সংগৃহীত ছবি
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।
রোববার (২৬ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে। রিমান্ড চাওয়া অন্যরা হলেন- সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন।
এর আগে একইদিন সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। এতে তিনি ছয়জনকে আসামি করেন। রিয়াদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও ১৩ বছর বয়সী শিশু মো. আমিনুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি শাম্মি আহম্মেদের বাসায় যান।
তখন তারা হুমকি ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণাংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে মামলার বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করেন।
এ ঘটনার পর গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০ টাত দিকে আসামি রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় স্বজোরে ধাক্কা মারেন। পরবর্তীতে ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আসামি রিয়াদের নেতৃত্বে অপরাপর আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ আসামিকে হাতেনাতে আটক করে এবং ওই সময় এজাহারনামীয় আসামি কাজী গৌরব অপু দৌড়ে পালিয়ে যান।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।রোববার (২৬ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে। রিমান্ড চাওয়া অন্যরা হলেন- সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন।এর আগে একইদিন সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। এতে তিনি ছয়জনকে আসামি করেন। রিয়াদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও ১৩ বছর বয়সী শিশু মো. আমিনুল ইসলাম।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি শাম্মি আহম্মেদের বাসায় যান।তখন তারা হুমকি ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণাংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে মামলার বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করেন।এ ঘটনার পর গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০ টাত দিকে আসামি রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায় স্বজোরে ধাক্কা মারেন। পরবর্তীতে ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আসামি রিয়াদের নেতৃত্বে অপরাপর আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ আসামিকে হাতেনাতে আটক করে এবং ওই সময় এজাহারনামীয় আসামি কাজী গৌরব অপু দৌড়ে পালিয়ে যান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই আন্দোলন-কেন্দ্রিক যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক খালেদ হাসান কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় কাজলা পুলিশ বক্সের সামনে গুলিবিদ্ধ হন কিশোর আব্দুল কাইয়ুম আহাদ। পরে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান তার দুই পায়ে ব্রাশ ফায়ার করলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। এই ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন এ বছরের ৬ জুলাই ৪৬৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও অজ্ঞাতনামা ১ থেকে ২ হাজার জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে কাপড় ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান হত্যা ও যুবক ফরহাদ হোসেনের হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগ এ আদেশ দেন।গত ৫ জুলাই মমতাজকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক মদন চন্দ্র সাহা। পরে আজ তাদের আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি হয়। পরে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন ফরহাদ হোসেন। ওইদিন থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করার সময় গুলিতে আহত হন।এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ভুক্তভোগী।এ বছরের ১৩ মে মমতাজ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে কয়েকটি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকার আশুলিয়ায় গুলি করে রাসেল গাজী (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এ আদেশ দেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগ।এদিন পলককে আদালতে উপস্থিত করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন। আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গ্রেফতার দেখানো আদেশ দেন বিচারক। পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মামলার সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়া থানাধীন গাজীরচট এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন রাসেল গাজী। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে তিনি আহত হন। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাসেল গাজী আশুলিয়ার গাজীরচট মধ্যপাড়া এলাকার বেলায়েত গাজী ও সেলিনা বেগম দম্পতির সন্তান।গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৫ আগস্ট ২০২৪ সালে পলক ও ২৫ আগস্ট ইনুকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।ভোরের আকাশ/এসএইচ