সংগৃহীত ছবি
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ছাতড়া বাজার বণিক সমবায় সমিতির ত্রি- বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই ) ছাতড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ছাতড়া বাজার বণিক সমবায় সমিতির ২২৫ জন ভোটারের মধ্যে ২১৭ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচনে সভাপতি ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে তাইজ উদ্দিন বিশু (মোরগ) ১৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুলাল হোসেন (ছাতা) ৪৬ পেয়েছেন ভোট। সহ-সভাপতি পদে মহব্বত আলী (হরিণ) ১৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাফ হোসেন (আনারস) পেয়েছেন ৬২ ভোট।
সম্পাদক পদে ২জন প্রার্থীর মধ্যে রাসেল মন্ডল রনি (বাঘ) ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম মুকুল (হাতি) পেয়েছেন ৩৭ ভোট। সদস্য পদের ১০জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন যারা অহিদুল ইসলাম (কাপ পিরিজ) ১৮৭ ভোট, নুরুল আমিন (হাঁস) ১৭০ ভোট, মুস্তাফিজুর রহমান (সেলিং ফ্যান) ১৬৩ ভোট, ইমরান আলী (উড়োজাহাজ) ১৬২ ভোট, আব্দুল্লাহ আল জাঈদ (দোয়াত কলম) ১৫৭ ভোট, জিয়াউল হক (বাইসাইকেল) ১৫৭ ভোট, আরিফুল ইসলাম (টেলিভিশন) ১৩৯ ভোট, আজাদ আলী (মই) ১২০ ভোট। সদস্য পদে নাসির উদ্দিন (টেবিল) ৯২ ভোট, মোবারক আলী মন্ডল (তালা চাবি) ১০৪ ভোট পেয়ে পরাজয় হয়েছেন।
উপজেলা সমবায়ের সহকারী পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান, নির্বাচনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাঠে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল। তিনি শান্তি পূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ জানান।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন চর মানিকা ইউনিয়নে দক্ষিণ পূর্ব চর আইচা যৌথ কৃষি খামার সমবায় সমিতি লিমিটেড এর নবনির্মিত কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমিতির কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার আ.ফ.ম. নুরুল আমিন (শাহাজাহান) এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সভাপতি আবুল কাসেম মাস্টার।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মিয়া, মাহফুজ মিয়া, শামসুল আলম মিয়া এবং অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম। এছাড়াও, দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, থানা যুবদল সভাপতি ইকবাল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক কবির গাজী, স্বেচ্ছাসেবক দলের থানা সভাপতি মো. সোহেল, শ্রমিকদল থানা সভাপতি হারুন আখন, মো. সেলিম মৃধা, হারুন মিয়া প্রমুখ। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বজলুর রহমান অনুষ্ঠানটি সুচারুরূপে পরিচালনা করেন।দক্ষিণ পূর্ব চর আইচা যৌথ কৃষি খামার সমবায় লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. বজলুর রহমান তাঁর বক্তব্যে সমিতির সদস্যদের দীর্ঘদিনের ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা এবং তা নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই সমিতির সদস্যরা অত্যন্ত নিরীহ, যাদের অনেকেই ভূমিহীন এবং ভূমি বন্দোবস্তের কাগজই তাদের প্রধান অবলম্বন। কিন্তু ভূমি অফিসের কিছু অসাধু দালাল ও কর্মচারীর যোগসাজশে এই জমির ওপর 'দোকর বন্দোবস্ত' সৃষ্টি করে হাতে তৈরি কিছু জাল দলিল, যেমন – ভুয়া প্রিন্টেড ম্যাপ, খতিয়ান ও পর্চা দেখিয়ে সমিতির সদস্যদের সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বন্দোবস্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।বিষয়টি জানতে পেরে সমিতির কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। জেলা যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে ৫৯৭/১৫ নম্বর মামলা রুজু করে চরফ্যাশন উপজেলায় উক্ত জমির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। মাননীয় বিচারক চরফ্যাশন ভূমি অফিস থেকে মামলার আওতাধীন ভূমির সকল রেকর্ডপত্র তলব করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ভূমি অফিসের রেকর্ড পর্যালোচনা করে আদালত সমিতির সদস্যদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। গত ০৬/০৫/২০২৪ তারিখে 'দোকর বন্দোবস্ত' বাতিল এবং দো-তরফা সূত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার রায় ডিক্রি প্রদান করা হয়।এ প্রসঙ্গে আরও উল্লেখ করা হয় যে, হাতে সৃজিত ডিয়ারা প্রিন্টেড ম্যাপ, খতিয়ান, পর্চা এবং জাল খাজনা রশিদ বাতিলের দাবিতে সমিতি কর্তৃপক্ষ উক্ত জমির সকল কাগজপত্র ও রায়ের কপিসহ গত ১৭/১১/২০২৪ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর এবং গত ০২/১২/২০২৪ তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি), চরফ্যাশন উপজেলা বরাবর আবেদন করেন। সমিতির অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে গত ০৮/০১/২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর পুনরায় আবেদন করা হয় এবং জরিপ অধিদপ্তরকেও আবেদনের মাধ্যমে অবগত করানো হয়। মো. বজলুর রহমান দৃঢ়তার সাথে জানান যে, ভূমিদস্যু ও দালালচক্র সমিতির সদস্যদের জমি বেদখল করার জন্য এখনও বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে চলেছে, তবে সমিতি তাদের অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দেশ ও জাতির উন্নয়ন, সমিতির সফলতা এবং সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ কামনা করে এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা সিরাজুল হক। দোয়া মাহফিলে সমিতির পাঁচ শতাধিক সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন এবং সমিতির সদস্যদের আবাদকৃত ফসল পরিদর্শন করেন। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সমিতির ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সাম্প্রতিক অমাবস্যা ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ। ঘর-বাড়িতে ঢুকে পড়েছে নদীর পানি, রান্নাঘর ঠাঁই নিয়েছে উঠানে, কেউ কেউ আবার আশ্রয় নিয়েছেন পাশের স্কুলঘরে। ঠিক এই দুর্দিনে আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে পিরোজপুর জেলা বিএনপি।রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন নিজেই হাজির হন বালিপাড়া ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকায়। সঙ্গে ছিল দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের টিম। পানিবন্দি পরিবারগুলোর দোরগোড়ায় গিয়ে ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ পৌঁছে দেন তারা। ত্রাণ নয়—এটা যেন ছিল এক ধরনের সহানুভূতির প্রকাশ, এক ধরনের দায়িত্ববোধ থেকে উঠে আসা কর্মসূচি। ঘরভর্তি পানি, সন্তান কোলে বসে থাকা মা কিংবা বৃদ্ধ বাবার মলিন মুখের সামনে দাঁড়িয়ে বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেন বলেন, এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দুর্যোগ এলে সরকার আসে, বড় সংস্থাগুলো আসে কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো কী করে? বিএনপি মাঠে আছে শুধু রাজনীতির জন্য নয়, মানুষের দুঃসময়ে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য। আমরা যতটুকু পারি, ততটুকুই নিয়ে এসেছি। এটা যদি কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে, সেটাই আমাদের প্রাপ্তি।এসময় তিনি আরও বলেন, এই প্লাবনে হাজারো পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। কারও ঘরের চাল নষ্ট হয়েছে, কারও খাওয়ার মতো শুকনো খাবারটুকুও নেই। এমন দুঃসময়ে মানুষের পাশে না দাঁড়ালে রাজনীতির কোনো মূল্য থাকে না। তাই আমরা শুধু ত্রাণ নয় মানবিকতা নিয়েই মানুষের কাছে এসেছি।স্থানীয় এক বৃদ্ধা বলেন, তিন দিন হইল পানির মধ্যে। চুলা জ্বলে না। বিএনপির লোকজন আইছে, কিছু চাল, ডাইল আর নগদ ট্যাকা দিছে। আল্লাহ যেন এদের ভালো রাখে।এই ত্রাণ ও অর্থ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আঃ রাজ্জাক হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ফারুক হোসাইন, মোস্তান হাফিজ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ শাহিদুল ইসলাম, চন্ডিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ দুলাল ফকির ও সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত হোসেন, বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও সদস্য সচিব মোঃ জলিল হোসেন, সদর ইউনিয়নের মোহাম্মদ হাফিজুল তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউনুস আকন এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ/জাআ
ভাসমান সবজি চাষ কীভাবে শুরু হয়েছিল, নির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারেননি। মুগারঝোড় গ্রামের কৃষক মো. ফেরদাউস (৫০) বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ভাসমান সবজি চাষ করে আসছি। আমাদের বাবা-দাদারা এইভাবে চাষ করতেন।পিরোজপুরের নাজিরপুরের প্রত্যন্ত এলাকা দেউলবাড়ী দোবড়া, কলার দোয়ানিয়া ও মালিখালী ইউনিয়নের অধিকাংশই বিল। এখানকার বাসিন্দারা বছরের প্রায় ছয় মাস পানিবন্দি থাকে। এক মৌসুমের ফসলে তাদের অভাব-অনটনের মধ্যে থাকতে হয়। তবে তাদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিয়েছে ভাসমান সবজি চাষ। লাভজনক হওয়ায় সহস্রাধিক কৃষক এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করছেন। বর্তমানে এ উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জলাশয়ে ভাসমান সবজি চাষ হচ্ছে। দুইশ’ বছরেরও আগে থেকে চলে আসা এ বিরল কৃষি পদ্ধতি আজ দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব স্বীকৃতি অর্জন করেছে।জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই স্বীকৃতিপত্র বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরাও বর্তমানে জলমগ্ন জলাভূমিতে এ ধরনের বিশেষ পদ্ধতির চাষাবাদের প্রশিক্ষণসহ কৃষকদের ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করছেন।নাজিরপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে বৈঠাকাটা বাজার সন্নিহিত মুগারঝোর গ্রামের জলাভূমিসহ বিলাঞ্চলের ১৮০ হেক্টর জমিতে নয়নাভিরাম ব্যতিক্রমী এ চাষাবাদের ব্যাপকতা দেখা মেলে। ভাসমান বেড তৈরি: বর্ষার শুরু অর্থাৎ আষাঢ় থেকে কার্তিক পর্যন্ত এ পাঁচ মাস কৃষকদের ভাসমান ধাপের ওপর ৪১ প্রজাতির শাক-সবজির চারা উৎপাদন ও তা বিক্রির সময়। আষাঢ়ে এসব গ্রামের নিচু জমি পানিতে প্লাবিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা নেমে পড়ে ধাপ চাষে। কচুরিপানা, দুলালীলতা, শ্যাওলা, টেপাপানা, গুঁড়িপানা ইত্যাদি জলজ উদ্ভিদের সঙ্গে খড়কুটা এবং নারিকেলের ছোবড়াগুঁড়া মিলিয়ে স্তরে স্তরে সাজিয়ে তৈরি করা হয় ভাসমান বীজতলা বা ধাপ। যা পচে তৈরি হয় জৈবসার। ১০০-১৮০ ফুট লম্বা, ৫-৬ ফুট চওড়া এবং এক-দেড় ফুট পুরু বীজতলা পানিতে তৈরি হয়, যা থাকে ৮-১০ ফুট পানিতে ভাসমান।পুরুষরা ধাপ তৈরি, চারা স্থাপন, পরিচর্যা ও চারা বিক্রির কাজ করে। নারীরা ও ছোট ছেলেমেয়েরা বাড়িতে বসে চারা তৈরির প্রাথমিক স্তর অর্থাৎ বীজের অঙ্কুরোদ্গম ঘটানোর কাজ করে। শ্যাওলা, নারিকেলে ছোবড়া ও কেঁচো সার ইত্যাদি দিয়ে ছোট ছোট বল আকারের বস্তু তৈরি করে থাকে। স্থানীয় ভাষায় একে টেমা বা দৌল্লা বলে। এর মধ্যে বীজ রেখে অঙ্কুরোদ্গম ঘটানো হয়। যা পরে ভাসমান বীজতলা বা ধাপের উপর স্থাপন করে নির্দিষ্ট সময় পরিচর্যার পর চারায় পরিণত করা হয়। সরজমিন দেখা যায়, বিলাঞ্চলের বিলের পানির উপর ভাসমান বেডে শসা, কাঁকরোল, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, বেগুন, টমেটো, পেঁপে, মরিচের চারা এ ছাড়া লালশাক, পালংশাক, মুলাসহ নানা প্রকার সবজির সমারোহ। বিলের পানি ছাড়াও এই পদ্ধতিতে বাড়ির পাশে জলাশয়ে সবজি চাষ করা হচ্ছে। সরজমিন আরও দেখা যায়, শীতের সিজনে বিলের পানি অনেকটা কমে গেছে এবং এ সবজি চারা বিক্রি করার পরে এখানেই রোপণ করা হবে বো?রো ধান। মুগারঝোর গ্রামের ইব্রাহীম (৬০) বলেন, এলাকার অধিকাংশ জমিতে এক ফসল হয়। বছরে প্রায় ৬ মাস পানিতে তলিয়ে থাকে। আগে অভাব অনাটন লেগেই থাকতো।পরে ভাসমান সবজি চাষ শুরু করার পরে এখন আর আমাদের পেছনে ফিরে তাকানো লাগে না। এই সবজি চারা এবং সবজি তোলা হলেই বিরি ধান রোপণ করা হবে। এবার ২০টি বেডে সবজি চারা চাষ করেছি। বেড প্রতি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১১ হাজার টাকা, চারা বিক্রি গেল বছরের তুলনায় এ বছর দাম কিছু বৃদ্ধি থাকায় আশাকরি বেড প্রতি ২০ হাজার টাকার চারা বিক্রি করতে পারবো। দেউলবাড়ী গ্রামের রাজে আলী বলেন ‘সপ্তাহে দু’দিন গাওখালী ভাসমান নৌকায় হাট এবং গাওখালী বাজারে সবজি নিয়ে বিক্রি করি। কখনো কখনো ব্যবসায়ীরা এসে বাড়ি থেকেই সবজি কিনে নিয়ে যান। বিষমুক্ত হওয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে এসব সবজির। এখান থেকে সবজি এবং চারা ট্রাকে এবং নদী পথে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়, ঢাকায়ও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাতুন্নেছা এশা বলেন, উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে ২১৭৫টি ভাসমান বেড রয়েছে। পরিবেশবান্ধব ও জৈব পদ্ধতিতে এ ফসল আবাদ করা হয়। চাষের খরচ তুলনামূলকভাবে খুবই কম। সেচের প্রয়োজন পড়ে না। খুব কম সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করা যায়ভোরের আকাশ/জাআ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদন, দ্রুত ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের পদত্যাগের দাবিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মহাসড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, কোষাধ্যক্ষ,শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ স্থানীয়রা।রোববার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটা থেকে বেলা বারটা পর্যন্ত উপজেলার বিসিক বাসষ্ট্যান্ডে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। একই সাথে চলে মানববন্ধন কর্মসূচি।ছবি : ভোরের আকাশমানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ চলাকালে বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ নয় বছর অতিবাহিত হলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস পায়নি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। ভাড়া ভবনে কোন রকমে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড চললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। নেই কোন আবাসিক হল, খেলার মাঠ। শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ৫১৯ কোটি টাকা প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হলেও একনেকে ডিপিপি অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। অতিদ্রুত ডিপিপি অনুমোদন দিয়ে ক্যাম্পাস নির্মানের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে।ছবি : ভোরের আকাশএ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ার জন্য বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে দায়ি করে তার পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস এম হাসান তালুকদার, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর সুমন কান্তি বড়ুয়া, ট্রেজারার ফিরোজ আহম্মেদ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি, স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয়রা।ভোরের আকাশ/এসএইচ