আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫ ০৭:৫৪ এএম
ইসরায়েলে নজিরবিহীন মিসাইল হামলা, আকাশজুড়ে আতঙ্কের সাইরেন
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত চারটি মিসাইল আছড়ে পড়েছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে। হামলার পরপরই দেশজুড়ে মিসাইল সতর্কতা সাইরেন বাজতে শুরু করে, যার ফলে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে ছুটে যান প্রায় ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ।
শনিবার সকালে হামলার সূচনা হয় ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি আকাশসীমা অতিক্রমের আগেই প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে বিস্ফোরণের মাত্রা ও অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এর মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে আরও একটি মিসাইল আঘাত হানে, যা পুরো শহরে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে সাইরেনের শব্দে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
শুক্রবার রাতেও ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফা ও সামরিক ঘাঁটি রামাত ডেভিস হামলার লক্ষ্য ছিল। বিশেষ করে হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রামাত ডেভিসে ব্যাপক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব। তারা মুসলিম বিশ্বের প্রতি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গাজা অবরুদ্ধ থাকলে ইসরাইলে হামলাও চলবে।
এছাড়া মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোষ্ঠীটি। তাদের ভাষ্য, বেসামরিক ইয়েমেনিদের ওপর হামলা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রকেও চড়া মূল্য দিতে হবে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে ইয়েমেন থেকে প্রায় ৩০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলই এখন ইয়েমেনি মিসাইলের আওতায় রয়েছে।
ভোরের আকাশ//র.ন