ফাইল ছবি
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৬৬ জন, ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫ জন, ঢাকা বিভাগে ৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৯ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৮ হাজার ৬২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মারা গেছেন ৭০ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৫ হাজার রকমের ওষুধ তৈরি হয়, তবে সরকারের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ মাত্র ৪ হাজার ওষুধেই রয়েছে। ফলে বাজারে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি ক্রমেই বেড়ে চলছে। এই ধরনের ওষুধ গ্রহণ করলে রোগ সারার বদলে আরও অবনতি ঘটতে পারে। তাই নকল ও আসল ওষুধ পার্থক্য করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।সরকারি তদারকির পাশাপাশি নাগরিকরাও সচেতন হয়ে ওষুধের সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুসারে পণ্য যাচাই-বাছাই করা ভোক্তার মৌলিক অধিকার এবং কেউ যদি এই যাচাইয়ে বাধা দেয়, তার শাস্তির বিধান রয়েছে।নকল ওষুধ চেনার সহজ ও কার্যকর ৫টি উপায়:১. প্যাকেজিং ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ পরীক্ষা করুনআসল ওষুধের প্যাকেজিং থাকে নিখুঁত, স্পষ্ট লোগোসহ, যেখানে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ, ব্যাচ নম্বর এবং মূল্য (এমআরপি) পরিষ্কারভাবে লেখা থাকে। নকল ওষুধের প্যাকেজিং প্রায়ই ঝাপসা বা অস্পষ্ট, লোগো বাঁকা বা অদ্ভুত দেখায়।২. কিউআর কোড স্ক্যান করুনআসল পণ্যে থাকে একটি সক্রিয় কিউআর কোড বা হলোগ্রাম, যা স্ক্যান করলে উৎপাদন সংস্থা, উৎপাদনের তারিখ, ব্যাচ নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। যদি স্ক্যান করার পর তথ্য না আসে বা ভুল তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে বুঝবেন ওষুধটি নকল।৩. ওষুধের রং ও আকার পরীক্ষা করুনব্যবহারের আগে ওষুধের রং, আকার, গঠন ভালো করে দেখুন। ভাঙা অংশ, গুঁড়োর অতিরিক্ত পরিমাণ বা অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য থাকলে সতর্ক থাকুন এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।৪. ওষুধের শক্তি বা নরমত্ব লক্ষ্য করুনওষুধের গঠন একসঙ্গত কিনা, ফোলা অংশ বা দাগ আছে কিনা পরীক্ষা করুন। বিশেষ করে ক্রিস্টাল জাতীয় ওষুধের ক্ষেত্রে পূর্বের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।৫. ওষুধের দাম যাচাই করুনযদি কোনো ওষুধের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে কম বা বেশি হয়, তাহলে সেটি সন্দেহজনক। অনেক সময় নকল ওষুধ কম দামে বিক্রি হয়। এমন ক্ষেত্রে ওই দোকান থেকে ওষুধ না কেনাই ভালো।সতর্কতা অবলম্বন করে ওষুধ কেনাকাটা করলে আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে। প্রয়োজন হলে সরকারি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং নিশ্চিত হয়ে ওষুধ গ্রহণ করুন।ভোরের আকাশ//হ.র
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৩৩১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।শনিবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন করে বরিশাল বিভাগে ১৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ জন ভর্তি হয়েছেন।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৯৩ জন।২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৬৬ জন, ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫ জন, ঢাকা বিভাগে ৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৯ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৮ হাজার ৬২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মারা গেছেন ৭০ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনায় ঘটেছে। দুর্ঘটনায় দগ্ধদের উদ্দেশে ডা. তাসনিম জারার ৭টি পরামর্শ দিয়েছেন।সোমবার (২১ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব পরামর্শ দেন।ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, আজকের দুর্ঘটনায় অনেক শিশু গুরুতর পোড়া আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এ রকম ঘটনায় রোগীর জীবন বাঁচানোর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তাকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করা। আমরা সবাই সাহায্য করতে চাই। কিন্তু অনেক সময় না জেনে কিছু করলে ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। আর পোড়ার পরের ইনফেকশন সাধারণ ইনফেকশনের মতো না। এটা অনেক বেশি মারাত্মক হতে পারে। কারণ পোড়ার ফলে ত্বকের বাইরের স্তরটা ধ্বংস হয়ে যায়। কখনো কখনো ত্বকের সবগুলো স্তরই ধ্বংস হয়ে যায়। অথচ এই ত্বকই আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় সুরক্ষা-পর্দা। ব্যাকটেরিয়া আর অন্যান্য জীবাণু যাতে শরীরে ঢুকতে না পারে, সেটাই ছিল এর কাজ। যখন ত্বক পুড়ে যায়, তখন শরীর উন্মুক্ত হয়ে পড়ে ইনফেকশনের কাছে।এ ছাড়া পোড়া রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক সময় কমে যায়। শরীর প্রচুর তরল ও প্রোটিন হারায়, রক্তে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়। এই সব মিলিয়ে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে খুব অল্প সময় লাগে। শুরুতে সামান্য জ্বর দিয়ে শুরু হলেও সেটা দ্রুত রক্তে ছড়িয়ে গিয়ে সেপসিস করতে পারে, যা অনেক সময় মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।তাই যারা রোগীকে দেখতে যাচ্ছেন বা বিভিন্নভাবে রোগীকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য কিছু তথ্য। এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে বড় ক্ষতি এড়ানো সম্ভব:১. রোগীর আশপাশে ভিড় করবেন না। যদি কোন কারণে যেতেই হয়, ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে যাবেন। রোগীর বেড বা ফার্নিচার স্পর্শ করবেন না। গ্লাভস, মাস্ক, গাউন ব্যবহার করতে পারলে আরও ভালো।২. ৭০% অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনে রাখুন। কেউ যদি দেখতে আসেন, তাকে রোগীর বিছানায় না বসতে বলুন।৩. অনেকেই প্রাথমিকভাবে পোড়া জায়গায় ডিম, টুথপেস্ট বা ঘরোয়া কিছু লাগান। দয়া করে এসব করবেন না। এগুলো ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়, আর পোড়া জায়গার আসল অবস্থা বোঝাও কঠিন হয়।৪. ড্রেসিং পরিবর্তনের আগে ও পরে ভালো করে হাত ধুতে হবে। কোন কারণে যদি আপনার ড্রেসিং পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে ডাক্তার বা নার্সদের কাছ থেকে ভালো করে শিখে নিতে হবে কীভাবে ড্রেসিং করতে হয়। না জেনে এই কাজে হাত দেওয়া ঠিক না।৫. প্রতিবার ড্রেসিংয়ের সময় পোড়া জায়গা খেয়াল করে দেখতে হবে। যদি ফোলা বাড়ে, ব্যাথা বেড়ে যায়, বা পুঁজের মতো কিছু দেখা যায়, অবিলম্বে চিকিৎসককে জানাতে হবে।৬. যেসব রোগীর শ্বাসনালী পুড়ে গেছে, তাদের যদি শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।৭. টিটেনাস টিকা দেওয়া আছে কি না জেনে নেবেন। না থাকলে চিকিৎসককে জানাতে হবে।ভোরের আকাশ//হ.র