সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৮ লক্ষাধিক হজযাত্রী
পবিত্র হজে অংশ নিতে ইতোমধ্যে সৌদি আরবে ৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি মুসল্লি পৌঁছেছেন। শনিবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।
দেশটির পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮ লাখ ২০ হাজার ৬৮৫ জন সৌদি এসে পৌঁছেছেন। এদের মধ্যে ৭ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৮ জন এসেছেন আকাশপথে, সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে এসেছেন ৩৫ হাজার ৪৭৮ জন। আর সাগরপথে এসেছেন দুই হাজার ৮২২ জন।
গত বছর হজ করেছিলেন ১৮ লাখ মুসল্লি। তাদেরমধ্যে বিদেশি ছাড়াও সৌদির নাগরিক ও দেশটিতে বসবাস করা মানুষ ছিলেন। তবে গত বছর অনেকে অনুমতি না নিয়ে হজ করতে গিয়ে তীব্র দাবদাহের কবলে পড়েন। এতে প্রায় এক হাজার ৩০০ হাজীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল।
হজের জন্য মুসল্লিরা যেন দ্রুত আসতে ও যেতে পারেন সেজন্য ২০১৮ সাল থেকে ‘মক্কা রুট’ নামে একটি পোগ্রাম চালাচ্ছে সৌদি। এই পোগ্রামের আওতায় রয়েছে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মরক্কো, তুরস্ক এবং আইভরি কোস্ট।
এর মাধ্যমে এসব দেশের মানুষ তাদের নিজ দেশে থাকা অবস্থায় হজের যাওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম সেরে নিতে পারছেন। যারমধ্যে রয়েছে— বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, ই-হজ ভিসা, পাসপোর্ট প্রসেসিং, লাগেজ ট্যাগিংসহ আরও অন্যান্য সেবা দেওয়া হয়।
সৌদিতে যাওয়ার পর হজযাত্রীদের সরাসরি বাসে করে মক্কা ও মদিনায় তাদের নির্দিষ্ট থাকার স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে তাদের লাগেজ সেখানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এতে করে লাগেজ টানার জন্য আলাদা ভোগান্তি পোহাতে হয় না।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সাপটি বিছানায় শুয়ে আছে। সেই বিছানায় শুয়ে রয়েছেন এক তরুণও। তাঁর পায়ের উপর দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপটি। ভারতের উত্তরাখণ্ডে ঘটে গেছে এমনই চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরালও হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, নিজের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। তার শরীর বেয়ে দিব্যি ঘুরছে সাপের রাজা কিং কোবরা। তবে, ভয় না পেয়ে তিনি সেই ঘটনাকে ক্যামেরাবন্দি করছেন। এমনকি বেশ কয়েকবার সাপটি তার দিকে তাকিয়েও দেখে। তবে সেখানেও এই ব্যক্তির সাহস দেখলে প্রশংসা করতেই হবে।একটা সময় আসে, যখন সাপটি ওই ব্যক্তির মাথার কাছে চলে আসে। সেখানে তিনি তার দিকে তাকিয়ে থাকেন। কিছু সময় পর সাপটি ধীরে ধীরে সেখান থেকে চলে যায়।তবে, সাপটি যখন একেবারে সামনের দিকে চলে আসে তখন তিনি সেখান থেকে উঠে যেতে বাধ্য হন। কারণ সেই সময় সাহস দেখানোর নয়, নিজেকে বাঁচানোর দরকার ছিল। এই ভিডিও সামনে আসতেই অনেকে ওই ব্যক্তির সাহসের প্রশংসা করেছেন। আবার অনেকে একে হাসির ছলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ভোরের আকাশ/এসএইচ
পবিত্র হজে অংশ নিতে ইতোমধ্যে সৌদি আরবে ৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি মুসল্লি পৌঁছেছেন। শনিবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।দেশটির পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮ লাখ ২০ হাজার ৬৮৫ জন সৌদি এসে পৌঁছেছেন। এদের মধ্যে ৭ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৮ জন এসেছেন আকাশপথে, সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে এসেছেন ৩৫ হাজার ৪৭৮ জন। আর সাগরপথে এসেছেন দুই হাজার ৮২২ জন।গত বছর হজ করেছিলেন ১৮ লাখ মুসল্লি। তাদেরমধ্যে বিদেশি ছাড়াও সৌদির নাগরিক ও দেশটিতে বসবাস করা মানুষ ছিলেন। তবে গত বছর অনেকে অনুমতি না নিয়ে হজ করতে গিয়ে তীব্র দাবদাহের কবলে পড়েন। এতে প্রায় এক হাজার ৩০০ হাজীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল।হজের জন্য মুসল্লিরা যেন দ্রুত আসতে ও যেতে পারেন সেজন্য ২০১৮ সাল থেকে ‘মক্কা রুট’ নামে একটি পোগ্রাম চালাচ্ছে সৌদি। এই পোগ্রামের আওতায় রয়েছে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মরক্কো, তুরস্ক এবং আইভরি কোস্ট।এর মাধ্যমে এসব দেশের মানুষ তাদের নিজ দেশে থাকা অবস্থায় হজের যাওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম সেরে নিতে পারছেন। যারমধ্যে রয়েছে— বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, ই-হজ ভিসা, পাসপোর্ট প্রসেসিং, লাগেজ ট্যাগিংসহ আরও অন্যান্য সেবা দেওয়া হয়।সৌদিতে যাওয়ার পর হজযাত্রীদের সরাসরি বাসে করে মক্কা ও মদিনায় তাদের নির্দিষ্ট থাকার স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে তাদের লাগেজ সেখানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এতে করে লাগেজ টানার জন্য আলাদা ভোগান্তি পোহাতে হয় না।ভোরের আকাশ/আজাসা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৩ হাজার ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে।এছাড়া গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩৭৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের অব্যাহত সামরিক অভিযানে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫৩ হাজার ৯০১ জনে—শনিবার এমনটাই জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২১১ জন। ফলে মোট আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৯ জনে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, “অনেক লাশ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে ও সড়কে পড়ে আছে, কিন্তু উদ্ধারকারীরা নিরাপত্তার অভাবে সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।”ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে পুনরায় গাজায় হামলা শুরু করে, যা জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে দেয়। সেই সময় থেকে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩ হাজার ৭৪৭ জন নিহত ও প্রায় ১০ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন।এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল।ভোরের আকাশ/আজাসা
একদিনে ৭৮০ জন যুদ্ধবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধবন্দীকে মুক্তি দেওয়া হল। শুক্রবার মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে উভয় দেশরই সামরিক-বেসামরিক বন্দী রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার ছাড়া পাওয়া এই যুদ্ধবন্দীদের অর্ধেক অর্থাৎ ৩৯০ জন ইউক্রেনের, বাকি অর্ধেক রাশিয়ার। উভয় দেশই ২৭০ জন করে সামরিক এবং ১২০ জন করে বেসামরিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। সম্প্রতি তুরস্কে দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে হওয়া সংলাপে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে যেসব সমঝোতা হয়েছে, সেসবের আওতায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এই যুদ্ধবন্দীদের। তুরস্কের বৈঠকে উভয় দেশের ৫০০ জন করে মোট ১ হাজার যুদ্ধবন্দির মুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। তাদের মধ্যে শুক্রবার মুক্তি পেলেন ৭৮০ জন। আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার বাকি ২২০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হবে।গতকাল যে ৩৯০ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে মস্কো, তাদের একজন ওলেক্সান্দার নেহির ইউক্রেনীয় বাহিনীর একজন সেনা সদস্য। তার স্ত্রী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মুক্তির পর ইউক্রেনের সুমি শহরের বাসিন্দা নেহির রয়টার্সকে বলেন, “আমাকে যে আজ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে—আমার স্ত্রীকে জানানো হয়নি। এমনিতে কারা কর্তৃপক্ষ প্রতি শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ করতে দেয়। সে আমার সঙ্গে আজ ওই সাপ্তাহিক সাক্ষাৎ করতেই এসেছিল।”“এসে যখন দেখল যে আমি মুক্তি পেয়েছি, সে খুশিতে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি ঠিক কেমন—আপনি যদি কখনও এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে না যান, তাহলে আপনাকে তা বলে বোঝানো কঠিন। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, কখনও বিশ্বাস হারানো চলবে না, নিরাশ বা হতাশ হওয়া চলবে না।”৯ মাস আগে ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশে দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন রুশ বাহিনীর সেনাসদস্য ওলেকসান্দার তারাসোভ। শুক্রবার যে ৩৯০ জন রুশ যুদ্ধবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে তারাসোভও একজন।রয়টার্সকে তারাসোভ বলেন, “আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে আমি মুক্তি পেয়েছি।”যুদ্ধবন্দীদের মুক্তিদানের ব্যাপারটিকে স্বাগত জানিয়েছেন এ যুদ্ধের প্রধান মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “মস্কো-কিয়েভ উভয়পক্ষের সমঝোতাকে স্বাগত। এই সমঝোতা কি অদূর ভবিষ্যতে আমাদেরকে বড় কোনো সুসংবাদের দিকে নিয়ে যাবে?”ভোরের আকাশ/আজাসা