আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫ ১১:১৭ এএম
“ইরানের পরমাণু মজুত আগের স্থানেই রয়েছে”— দাবি ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তার
ইরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত সরিয়ে ফেলেছে—সম্প্রতি এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, ফারদো, নানতাজ ও ইসফাহানের পরমাণু স্থাপনাতেই আগের মতোই রয়েছে ইউরেনিয়ামের মজুত।
টাইমস অব ইসরায়েল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা বলেন, “ইরান এখনও ইউরেনিয়ামের মজুত সরায়নি। আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় এসব স্থাপনাগুলোর কিছু ক্ষতি হয়েছে ঠিকই, তবে ইউরেনিয়ামের মজুতে কোনো প্রভাব পড়েনি।”
জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ (IAEA) জানিয়েছে, ইরান বর্তমানে প্রায় ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত করেছে, যার মান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ। সংস্থাটির মতে, ইউরেনিয়ামটির বিশুদ্ধতার মান যদি ৯০ শতাংশে উন্নীত করা হয়, তাহলে তা দিয়ে পরমাণু বোমা তৈরি সম্ভব।
আইএইএর ওই সতর্কতা প্রকাশের পর ১২ জুন ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে বিমান অভিযান চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। ফারদো, নানতাজ ও ইসফাহানে পরপর গোলাবর্ষণ চালানো হয়। পরে, ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও 'অপারেশন মিডনাইট হ্যামার' নামে সংক্ষিপ্ত একটি অভিযান পরিচালনা করে ওই তিন স্থাপনাকে লক্ষ্য করে।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর মধ্যস্থতায় ২৫ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
যুদ্ধবিরতির পর আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি দাবি করেন, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলেছে। যদিও এই দাবির পক্ষে তেহরান আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি—না তা মেনে নিয়েছে, না অস্বীকার করেছে। তবে এরপর থেকেই আইএইএর সঙ্গে সব সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ইরান।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেন, “ইরান যেন আর কখনও পরমাণু বোমা তৈরির পথে না এগোতে পারে—এজন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ করা এখন জরুরি।”
ভোরের আকাশ//হ.র