ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই ইরান থেকে আবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই অভিযোগ করেছেন। একইসঙ্গে ইরান যুদ্ধবিরতির শর্ত ভাঙায় তেহরানকে কঠোর জবাব দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ অভিযোগ তুলে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির মাঝেই ইরান সরাসরি হামলা চালিয়েছে এবং তা যুদ্ধবিরতির চুক্তির লঙ্ঘন। তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা তেহরানের কেন্দ্রস্থলে ইরানি শাসনব্যবস্থার লক্ষ্যবস্তুতে তীব্র হামলা চালায়।
এর কিছুক্ষণ পর, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেজালেল স্মোটরিচ এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, তেহরান কাঁপবে।
তবে ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি। এটি মিথ্যা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি আগেই বলেছিলেন, ইসরায়েল আগ্রাসন বন্ধ করলে তেহরানও পাল্টা আক্রমণ থেকে বিরত থাকবে।
বর্তমানে ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করতে বলা হয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে হামলার বিস্তারিত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয় এখনো পরিষ্কার নয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নিউইয়র্ক সিটি প্রথমবারের মতো মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম রাজনীতিক জোহরান মামদানি জয়ী হয়ে মেয়র নির্বাচনের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। আসন্ন নভেম্বরের মূল নির্বাচনেও তার জয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।৩৩ বছর বয়সী মামদানির জন্ম উগান্ডার কাম্পালায়। তার বাবা মাহমুদ মামদানি একজন প্রথিতযশা তাত্ত্বিক ও লেখক এবং মা মীরা নায়ার ‘মনসুন ওয়েডিং’ ও ‘সালাম বম্বে’র মতো আলোচিত চলচ্চিত্রের নির্মাতা। শৈশব কেটেছে কেপটাউনে, আর শৈশবের শেষভাগে চলে আসেন যুক্তরাষ্ট্রে। পরবর্তীতে নিউইয়র্কেই গড়ে ওঠে তার রাজনৈতিক ভিত্তি।ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র অ্যান্ড্রু কুয়োমো। ভোট গণনায় মামদানি কুয়োমোকে ৭.১ শতাংশ ব্যবধানে পরাজিত করেন। এর ফলে তিনিই এখন দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।মামদানির জয়ে উচ্ছ্বসিত নিউইয়র্কের প্রগতিশীল ভোটাররা। ডেমোক্র্যাট দলের তরুণ ভোটারদের বড় অংশ তাকে দেখছেন নতুন যুগের প্রতিনিধি হিসেবে।২৮ বছর বয়সী ভোটার ও অভিনেতা ইগনাসিও ট্যামবান্টিং বলেন, “আমাদের একজন তরুণ, রঙিন পরিচয়ের অধিকারী এবং ভিন্নধর্মী চিন্তার মেয়র প্রয়োজন ছিল। জোহরান ঠিক সেই ব্যক্তি।”কুয়োমো এর আগে যৌন হয়রানির অভিযোগে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। ভোটের আগে মামদানিকে 'অনভিজ্ঞ' বলে প্রচার করলেও ফল ঘোষণার পরপরই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীকে শুভেচ্ছা জানান।জোহরান মামদানি নিজেকে পরিচয় দেন 'ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট' হিসেবে। এর আগেও নিউইয়র্ক রাজ্যের কুইনস জেলা থেকে রাজ্য বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময় তাকে সমর্থন করেছিলেন মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ও কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কোর্টেজ।মেয়র নির্বাচনে জয় পেলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কোনো নীতিকে নিউইয়র্ক সিটিতে চলতে দেবেন না বলে জানান মামদানি। তার ভাষায়, “নিউইয়র্ক হবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একটি মডেল শহর।”মামদানি পরিচিত একজন ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিক হিসেবে। তিনি একাধিকবার গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছেন। ২০২৩ সালে তিনি একটি বিল উত্থাপন করেন, যার মাধ্যমে অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলিদের সঙ্গে সম্পর্কিত নিউইয়র্কভিত্তিক দাতব্য সংস্থাগুলোর কর-ছাড় বাতিলের প্রস্তাব দেন।তবে এই অবস্থানের কারণে বাইডেনপন্থী ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে তার কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়। তারপরও সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রগতিশীল ও তরুণ ভোটারদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।মামদানির বিপরীতে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে লড়বেন কার্টিস স্লিওয়া। এছাড়া বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পুনর্নির্বাচনের জন্য লড়বেন। তবে ট্রাম্পের প্রতি তার ঘনিষ্ঠতা এবং একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তাকে অনেকাংশেই জনপ্রিয়তা হারাতে বাধ্য করেছে।এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বেশিরভাগ ডেমোক্র্যাট ভোটারই মামদানির জয়ে সন্তুষ্ট। ভোটার লেহ জোহানসন বলেন, “কুয়োমোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ থাকায় আমি তাকে ভোট দিতে পারি না। মামদানি তরুণ এবং উদারপন্থি—তাই তিনিই আমার পছন্দ।”যদি জোহরান মামদানি নভেম্বরে চূড়ান্ত মেয়র নির্বাচনে জয় পান, তবে তিনি হবেন নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র। একইসঙ্গে তিনি হবেন দ্বিতীয় কোন বৈশ্বিক মহানগরীর মুসলিম মেয়র, লন্ডনের সাদিক খানের পরে।ভোরের আকাশ//হ.র
ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হামদান প্রদেশ থেকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচর সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা মিডল ইস্ট আই এ এই তথ্য জানায়।ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর এক কর্মকর্তা আলী আকবর করিমপুর জানিয়েছেন, হামদান, রাজান ও নাহাভান্দ শহরে সন্দেহজনক কার্যক্রমের বিষয়ে তারা তথ্য পেয়েছে, যা বিশ্বাসঘাতকতার চিহ্ন বহন করে। ওই অঞ্চলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা অনলাইনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে এবং ইরানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে অভিযুক্ত।ইরান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই গুপ্তচর ও শত্রুপক্ষের সন্দেহে বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটক করে আসছে। চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করেছে তেহরান। এর আগে ডজনখানেক গুপ্তচর সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।বর্তমানে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইরান তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিশেষভাবে জোরদার করেছে। বিশেষ করে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির মুখে দেশটির ভাবমূর্তি রক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।তেহরান সরকারের এই পদক্ষেপ যুদ্ধকালীন সময়ে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কড়া বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ইরানের এই ধরণের গ্রেপ্তার অভিযানকে দেশটির ভেতরে বিরোধীদের প্রতি কঠোর অবস্থানের প্রমাণ হিসেবেও দেখছেন।ভোরের আকাশ//হ.র
ইসরায়েলকে এবার সরাসরি কঠোর বার্তা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইরানে যেন আর কোনো বোমা হামলা না চালানো হয়। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে ট্রাম্প এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।মঙ্গলবার (২৩ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি সম্প্রচারে এই বার্তা দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ইসরায়েল, বোমাগুলো ফেলো না। যদি এটা করো, তাহলে তা হবে যুদ্ধবিরতির বড় লঙ্ঘন। এখনই তোমার পাইলটদের দেশে ফিরিয়ে আনো।”এর আগে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইরানের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণের পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয়। এর পরপরই ট্রাম্প এই বার্তা দিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেন।ট্রাম্পের এই বার্তা আসে এমন এক সময়, যখন মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা চরমে। সোমবার (২২ জুন) ইরান কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদ-এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তেহরান জানায়, এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ‘প্রতিশোধ’।মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যক্সিওস জানায়, ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার বরাতে তারা নিশ্চিত হয়েছে—কাতারে অবস্থিত ওই মার্কিন ঘাঁটিতে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অ্যারাবিক-ও অ্যক্সিওস সূত্রে একই তথ্য নিশ্চিত করেছে।এদিকে ইরানের আধাসরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, হামলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। বাহিনীটি জানায়, “দোহায় অবস্থিত আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে সরাসরি প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে।”ঘটনার কিছুক্ষণ আগে এক পশ্চিমা কূটনীতিক সতর্ক করে জানান, কাতারে অবস্থিত ওই ঘাঁটির ওপর ইরানের হামলার হুমকি পাওয়া যাচ্ছিল দুপুর থেকেই। পরে নিরাপত্তার কারণে সাময়িকভাবে কাতারের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার।ভোরের আকাশ//হ.র
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে চায় জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (IAEA)। এ লক্ষ্যে সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি-কে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছেন।মঙ্গলবার (২৪ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করা এক বার্তায় বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেন গ্রসি। তিনি লিখেছেন, “ইরান যদি আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা ফের শুরু করে, তাহলে তাদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিতর্ক কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা সম্ভব হবে।”চিঠিটি পাঠানোর খবরটি আসে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে।তবে এখনো ইরানের পক্ষ থেকে এই চিঠির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। যদিও তেহরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালে ইরান জাতিসংঘের এনপিটি (NPT) বা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তখন ইরানে শাসন করছিলেন শাহ রেজা পাহলভী। সেই চুক্তির আওতায় ইরান আইএইএ’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং জানায়, দেশটি কখনোই পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথ বেছে নেবে না।তবে, গত ৬ জুন আইএইএ এক বিবৃতিতে জানায়, ইরান যে মাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করছে, তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। এরপর ১৩ জুন ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই হামলার কারণ হিসেবে আইএইএ’র প্রতিবেদনকেই উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা থেকে বিরত রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ১৬ জুন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, “ইরানে ইসরায়েলি হামলার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে আইএইএ। তাদের প্রতিবেদনই হামলার অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।”সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল ভোরের আকাশ//হ.র