গাজায় চলমান মানবিক সংকটের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদার করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী। রোববার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জারি করা এক বিবৃতিতে, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের সব দেশকে ইসরাইলি প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে যাতে তারা তাদের আগ্রাসন বন্ধ করে এবং গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়।আল-মাসিরাহ টেলিভিশনের বরাতে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইয়েমেনি বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- গাজার নিরীহ জনগণের ওপর চলমান বিমান হামলা, খাদ্য ও ওষুধের প্রবেশে বাধা এবং আরব দেশগুলোর নীরবতা ইসরায়েলকে উসকে দিচ্ছে। এ অবস্থায় ইয়েমেন একমাত্র নৈতিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই প্রতিরোধ জারি রেখেছে।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের সমুদ্রবন্দরগুলোর সঙ্গে যুক্ত যে কোনো দেশ বা কোম্পানির জাহাজ এখন থেকে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আওতায় পড়বে। তারা যে কোনো দেশের মালিকানাধীন হোক না কেন, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী সেসব জাহাজকে বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করবে।তিনি আরও বলেন, এই বিবৃতি প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বজুড়ে সব শিপিং কোম্পানিকে সতর্ক করছি- ইসরায়েলি বন্দরগুলোর সঙ্গে যে কোনো রকম সহযোগিতা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, তাদের জাহাজ যে কোনো মুহূর্তে হামলার শিকার হতে পারে।জেনারেল সারি আরও একবার স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েল যদি চায় উত্তেজনা প্রশমিত হোক, তবে তাদের অবিলম্বে গাজা উপত্যকার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে এবং বর্বর আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, আমাদের সামরিক ও সমুদ্র অবরোধ অভিযান অব্যাহত থাকবে।তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি নৈতিক ও মানবিক অবস্থান নিয়েছে। আমরা কেবল তখনই সামরিক অভিযান বন্ধ করব, যখন গাজার অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের এই চতুর্থ দফার নৌ অবরোধ বিশ্বজুড়ে জাহাজ চলাচল ও বাণিজ্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৯ জুলাই ২০২৫ ০৮:২০ এএম
আরেক দেশ থেকে ইসরায়েলে হামলা
ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, তবে এবার হামলাটি কোনো ভিন্ন দেশ থেকে হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) কয়েক ঘণ্টা আগে এ হামলা চালানো হয় বলে আল জাজিরা এবং ইরানের আধা সরকারি বার্তাসংস্থা ফারস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।ফারস জানায়, সোমবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যার সময় দেশটির আকাশসীমায় সাইরেন বেজে ওঠে। তবে এই হামলা ইরান থেকে নয়, বরং ইয়েমেন থেকে চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপারেশন ট্রু প্রমিজের অধীনে ২১তম হামলা এখনো চালানো হয়নি। এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে। তবে এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছু জানা যায়নি।উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইরানের হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় পরমাণু, সামরিক ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ৪০০-এর বেশি ইরানি নাগরিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ রয়েছেন। ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত চারটি মিসাইল আছড়ে পড়েছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে। হামলার পরপরই দেশজুড়ে মিসাইল সতর্কতা সাইরেন বাজতে শুরু করে, যার ফলে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে ছুটে যান প্রায় ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ।শনিবার সকালে হামলার সূচনা হয় ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি আকাশসীমা অতিক্রমের আগেই প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে বিস্ফোরণের মাত্রা ও অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।এর মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে আরও একটি মিসাইল আঘাত হানে, যা পুরো শহরে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে সাইরেনের শব্দে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।শুক্রবার রাতেও ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফা ও সামরিক ঘাঁটি রামাত ডেভিস হামলার লক্ষ্য ছিল। বিশেষ করে হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রামাত ডেভিসে ব্যাপক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব। তারা মুসলিম বিশ্বের প্রতি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গাজা অবরুদ্ধ থাকলে ইসরাইলে হামলাও চলবে।এছাড়া মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোষ্ঠীটি। তাদের ভাষ্য, বেসামরিক ইয়েমেনিদের ওপর হামলা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রকেও চড়া মূল্য দিতে হবে।ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে ইয়েমেন থেকে প্রায় ৩০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলই এখন ইয়েমেনি মিসাইলের আওতায় রয়েছে।ভোরের আকাশ//র.ন
০৪ মে ২০২৫ ০৫:৫৪ পিএম
ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অন্তত চারজন নিহত এবং আরও ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানীকে লক্ষ্য করে চালানো হামলায় একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে সানায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে মার্কিন এই হামলায়।হুতি জানিয়েছিল, মার্কিন বিমান হামলায় হুতিদের শক্ত ঘাঁটি সাদাতে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে দুইজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে। হুতিদের আল মাসিরাহ স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ধসে পড়েছে একটি দ্বিতল ভবন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ইয়েমেনে তীব্র বিমান হামলার প্রেক্ষিতে লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরী লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে হুতি। গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনি এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।গত মাসে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে হামলার নির্দেশ দেয়ার পর থেকে দেশটিতে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে। হামলার ক্ষেত্রে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বেসামরিক মানুষদের। সামরিক স্থানগুলো ধ্বংসের পাশাপাশি হুতি যোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০০টির বেশি হামলা করেছে তারা।এদিকে পাল্টা আক্রমণে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি জাহাজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করেছে হুতি।ভোরের আকাশ/এসএইচ