প্রতীকী ছবি
আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশসহ মোট ৯টি দেশের ওপর পর্যটন ও কর্ম ভিসার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই ৯ দেশের নাগরিকরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন।
দেশটির অভিবাসন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, সুদান ও উগান্ডা।
নিরাপত্তা উদ্বেগ, ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং কোভিড-১৯-এর মতো মহামারীকে নিষেধাজ্ঞার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটি। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কারণ প্রকাশ করেনি আমিরাত কর্তৃপক্ষ।
তবে বর্তমানে এর মধ্যে কিছু দেশ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর্যটন ও কর্মক্ষেত্রের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে এই আবেদনের সুযোগ আর থাকবে না ওই দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
‘ঝামেলাবাজ’ আখ্যা দিয়ে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চটেছেন আলোচিত পরিবেশ ও মানবাধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।উল্টো ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই ‘মানসিক রোগী’ হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন সুইডিশ এই অ্যাক্টিভিস্ট।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান গ্রেটা। এতে নিজ চরিত্র নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতি-প্রশংসামূলক মন্তব্য আর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের জন্য ব্যঙ্গ করে ধন্যবাদ জানান তিনি।পোস্টে ট্রাম্পকে খোঁচা মেরে তার কাছ থেকে রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরামর্শ চান গ্রেটা থুনবার্গ। তিনি দাবি করেন, অতীত ট্র্যাক রেকর্ড দেখে বোঝা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যায় ভুগছেন।এর আগে, সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটকের ঘটনায় থুনবার্গকে ঝামেলাবাজ আখ্যা দিয়ে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা ‘গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের নৌবহরে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি জাহাজ আটক করেছে।ফ্লোটিলার বরাত দিয়ে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী প্রথমে ‘কনশানস’ জাহাজে হামলা করে, যেটিতে ৯৩ জন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন। এরপর তারা তিনটি ছোট জাহাজেও হামলা চালিয়ে সেগুলো আটক করে।এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ফ্লোটিলায় অভিযান চালানোর কথা নিশ্চিত করেছে।পোস্টে দাবি করা হয়, আইনগত নৌ-অবরোধ লঙ্ঘনের ও যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।এতে আরও বলা হয়, ‘জাহাজ ও যাত্রীদের ইসরায়েলি বন্দরে পাঠানো হচ্ছে। সব যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। আশা করা হচ্ছে, যাত্রীদের দ্রুত নির্বাসিত করা হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও ত্রাণ নিয়ে সমুদ্রপথে এগিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এর নতুন নৌবহর। বর্তমানে ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে আছে বহরটি।গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এফএফসি। সেই বিবৃতে বলা হয়েছে, আমাদের ফ্লোটিলার নৌবহরটি বর্তমানে গাজার উপকূল থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল (২৭৭ কিলোমিটার) দূরে আছে। কিছু দিন আগে আমাদের ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ মিশনের নৌযানগুলো সাগরের যে এলাকা থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করেছিল, নতুন নৌবহরটি তার কাছাকাছি রয়েছে।এফএফসি জোটের অন্যতম সদস্য সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ব্রেকিং দ্য সিজ অন গাজা গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছে, আমরা গাজার পথে এগিয়ে যাচ্ছি।জানা গেছে, ফ্লোটিলার নতুন এই বহরটিতে আছে খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ৯টি নৌযান। এই নৌযানগুলোতে আছেন ক্রুসহ ১০০-এর অধিক স্বেচ্ছাসেবী।গত আগস্ট মাসে গাজায় খাদ্য, ওষুধবাহী ৪৩টি নৌযান পাঠানোর ঘোষণা দেয় এফএফসি জোট এবং এই মিশনের নাম দেওয়া হয় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’। সুইডেনের নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক ছিলেন সেই মিশনে। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা; কিন্তু গাজার জলসীমায় কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই একে একে সবগুলো নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। নৌযান, ক্রু এবং আরোহীদের নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলের বন্দরে।কয়েক জন অভিযাত্রীকে আটকে রেখেছে ইসরায়েলের সরকার, বাকিদের ফেরত পাঠাচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রেটা থুনবার্গসহ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার শতাধিক অভিযাত্রীকে গ্রিসে ফেরত পাঠানো হয়েছে।গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌযানবহর আটকানো এবং অভিযাত্রীদের বন্দি করার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে ইসরায়েলের।প্রসঙ্গত, গত ১৮ বছর ধরে গাজার সমুদ্র উপকূল অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। গাজায় কোনো সমুদ্রবন্দর নেই এবং ইসরায়েলের অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক কোনো জাহাজ বা নৌযান গাজা উপকূলের কাছাকাছি যেতে পারে না। ফ্লোটিলার নৌবহর সেখানে পৌঁছালে তা হবে ১৮ বছর গাজার উপকূলে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক নৌবহরের নোঙ্গর করা।ভোরের আকাশ/তা.কা
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যামূলক আগ্রাসন তৃতীয় বছরে গড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর বড় অংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। এই হত্যাযজ্ঞে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ বাড়লেও ইসরায়েলকে এখনো অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে একাধিক দেশ ও প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ফলে গণহত্যার অভিযোগ সত্ত্বেও টিকে আছে তেল আবিবের যুদ্ধযন্ত্র।২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির বড় অংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে। ইতালি ও যুক্তরাজ্যও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। এর বাইরে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কিছু সরবরাহকারী এবং ইসরায়েলের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প এই অস্ত্র সরবরাহ নেটওয়ার্ককে সচল রেখেছে। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এক পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে দেখিয়েছে, কীভাবে দেশ ও কোম্পানিগুলো এখনো ইসরায়েলকে অস্ত্র জোগাচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রওয়াশিংটন ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী ও রাজনৈতিক মিত্র। গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার ভেটো দিয়েছে তারা। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের মোট অস্ত্র আমদানির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।বর্তমানে ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সামরিক সহায়তা ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৮ পর্যন্ত চলবে। এর বড় অংশই মার্কিন সামরিক সরঞ্জামে খরচ করতে হয়। তবে এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মজুত থেকে বিশাল অস্ত্রসহায়তা পাঠিয়েছে। সংঘাতের প্রথম বছরেই অন্তত ৬ বিলিয়ন ডলারের গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, অনুমোদিত চুক্তিসহ এই পরিমাণ ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।এর মধ্যে আছে—অ্যাটাক হেলিকপ্টার, শহর এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা উপযোগী যানের জন্য ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি, স্পেয়ার পার্টস ও ডেস্ট্রয়ারের জন্য ৭৫০ মিলিয়ন ডলারসহ কয়েকটি বড় সরবরাহ। ২০২৫ সালের শুরুর দিকেই কংগ্রেস নতুন দুটি চুক্তি অনুমোদন করেছে—একটি ৮ বিলিয়ন ডলারের (বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ), আরেকটি ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের (বোমা, গাইডেন্স কিট, হেলফায়ার মিসাইল)। এগুলোর সরবরাহ ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে হবে।ইসরায়েল ইতিমধ্যেই হাজার হাজার এজিএম–১১৪ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, স্মল ডায়ামিটার বোমা (জিবিইউ ৩৯ /বি), এমকে–৮২ ও এমকে-৮৪ বোমা, জেডিএএম গাইডেন্স কিট, বিএলইউ-১০৯ বাংকার-বাস্টার বোমা, ফিউজ ও আর্টিলারি শেল পেয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাটারপিলার ডি–৯ বুলডোজার ব্যবহার হচ্ছে ঘরবাড়ি ধ্বংস ও ধ্বংসস্তূপ সরাতে। ইটান আর্মার্ড ভেহিকলের জন্য মার্কিন ইঞ্জিনও সরবরাহ করা হয়েছে।এই সব সরবরাহে সক্রিয় মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্টগুলো—বোয়িং, লকহিড মার্টিন, রেথিয়ন, নর্থথ্রপ গ্রুম্যান, হানিওয়েল, কলিন্স এয়ারোস্পেস, জিই অ্যাভিয়েশন, প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি, মুগ ও এল ৩ হ্যারিস। তারা ইসরায়েলকে ফাইটার জেট, গোলাবারুদ, বিমান প্রযুক্তি ও সহায়কব্যবস্থা সরবরাহ করছে।যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিএই সিস্টেমসও যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম চালায় এবং ইসরায়েলকে ইলেকট্রনিক যুদ্ধব্যবস্থা ও ‘ফ্রেন্ড অর ফো’ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি দিচ্ছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর শিল্প ঘাঁটি পাইনে ব্লাফ আর্সেনাল উৎপাদন করছে হোয়াইট ফসফরাস মিউনিশনস, যা জনবহুল এলাকায় ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছে।জার্মানিসিপ্রির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এসেছে জার্মানি থেকে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের বিপরীতে, বার্লিন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে আছে।২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের মে’র মধ্যভাগ পর্যন্ত জার্মানি ৪৮৫ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। যদিও ২০২৪ সালে সরবরাহ কিছুটা কমেছে, তবে সামগ্রিকভাবে ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে জার্মানি।প্রধান সরবরাহের মধ্যে আছে নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, টর্পেডো এবং রাইনমেটালের তৈরি ১২০ মিমি নির্ভুল ট্যাংক গোলা। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডার স্পাইজেলের তথ্যে বলা হয়েছে, এগুলো গাজায় স্থল অভিযানে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। ২০২৪ সালে রাইনমেটালের বিক্রি ৫৮ শতাংশ বেড়েছে।এ ছাড়া, আ্যাটলাস ইলেকট্রনিক ইসরায়েলের ডলফিন-ক্লাস সাবমেরিন রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে ইসরায়েলি কোম্পানি Vsense Technologies-এর সঙ্গে। অন্যদিকে বেসামরিক খাতও জড়িত। জার্মানির মার্সিডিজ-বেঞ্জ তৈরি করছে ভারী ট্রাক, যা ইসরায়েলের মেরকাভা ট্যাংক বহন করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।ইতালিসিপ্রির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের মোট অস্ত্র আমদানির ১ শতাংশ এসেছে ইতালি থেকে। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ হালকা হেলিকপ্টার এবং ৪১ শতাংশ জার্মান ফ্রিগেটের জন্য নৌ কামান। ইতালি এফ-৩৫ প্রোগ্রামেও অংশ নিচ্ছে এবং উপাদান তৈরি করছে। আলত্রেকোনোমিয়ার এক তদন্তে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালি ৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র রপ্তানি করেছে ইসরায়েলে।যুক্তরাজ্যযুক্তরাজ্য সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলেও ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৫ সালের আগস্টে ব্রিটেন থেকে ইসরায়েলে ১ লাখ ১০ হাজার গুলি পাঠানে হয়েছে বলে জানিয়েছে চ্যানেল ৪। ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য সরকার ইসরায়েলের জন্য দেওয়া প্রায় ৩৫০টি অস্ত্র রপ্তানি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত করে। কারণ ছিল, এগুলো গাজায় ব্যবহারের ‘স্পষ্ট ঝুঁকি।’ তবে বাকি অনেক লাইসেন্স বহাল ছিল, যার মধ্যে আছে নৌ প্ল্যাটফর্ম, প্রশিক্ষণ বিমান ও দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রাংশ।এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরির প্রোগ্রামে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা বড়। প্রতিটি জেটের প্রায় ১৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ উৎপাদন করে তারা, যা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের মাধ্যমে ইসরায়েল ব্যবহার করছে। যুক্তরাজ্যের মুগ কোম্পানি ইসরায়েলের এম-৩৪৬ প্রশিক্ষণ বিমানের জন্য ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম সরবরাহ করছে।ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট আর্মস ট্রেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কোম্পানিগুলো অনেক সময় যুক্তরাজ্যে তৈরি উপাদান অন্য অস্ত্রের সঙ্গে মিশিয়ে পুনরায় রপ্তানি করছে।অন্যান্য সরবরাহকারীযুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের বাইরে ইসরায়েল পাচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা। ফ্রান্সের সাফরান বিমান ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ দিচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার হুনিড টেকনোলজিস সরবরাহ করছে ওয়্যারিং হারনেস ও ককপিট সিস্টেম।সব মিলিয়ে এই যুদ্ধ কেবল ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর পেছনে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত এক অস্ত্র নেটওয়ার্ক। ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু বাড়লেও এই নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.