আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫ ০৫:৩৭ এএম
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার যেকোনো পদক্ষেপে নিঃশর্ত সমর্থন দেবে উত্তর কোরিয়া: কিম জং উন
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার যেকোনো পদক্ষেপে নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের চলমান উত্তর কোরিয়া সফরকালে কিম এ বার্তা দিয়েছেন। তিন দিনের এই সফরে উচ্চপর্যায়ের কৌশলগত আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
শনিবার (১৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেসিএনএ জানায়, কিম বলেছেন, “ইউক্রেন সংকটের মূল কারণ দূর করতে রাশিয়া যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, পিয়ংইয়ং সেগুলো নিঃশর্তভাবে সমর্থন ও উৎসাহ দেবে।” তিনি আরও বলেন, “রুশ সেনা ও জনগণ বিজয় অর্জন করবে—এই বিশ্বাস আমি রাখি, কারণ তারা দেশের মর্যাদা ও স্বার্থ রক্ষায় পবিত্র সংগ্রামে লিপ্ত।”
ওনসান শহরে ল্যাভরভের সঙ্গে কিমের বৈঠকে এই বার্তা দেন উত্তর কোরীয় নেতা। বৈঠকে তিনি বলেন, “বিশ্ব রাজনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার যৌথ পদক্ষেপ বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শীর্ষ সম্মেলনে দুই দেশের মধ্যে একটি সামরিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তির আলোকে দ্বিতীয় দফা কৌশলগত সংলাপে বসেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ এবং উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে কিম ও ল্যাভরভকে পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন ও আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। বৈঠকে ল্যাভরভ কিমকে জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন “খুব শিগগিরই সরাসরি দেখা করতে ইচ্ছুক”।
আল জাজিরা জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত দুই বছরে পিয়ংইয়ং ও মস্কোর সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যে রাশিয়াকে ১০ হাজারেরও বেশি সেনা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে, এবং ভবিষ্যতে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া চলমান সফরের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ঘোষণা দিয়েছে, মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সাপ্তাহিক দুটি ফ্লাইট চালু করা হবে। কিমের শহর ওনসানকে “ভবিষ্যতের পর্যটন গন্তব্য” হিসেবে উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, “আমরা আশা করি এই এলাকা রাশিয়ান পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।”
ভোরের আকাশ//হ.র