সংগৃহীত ছবি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। সীমান্তে তিন দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) স্কটল্যান্ড সফরের সময় ট্রাম্প সোস্যাল মিডিয়া ট্রুথে এক পোস্টে বলেন, আমি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে পেয়েছি, থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কথা হয়েছে।
এরপর আরেকটি পোস্টে তিনি জানান, আমি এই মাত্র থাইল্যান্ডের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বললাম, আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া—দুই দেশই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চায়। আমি এই বার্তা আবার কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেব। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর আমার মনে হচ্ছে—যুদ্ধবিরতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি—এটাই স্বাভাবিক পথ। দেখা যাক কী হয়।
ট্রাম্প বলেন, আমি এখন জটিল একটি পরিস্থিতিকে সরলীকরণ করতে চেষ্টা করছি। অনেক মানুষ এই যুদ্ধে মারা যাচ্ছেন।
ট্রাম্প বানিজ্য বন্ধের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ চলাকালীন দুই দেশের সাথে কোনো বাণিজ্য চুক্তি তিনি এগিয়ে নেবেন না। তিনি বলেন, যতক্ষণ না যুদ্ধ বন্ধ হচ্ছে, ততক্ষণ বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, সীমান্ত নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিরোধ শত বছরের বেশি পুরোনো। গত মে মাসে এ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু করে দুই দেশ। শনিবার পর্যন্ত চলমান সংঘাতে দুই দেশের অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। সীমান্ত এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন দুই দেশের ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার ভেতরে তীব্র ক্ষুধা সংকট ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৭১ জন। একাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে অপুষ্টিজনিত কারণে। রোববার (২৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি অবরোধের ফলে তৈরি দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতিতে শনিবার আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে যুদ্ধ শুরুর পর অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৭ জনে, যাদের মধ্যে রয়েছে ৮৫ জন শিশু।মানবিক সংকট ঘিরে বিশ্বজুড়ে চাপ বাড়তে থাকায়, ইসরায়েল শনিবার রাতে ঘোষণা দেয় যে, রবিবার থেকে তারা ‘বেসামরিক এলাকা ও মানবিক করিডোরে’ তাদের সামরিক অভিযান আংশিকভাবে বিরত রাখবে, যাতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়। তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ‘মানবিক বিরতি’ কোন কোন এলাকায় কার্যকর হবে, সে সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি।এছাড়া, তারা আবারও গাজায় ত্রাণ সরবরাহে ব্যর্থতার জন্য জাতিসংঘকে দায়ী করেছে যা জাতিসংঘ এবং একাধিক মানবাধিকার ও ত্রাণ সংস্থা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেন, গাজায় নিরাপদে সহায়তা বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা তারা পাননি, ফলে ইসরায়েলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। সীমান্তে তিন দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।শনিবার (২৬ জুলাই) স্কটল্যান্ড সফরের সময় ট্রাম্প সোস্যাল মিডিয়া ট্রুথে এক পোস্টে বলেন, আমি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে পেয়েছি, থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কথা হয়েছে।এরপর আরেকটি পোস্টে তিনি জানান, আমি এই মাত্র থাইল্যান্ডের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বললাম, আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে।তিনি আরও বলেন, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া—দুই দেশই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চায়। আমি এই বার্তা আবার কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেব। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর আমার মনে হচ্ছে—যুদ্ধবিরতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি—এটাই স্বাভাবিক পথ। দেখা যাক কী হয়।ট্রাম্প বলেন, আমি এখন জটিল একটি পরিস্থিতিকে সরলীকরণ করতে চেষ্টা করছি। অনেক মানুষ এই যুদ্ধে মারা যাচ্ছেন।ট্রাম্প বানিজ্য বন্ধের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ চলাকালীন দুই দেশের সাথে কোনো বাণিজ্য চুক্তি তিনি এগিয়ে নেবেন না। তিনি বলেন, যতক্ষণ না যুদ্ধ বন্ধ হচ্ছে, ততক্ষণ বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত থাকবে।প্রসঙ্গত, সীমান্ত নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিরোধ শত বছরের বেশি পুরোনো। গত মে মাসে এ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু করে দুই দেশ। শনিবার পর্যন্ত চলমান সংঘাতে দুই দেশের অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। সীমান্ত এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন দুই দেশের ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফ্রান্সের করাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থি লেবানিজ শিক্ষক জর্জেস আবদাল্লা। ৭৪ বছর বয়সি আবদাল্লা দীর্ঘ ৪১ বছর কারাভোগ করেছেন। আবদাল্লা শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ ফ্রান্সের একটি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সরাসরি বেইরুত যাওয়ার জন্য বিমানে ওঠার কথা ছিল।১৯৮৭ সালে ফ্রান্সে একজন আমেরিকান ও একজন ইসরায়েলি কূটনীতিক হত্যা মামলায় আবদাল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে, বামপন্থি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আন্দোলনের কর্মীদের মাঝে তার মুক্তি এখনও তাৎপর্যপূর্ণ। এই আন্দোলনের সঙ্গে তিনি আজও যুক্ত রয়েছেন। তার সাদা দাড়ি ও দৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গি এখনও বামপন্থী বিক্ষোভের ব্যানারে দেখা যায়। প্রতিবছর একবার প্রতিবাদকারীরা তার মুক্তির দাবিতে পাইরেনিজ পাহাড়ের কারাগারের সামনে জমায়েত হতেন। ফ্রান্সের তিনটি বামপন্থী নেতৃত্বাধীন পৌরসভা তাকে ‘সম্মানজনক নাগরিক’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। আবদাল্লা যদিও ১৯৯৯ সাল থেকে জামিনের জন্য আবেদন করতে পারতেন, কিন্তু তার সব আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। সমর্থকরা মনে করেন, এর পেছনে ফ্রান্সের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের চাপ কাজ করেছে।ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, লানেমাজান কারাগারের সেলে বসে আবদাল্লা বলেন, আমি ফিলিস্তিনের সংগ্রামের প্রতি মনোযোগ দিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পেরেছি। যদি সেটা না থাকতো, তাহলে ৪০ বছরের কারাভোগ আমার মস্তিষ্ক নষ্ট করে দিতে পারত। জর্জেস আবদাল্লা ১৯৫১ সালে উত্তর লেবাননের এক খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭০-এর দশকের শেষভাগে তিনি লেবানিজ আর্মড রেভোলিউশনারি ফ্যাকশনস (এলএআরএফ) গঠনে সাহায্য করেন, একটি ছোট মার্কসবাদী দল, যারা ইসরাইল ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করত। সেই সময় লেবাননে গৃহযুদ্ধ চলছিল। ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে আগ্রাসন চালায়, যেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা অবস্থান করছিলেন। আবদাল্লার দল ইউরোপে ইসরায়েল ও মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং ফ্রান্সে পাঁচটি হামলা চালায়। ১৯৮২ সালে দলটির সদস্যরা স্ট্রাসবুর্গে মার্কিন কূটনীতিক চার্লস রে এবং প্যারিসে ইসরাইলি কূটনীতিক ইয়াকভ বারসিমানতোভকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া, একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে দুই ফরাসি বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞ নিহত হন, যার দায় স্বীকার করেছিল এলএআরএফ।আবদাল্লাকে ১৯৮৪ সালে ফ্রান্সের লিয়নে গ্রেপ্তার করা হয়। ফরাসি গোয়েন্দারা তাকে অনুসরণ করছিলেন, আর তিনি ভেবেছিলেন হত্যাকারীরা তাকে অনুসরণ করছে। তাই তিনি নিজে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। প্রথমে তার বিরুদ্ধে শুধু ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার এবং অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে দুই কূটনীতিক হত্যা মামলা দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
সড়কে ছুটছিল গাড়ি, ঠিক সে সময়ই আচমকাই মুখ থুবড়ে পড়ে ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাতে আগুন ধরে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি এ দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবারের ওই দুর্ঘটনায় বিমানের চালক এবং তার সঙ্গিনী, অর্থাৎ একমাত্র যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে আহত হয়েছেন দুটি গাড়ির চালকও। তবে তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে ব্যস্ত সেই হাইওয়েতে প্রচণ্ড গতিতে আছড়ে পড়ে ইতালির একটি ফ্রেসিয়া আরজি আল্ট্রালাইট উড়োজাহাজ। ভিডিয়োতে দেখা গেছে যে রাস্তায় ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে গেছে।বিমান বিধ্বস্তের পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে বিমানের চালক সার্জিও রাভাগলিয়া (৭৫) এবং তার বান্ধবী অ্যান মারি ডি স্টেফানো’র (৬০)। সার্জিও পেশায় আইনজীবী এবং শৌখিন পাইলট ছিলেন। তিনি এবং অ্যান উভয়েই লম্বার্দির রাজধানী শহর মিলানের বাসিন্দা ছিলেন।সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সড়কে বিমানটিকে জরুরিকালীন অবতরণ করানোর চেষ্টা করছিলেন পাইলট। কিন্তু তার পরিবর্তে বিমানটি ভেঙে পড়ে রাস্তায়।ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে জ্বলন্ত বিমানটির পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়া কয়েকটি গাড়ি। সেগুলোর মধ্যে দুটি গাড়ির চালক আহত হয়েছেন। বিমান ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং দমকলবাহিনী। যদিও ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বিমানটি। ব্রেসিয়া শহরের পাবলিক প্রসিকিউটর দপ্তর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ