগ প্রক্রিয়ার কারণে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র আতঙ্ক। সেনাবাহিনীতে জোরপূর্বক তরুণদের নিয়োগে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জানানো হয়, জান্তা বাহিনী বাস স্টপ, বাজার কিংবা বাড়িতে হানা দিয়ে তরুণদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় তারা পাবলিক স্থান থেকেও অপহরণ করছে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য তরুণ।

বিদ্রোহীদের কাছে একের পর এক এলাকা হাতছাড়া হওয়ার পর, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্যাপক সেনা নিয়োগের ঘোষণা দেয় জান্তা সরকার। একে বাধ্যতামূলকও করা হয়। এতে সেনাবাহিনীতে না যেতে চাওয়া তরুণরা দেশত্যাগকে শেষ বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।

২৯ বছর বয়সী অং এমনই একজন। তিনি জানান, “জান্তা আমাদের দেশের জনগণকে হত্যা করছে, আমি তাদের অংশ হতে চাই না। তাই চোরাকারবারিদের সহায়তায় কাঠের নৌকায় করে থাইল্যান্ডে পালিয়ে এসেছি।”

২৪ বছর বয়সী কো কোও সামরিক নিপীড়ন এড়াতে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কখনো বোমার ওপর পা রাখতে বাধ্য করা হয়। এ যেন একপ্রকার দাসত্ব।” দেশ ছাড়তে বাবামা ৩০০ ডলার ঘুষ দিয়ে তাকে বিমানবন্দরের ঝামেলা থেকে রক্ষা করেন বলেও জানান তিনি। তবে তার এক বন্ধু পালাতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জান্তার নতুন ঘোষিত ১১তম নিয়োগ ব্যাচের মাধ্যমে আগামী এক বছরে ৬০ হাজার সেনা নিয়োগের লক্ষ্য রয়েছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মিয়ানমার বিষয়ক উপদেষ্টা রিচার্ড হর্সি বলেন, “প্রথম দিকে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় যোগ দিলেও এখন তরুণরা দলে আসতে চায় না। বরং পালিয়ে যাচ্ছে, দলত্যাগ করছে।”

এই অবস্থায় মিয়ানমারের তরুণ সমাজ দারুণ এক মানবাধিকার সংকটের মুখোমুখি। নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও জীবনের অধিকার রক্ষায় তাদের সংগ্রাম চলছে প্রতিনিয়ত।

ভোরের আকাশ//হ.র

  • শেয়ার করুন-
 গাইবান্ধায় ১০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারাবারি গ্রেফতার

গাইবান্ধায় ১০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারাবারি গ্রেফতার

 শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

 সেনাবাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

সেনাবাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

 জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

 তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি চলছে

তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি চলছে

সংশ্লিষ্ট

গাজায় সৌদি আরবের খাদ্যসহায়তা পৌঁছাল, গেল ৭টি ট্রাক

গাজায় সৌদি আরবের খাদ্যসহায়তা পৌঁছাল, গেল ৭টি ট্রাক

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

গাজার মানবিক বিপর্যয় নাৎসি ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ: এরদোয়ান

গাজার মানবিক বিপর্যয় নাৎসি ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ: এরদোয়ান

গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েল সফরে যেতে পারেন ইউরোপের তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েল সফরে যেতে পারেন ইউরোপের তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী