সংগৃহীত ছবি
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার হলে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানায় দলটি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ এবং লিখিত বক্তব্য পেশ করেন মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
দাবিসমূহ
১. আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।
২. ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল খুন, গুম, গণহত্যা ও অপর্কমের দ্রুত বিচার করতে হবে।
৩. দ্রুততম সময়ের মধ্যে মৌলিক প্রয়োজনী সংস্কারসম্পন্ন করে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। অবাধ-নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বাংলাদেশের জনগণ পতিত স্বৈরাচারী শক্তির পুনরুত্থান চায় না। সে ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে খেলাফত মজলিস মনে করে, রাজনৈতিক ভিন্নমত, সমালোচনা ও প্রতিযোগিতা সৃজনশীল রাজনীতির অংশ। তবে বিভাজন, বিভেদ, প্রতিহিংসা ও পারস্পরিক অশোভন ভাষায় আক্রমণ সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি নয় বরং জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের কারণ হতে পারে।
৫. বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামী শক্তির শক্তিশালী ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে ইসলামী দল ও মসলকসমূহের ঐক্যের ওপর সবশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি আসনের বিপরীতে একজন মাত্র প্রার্থী দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প ঘোষণা করছে।
৬. খেলাফত মজলিস এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগস্ট মাসের মধ্যে ৩০০ আসনে পর্যায়ক্রমে প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইতোমধ্যে ১০০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, "আমরা নতুন সরকার পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু এখনও নতুন দেশ পাইনি।" তিনি জানান, নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে না তোলা পর্যন্ত এনসিপির আন্দোলন চলতেই থাকবে।শনিবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টায় কিশোরগঞ্জে আয়োজিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।নাহিদ ইসলাম বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরও জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি। সমাজে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি এখনো বিরাজমান। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ব্যবস্থাকে সংস্কার না করে পুরোনো কাঠামো ধরে রাখা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম নতুন সরকার, নতুন সংবিধান ও নতুন রাষ্ট্র।"তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে নাগরিক সুবিধা পৌঁছাবে—এটাই আমাদের স্বপ্ন ছিল। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু শিক্ষক নেই, হাসপাতাল আছে কিন্তু চিকিৎসক নেই। কিশোরগঞ্জ রাষ্ট্রপতি পেলেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের অধিকার পায়নি। বাজেট আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। এই রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতেই দেশ তুলে দিয়েছিলেন এবং মানুষের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিলেন।"তিনি কিশোরগঞ্জবাসীকে স্মরণ করিয়ে বলেন, "এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এই জনপদের মানুষরাই।"তরুণদের গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান তরুণদের নেতৃত্বেই হয়েছিল। সেই তরুণদের উপর ভরসা রেখেই আমাদের এগোতে হবে। তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাতে না পারলে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।"তিনি আরও অভিযোগ করেন, "আজও কিশোরগঞ্জে গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট মামলার অনেক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। শহীদ পরিবার ও আহতদের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হুমকি দিচ্ছে। আমরা দেখতে চাই, কারা এই সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।"এর আগে, রাত ৮টায় কিশোরগঞ্জ শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা শুরু করে পুরানথানা এলাকায় সমাবেশস্থলে পৌঁছান নেতাকর্মীরা। এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে শহরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সমাবেশ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমীন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহনাফ সাঈদ খান, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক আকরাম হোসেন রাজ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক খায়রুল কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন ও সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ//হ.র
আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এদিন ১৪ টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন তিনি আগামী চার পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। এর চেয়ে আনন্দের বার্তা আর কিছু হতে পারে না।তিনি বলেন, নৈরাজ্যের সমাধান করবে নির্বাচন। এর মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।বৈঠক শেষে বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের প্রধান সমস্যা আইন শৃঙ্খলার অবনতি। আর কোন অভিযান চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসবে?জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস জানান, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান জানান, প্রধান উপদেষ্টাকে অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে বলেছেন তারা। নির্বাচিত সরকার থাকলে দেশে সন্ত্রাস কমবে।এর আগে দুই দফায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর আজ বিকেলে আরও ১৪টি দল–জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই আন্দোলনের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা যথাযথভাবে পালন করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার ভিক্ষা চায় না, তারা চায় সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে’ আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আজও জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হয়নি, যা দুঃখজনক। শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি- এ নিয়ে আমরা অনুতপ্ত। ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা চলছে, কিন্তু কার্যত কোনো অগ্রগতি নেই।’তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধারা না থাকলে আজ আমরা হয়তো কেরানীগঞ্জ কিংবা কাসেমপুরে বন্দি থাকতাম। তাদের অবদান কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। শহীদ পরিবারগুলোর পাশে থাকার অঙ্গীকারে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। প্রয়োজন হলে তাদের সম্মানের জীবন নিশ্চিত করতে ভিক্ষাও করব। কিন্তু ন্যায়বিচার ও পুনর্বাসনে ছাড় দেব না।’তিনি বলেন, শহীদ পরিবারের জন্য যথাযথ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা অনুকম্পা নয়, বরং তাদের প্রাপ্য অধিকার। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় চাকরির মাধ্যমে তাদের জীবনমান নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার হলে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানায় দলটি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ এবং লিখিত বক্তব্য পেশ করেন মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।দাবিসমূহ ১. আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। ২. ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল খুন, গুম, গণহত্যা ও অপর্কমের দ্রুত বিচার করতে হবে। ৩. দ্রুততম সময়ের মধ্যে মৌলিক প্রয়োজনী সংস্কারসম্পন্ন করে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। অবাধ-নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। ৪. বাংলাদেশের জনগণ পতিত স্বৈরাচারী শক্তির পুনরুত্থান চায় না। সে ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে খেলাফত মজলিস মনে করে, রাজনৈতিক ভিন্নমত, সমালোচনা ও প্রতিযোগিতা সৃজনশীল রাজনীতির অংশ। তবে বিভাজন, বিভেদ, প্রতিহিংসা ও পারস্পরিক অশোভন ভাষায় আক্রমণ সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি নয় বরং জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের কারণ হতে পারে। ৫. বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামী শক্তির শক্তিশালী ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে ইসলামী দল ও মসলকসমূহের ঐক্যের ওপর সবশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি আসনের বিপরীতে একজন মাত্র প্রার্থী দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প ঘোষণা করছে। ৬. খেলাফত মজলিস এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগস্ট মাসের মধ্যে ৩০০ আসনে পর্যায়ক্রমে প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইতোমধ্যে ১০০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ