আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫ ০২:৫৯ এএম
‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ স্টারমারকে ২ শতাধিক ব্রিটিশ এমপির চিঠি
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারকে চিঠি দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সের ২২১ জন সংসদ সদস্য (এমপি)। শুক্রবার (২৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এই চিঠি জমা দেন তারা। খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী এমপিদের মধ্যে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন। এমনকি প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির কয়েকজন এমপিও এই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে মোট আসন সংখ্যা ৬৫০টি। সেই হিসাবে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এমপি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, বর্তমান সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রায়নার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার-এর নামও রয়েছে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমরা জানি, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার একক ক্ষমতা যুক্তরাজ্যের নেই। তবে ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্যের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থান থেকে যদি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাহলে তা দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
চিঠি প্রদানের দুই দিন আগেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফ্রান্স। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
ফ্রান্সের এই ঘোষণার পরপরই ব্রিটিশ এমপিরা প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে অনুরোধ জানিয়ে এই চিঠি দেন।
তবে এমপিদের এই চিঠির জবাবে প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার জানিয়েছেন, ‘এখনই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার উপযুক্ত সময় নয়।’
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া সেই শান্তিপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপ। তার আগে জরুরি কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে— গাজায় ইসরায়েলের হাতে আটক সব জিম্মির মুক্তি এবং একটি কার্যকর ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। এসব বাস্তবায়ন না হলে স্বীকৃতির কোনো অর্থ থাকবে না।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্য তার মিত্রদের সঙ্গে মিলে গাজায় যুদ্ধাবসান ও মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
সূত্র: আলজাজিরা, আরটি
ভোরের আকাশ//হ.র