সংগৃহীত ছবি
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতন ও চাকরির শর্তসংশ্লিষ্ট ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আটকা পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা। শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের ব্যাপক ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। তাঁদের ছাত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস (টিয়ার গ্যাস) ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।
রোববার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে গাজীপুর ইউনিয়নের জৈনা বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েক শত শ্রমিক।
শ্রমিকরা জানায়, দীর্ঘ সাত মাসের চুক্তি (অ্যাগ্রিমেন্ট) অনুযায়ী বেতন-ভাতা বকেয়া পড়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ নয়, কাল- এমন করে আমাদের শ্রমিকদের ঘুরাচ্ছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ কেন আমাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করছে না? বাধ্য হয়ে কারখানার শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমেছি। দাবি আদায় করে ফিরব।
আরএকে সিরামিক কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, তাদের দাবিগুলো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শ্রমিকেরা আমাদের কথা না শুনে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানার পুলিশ, শিল্প পুলিশের একটি দল শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এ সময় শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও জেলার সর্বত্র চলাচলের অনুমতি প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালে জন্য ধর্মঘট পালন করছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ও মালিকরা। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে পুরো জেলায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।এর আগে, গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা পরিবহণ মালিক সমিতির জরুরি বৈঠকে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়৷সংগঠনটির সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বলা হয়, সড়কে ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিয়ত হয়রানির পাশাপাশি অটোরিকশা আটক এবং ছাড়ানোর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। এছাড়া বর্তমানে শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা পু্লিশ জব্দ করে রেখেছে বলেও বৈঠকে দাবি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জব্দকৃত অটোরিকশাগুলো ছাড়াসহ কয়েকটি দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলায় ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।এদিকে, ধর্মঘটের কারণে রোববার সকাল থেকে জেলার সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডগুলো থেকে কোনো অটোরিকশা চলছে না। চালক ও মালিকরা স্ট্যান্ডে বসে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা৷ অটোরিকশা না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে ছুটছেন। এছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকগুলো বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন যাত্রীরা।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হেফজুল করিম ভোরের আকাশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম সুমনকে মুঠোফোনে বলেন, 'কোনো কারণ ছাড়াই ট্রাফিক পুলিশ অটোরিকশা চালকদের হয়রানি করে; গাড়ি আটকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে পুলিশ প্রতিনিয়ত হয়রানি করে। এ সব কারণে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।'তাদের দাবি, ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ না দিলে মামলা ও জরিমানার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছে। এছাড়াও বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি লাইসেন্স কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। ফলে মালিক-চালকরা আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।বিআরটিএ'র মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ প্রতিবেদককে জানান, "আমি এখানে নতুন এসেছি। আমাদের পরিচালক মহোদয় কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।" শ্রমিকদের ভাষ্য, আমাদের আটক গাড়ি নিঃশর্তভাবে ছাড়তে হবে। পারমিট অনুযায়ী জেলার সর্বত্র চলতে দিতে হবে ও জেলা ট্রাফিকের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তাদের দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলে জানান সিএনজি নেতারা।ভোরের আকাশ/জাআ
রাজশাহীর পুঠিয়ায় শিলমাড়িয়ায় জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন এর কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার পচামাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ জিয়া সাংস্কৃতি সংগঠন (জিসাস) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।অনুষ্ঠানে শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন জিসাস এর সভাপতি মোঃ আঃ সালাম মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিরুল ইসলাম মিন্টু কে নির্বাচিত করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুঠিয়া উপজেলা জিসাস সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা জিসাস এর জেলা আহবায়ক ফিরোজ কবির (টিংকু)। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান মোঃ আবু হায়াত।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক কৃষক দলের নেতা মোঃ আকরাম হোসেন (মধু), ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ এন্তাজ আলী, রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সদস্য মৃণাল কুমার (মাষ্টার), ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মোঃ মাহাবুব আলম (মিঠু), ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মোঃ আসাদ আলী, ইউনিয়ন জাসাস সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম, ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইদ্রিস আলী, পুঠিয়া বিএনপি থানা সদস্য মোঃ সোহেল সিরাজী সহ অনেকে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পুঠিয়া উপজেলা জিসাস এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন (মাষ্টার)।ভোরের আকাশ/জাআ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন চর মানিকা ইউনিয়নে দক্ষিণ পূর্ব চর আইচা যৌথ কৃষি খামার সমবায় সমিতি লিমিটেড এর নবনির্মিত কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমিতির কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার আ.ফ.ম. নুরুল আমিন (শাহাজাহান) এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সভাপতি আবুল কাসেম মাস্টার।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মিয়া, মাহফুজ মিয়া, শামসুল আলম মিয়া এবং অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম। এছাড়াও, দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, থানা যুবদল সভাপতি ইকবাল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক কবির গাজী, স্বেচ্ছাসেবক দলের থানা সভাপতি মো. সোহেল, শ্রমিকদল থানা সভাপতি হারুন আখন, মো. সেলিম মৃধা, হারুন মিয়া প্রমুখ। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বজলুর রহমান অনুষ্ঠানটি সুচারুরূপে পরিচালনা করেন।দক্ষিণ পূর্ব চর আইচা যৌথ কৃষি খামার সমবায় লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. বজলুর রহমান তাঁর বক্তব্যে সমিতির সদস্যদের দীর্ঘদিনের ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা এবং তা নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই সমিতির সদস্যরা অত্যন্ত নিরীহ, যাদের অনেকেই ভূমিহীন এবং ভূমি বন্দোবস্তের কাগজই তাদের প্রধান অবলম্বন। কিন্তু ভূমি অফিসের কিছু অসাধু দালাল ও কর্মচারীর যোগসাজশে এই জমির ওপর 'দোকর বন্দোবস্ত' সৃষ্টি করে হাতে তৈরি কিছু জাল দলিল, যেমন – ভুয়া প্রিন্টেড ম্যাপ, খতিয়ান ও পর্চা দেখিয়ে সমিতির সদস্যদের সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বন্দোবস্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।বিষয়টি জানতে পেরে সমিতির কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। জেলা যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে ৫৯৭/১৫ নম্বর মামলা রুজু করে চরফ্যাশন উপজেলায় উক্ত জমির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। মাননীয় বিচারক চরফ্যাশন ভূমি অফিস থেকে মামলার আওতাধীন ভূমির সকল রেকর্ডপত্র তলব করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ভূমি অফিসের রেকর্ড পর্যালোচনা করে আদালত সমিতির সদস্যদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। গত ০৬/০৫/২০২৪ তারিখে 'দোকর বন্দোবস্ত' বাতিল এবং দো-তরফা সূত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার রায় ডিক্রি প্রদান করা হয়।এ প্রসঙ্গে আরও উল্লেখ করা হয় যে, হাতে সৃজিত ডিয়ারা প্রিন্টেড ম্যাপ, খতিয়ান, পর্চা এবং জাল খাজনা রশিদ বাতিলের দাবিতে সমিতি কর্তৃপক্ষ উক্ত জমির সকল কাগজপত্র ও রায়ের কপিসহ গত ১৭/১১/২০২৪ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর এবং গত ০২/১২/২০২৪ তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি), চরফ্যাশন উপজেলা বরাবর আবেদন করেন। সমিতির অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে গত ০৮/০১/২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর পুনরায় আবেদন করা হয় এবং জরিপ অধিদপ্তরকেও আবেদনের মাধ্যমে অবগত করানো হয়। মো. বজলুর রহমান দৃঢ়তার সাথে জানান যে, ভূমিদস্যু ও দালালচক্র সমিতির সদস্যদের জমি বেদখল করার জন্য এখনও বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করে চলেছে, তবে সমিতি তাদের অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দেশ ও জাতির উন্নয়ন, সমিতির সফলতা এবং সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ কামনা করে এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা সিরাজুল হক। দোয়া মাহফিলে সমিতির পাঁচ শতাধিক সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন এবং সমিতির সদস্যদের আবাদকৃত ফসল পরিদর্শন করেন। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সমিতির ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সাম্প্রতিক অমাবস্যা ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ। ঘর-বাড়িতে ঢুকে পড়েছে নদীর পানি, রান্নাঘর ঠাঁই নিয়েছে উঠানে, কেউ কেউ আবার আশ্রয় নিয়েছেন পাশের স্কুলঘরে। ঠিক এই দুর্দিনে আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে পিরোজপুর জেলা বিএনপি।রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন নিজেই হাজির হন বালিপাড়া ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকায়। সঙ্গে ছিল দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের টিম। পানিবন্দি পরিবারগুলোর দোরগোড়ায় গিয়ে ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ পৌঁছে দেন তারা। ত্রাণ নয়—এটা যেন ছিল এক ধরনের সহানুভূতির প্রকাশ, এক ধরনের দায়িত্ববোধ থেকে উঠে আসা কর্মসূচি। ঘরভর্তি পানি, সন্তান কোলে বসে থাকা মা কিংবা বৃদ্ধ বাবার মলিন মুখের সামনে দাঁড়িয়ে বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেন বলেন, এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দুর্যোগ এলে সরকার আসে, বড় সংস্থাগুলো আসে কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো কী করে? বিএনপি মাঠে আছে শুধু রাজনীতির জন্য নয়, মানুষের দুঃসময়ে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য। আমরা যতটুকু পারি, ততটুকুই নিয়ে এসেছি। এটা যদি কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে, সেটাই আমাদের প্রাপ্তি।এসময় তিনি আরও বলেন, এই প্লাবনে হাজারো পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। কারও ঘরের চাল নষ্ট হয়েছে, কারও খাওয়ার মতো শুকনো খাবারটুকুও নেই। এমন দুঃসময়ে মানুষের পাশে না দাঁড়ালে রাজনীতির কোনো মূল্য থাকে না। তাই আমরা শুধু ত্রাণ নয় মানবিকতা নিয়েই মানুষের কাছে এসেছি।স্থানীয় এক বৃদ্ধা বলেন, তিন দিন হইল পানির মধ্যে। চুলা জ্বলে না। বিএনপির লোকজন আইছে, কিছু চাল, ডাইল আর নগদ ট্যাকা দিছে। আল্লাহ যেন এদের ভালো রাখে।এই ত্রাণ ও অর্থ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আঃ রাজ্জাক হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ফারুক হোসাইন, মোস্তান হাফিজ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ শাহিদুল ইসলাম, চন্ডিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ দুলাল ফকির ও সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত হোসেন, বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও সদস্য সচিব মোঃ জলিল হোসেন, সদর ইউনিয়নের মোহাম্মদ হাফিজুল তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউনুস আকন এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ/জাআ