স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫ ০২:৫৬ এএম
নকল ওষুধ চিনে ফেলার ৫টি সহজ উপায়
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৫ হাজার রকমের ওষুধ তৈরি হয়, তবে সরকারের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ মাত্র ৪ হাজার ওষুধেই রয়েছে। ফলে বাজারে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি ক্রমেই বেড়ে চলছে। এই ধরনের ওষুধ গ্রহণ করলে রোগ সারার বদলে আরও অবনতি ঘটতে পারে। তাই নকল ও আসল ওষুধ পার্থক্য করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সরকারি তদারকির পাশাপাশি নাগরিকরাও সচেতন হয়ে ওষুধের সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুসারে পণ্য যাচাই-বাছাই করা ভোক্তার মৌলিক অধিকার এবং কেউ যদি এই যাচাইয়ে বাধা দেয়, তার শাস্তির বিধান রয়েছে।
নকল ওষুধ চেনার সহজ ও কার্যকর ৫টি উপায়:
১. প্যাকেজিং ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ পরীক্ষা করুন
আসল ওষুধের প্যাকেজিং থাকে নিখুঁত, স্পষ্ট লোগোসহ, যেখানে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ, ব্যাচ নম্বর এবং মূল্য (এমআরপি) পরিষ্কারভাবে লেখা থাকে। নকল ওষুধের প্যাকেজিং প্রায়ই ঝাপসা বা অস্পষ্ট, লোগো বাঁকা বা অদ্ভুত দেখায়।
২. কিউআর কোড স্ক্যান করুন
আসল পণ্যে থাকে একটি সক্রিয় কিউআর কোড বা হলোগ্রাম, যা স্ক্যান করলে উৎপাদন সংস্থা, উৎপাদনের তারিখ, ব্যাচ নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। যদি স্ক্যান করার পর তথ্য না আসে বা ভুল তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে বুঝবেন ওষুধটি নকল।
৩. ওষুধের রং ও আকার পরীক্ষা করুন
ব্যবহারের আগে ওষুধের রং, আকার, গঠন ভালো করে দেখুন। ভাঙা অংশ, গুঁড়োর অতিরিক্ত পরিমাণ বা অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য থাকলে সতর্ক থাকুন এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৪. ওষুধের শক্তি বা নরমত্ব লক্ষ্য করুন
ওষুধের গঠন একসঙ্গত কিনা, ফোলা অংশ বা দাগ আছে কিনা পরীক্ষা করুন। বিশেষ করে ক্রিস্টাল জাতীয় ওষুধের ক্ষেত্রে পূর্বের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।
৫. ওষুধের দাম যাচাই করুন
যদি কোনো ওষুধের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে কম বা বেশি হয়, তাহলে সেটি সন্দেহজনক। অনেক সময় নকল ওষুধ কম দামে বিক্রি হয়। এমন ক্ষেত্রে ওই দোকান থেকে ওষুধ না কেনাই ভালো।
সতর্কতা অবলম্বন করে ওষুধ কেনাকাটা করলে আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে। প্রয়োজন হলে সরকারি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং নিশ্চিত হয়ে ওষুধ গ্রহণ করুন।
ভোরের আকাশ//হ.র