আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৫ ০৮:৫৮ এএম
সংগৃহীত ছবি
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নতুন করে আরও কমপক্ষে ৬১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে দুজন ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে যে, অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেড়েই যাচ্ছে।
মঙ্গলবার উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে বলে বেশ কিছু চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে নিশ্চিত করেছে।
দক্ষিণ গাজায় বিতর্কিত ইসরায়েলি এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফার উত্তরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে কমপক্ষে দুই নারী নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত মে মাসের শেষের দিকে যখন জিএইচএফ কাজ শুরু করে তখন থেকে গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে কমপক্ষে ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার ১৬টি এলাকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশও জারি করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে জাবালিয়া। বিধ্বস্ত ওই শহরের বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে পালিয়ে যাচ্ছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোকজন তাদের গাড়ি এবং গাধাকে ব্যবহার করে এলাকা খালি করছে। সবাই অজানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে; তারা জানে না কোথায় যাবে। যাতায়াতের জন্য জ্বালানি না থাকায় তাদের এক স্থান থেকে অন্যান্য যেতেও সমস্যাও হচ্ছে। তাই পরিস্থিতি খুবই বিশৃঙ্খল।
ভোরের আকাশ/জাআ