ছবি: ভোরের আকাশ
নওগাঁর রাণীনগরের করজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মুরাদ চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী)।
রোববার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুধীজন ও সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এক পরিচিতি সভার মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নতুন সভাপতি মুরাদ চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী)।
এর আগে চলতি মাসের ২০ তারিখে উপজেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাব রাণীনগরের সভাপতি মুরাদ চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী)কে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি অনুমোদন প্রদান করে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সুধীজন ও সাংবাদিকরা বিদ্যালয়টির আরো উন্নয়নকল্পে করনীয় বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। বিশেষ করে বিদ্যালয়কে কিভাবে আরো শিক্ষাবান্ধব করা যায় এবং শ্রেণিকক্ষ সংকট দূর করে একটি সুন্দর ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে অত্র অঞ্চলে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে আরো শক্তিশালী করতে সবাই একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
নগরসেবার প্রতিশ্রুতি বহু পুরোনো, কিন্তু বাস্তবতায় তার ছিটেফোঁটাও নেই—এমন চিত্রই দেখা গেল বরগুনার পাথরঘাটা পৌর এলাকায়। নাগরিক জীবনের চরম দুর্ভোগে অতিষ্ঠ হয়ে আজ রোববার সকালে পৌরসভা ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার মূল ও উপসড়কগুলো বছরের পর বছর ধরে সংস্কারের অভাবে একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় কাদা জমে যায়, ঘটছে দুর্ঘটনা। শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচল তো রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ।একের পর এক সমস্যা চিহ্নিত করে তাঁরা জানান, সুপেয় পানির তীব্র সংকটে ভুগছে শত শত পরিবার। মাসের বেশির ভাগ দিন পানির সংযোগ থাকে না, বাধ্য হয়ে অনেকে দূর এলাকা থেকে পানি বয়ে আনছেন। পাশাপাশি, ভেঙে পড়া নালাব্যবস্থার কারণে বর্ষাকালে বাসাবাড়িতেও পানি উঠে যায়। এতে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্গন্ধ, চর্মরোগ ও মশার উৎপাত।অবসরপ্রাপ্ত সার্জন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, “এত অভিযোগের পরেও কর্তৃপক্ষের যেন টনক নড়ে না। মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে, অথচ কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই।”বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেন, এলাকায় নেই কোনো সড়কবাতি, নেই খেলার মাঠ বা আবর্জনা ফেলার স্থান। অন্ধকার, দুর্গন্ধ আর দুঃসহ পরিবেশে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকতে হচ্ছে।জানা যায়, এলাকাবাসী ৫ আগস্টের আগে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শুধু আশ্বাস পেয়েই ক্ষান্ত থাকতে হয়েছে তাঁদের। ফলে বাধ্য হয়েই আজ তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভা ঘেরাও করেন।পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মজিবুল হায়দার এ বিষয়ে জানান, “৩ নম্বর ওয়ার্ডের পানি সরবরাহ কিছুটা জটিল প্রকৃতির। আমরা ইতোমধ্যে একাধিক প্রকল্প পরিকল্পনা জমা দিয়েছি। অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।”ভোরের আকাশ/জাআ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আজিমপুর ফুড গোডাউনের ভিতর চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১১ কেজি ভারতীয় দানাদার রুপাসহ দুই চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার (২৬ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাচালানবিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করে। আটককৃত ব্যক্তিরা হলো, দর্শনা পুরাতন বাজার এলাকার ইকরামুল হকের ছেলে মো. রাজিউল ইসলাম (৩৭) ও দর্শনা আনোয়ারপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সাগর আলী (২১)। চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মোঃ হায়দার আলী শনিরার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে এক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান রুপা আটকের সার্বিক দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা মোতাবেক বিজিবির একটি সশস্ত্র চৌকস আভিযানিক দল সীমান্ত মেইন পিলার ৭৭/২-এস হতে আনুমানিক ২ কি.মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দামড়ুহুদা উপজেলাধীন দর্শনা আজিমপুর ফুড গোডাউনের ভিতর চোরাচালানবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা গোডাউন এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহলদল দু’জন চোরাকারবারিকে আটক করে।আটককৃত ব্যক্তি মো. রাজিউল ইসলাম ও মো. সাগর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিশেষ তথ্যের আলোকে বিজিবি আভিযানিক দল গোডাউনটি তল্লাশি করে একটি কাগজের কাটুন উদ্ধার করে। যার মধ্যে ১০ কেজি ৮৩৮ গ্রাম ভারতীয় দানাদার রুপা পাওয়া যায়।এ সময় চোরাকারবারিদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য ২৬ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৮ টাকা।এ ঘটনায় আটককৃত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে নায়েব সুবেদার মো. এনায়েত হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের পূর্বক চোরাকারবারীদেরকে থানায় হস্তান্তর এবং জব্দকৃত ভারতীয় রুপা চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চা পাতার ভর্তা আর আটার রুটি খেয়েই চলে দিন- এই কথাটি যেন মৌলভীবাজার জেলার চা শ্রমিকদের জীবনের প্রতিচ্ছবি। প্রতিদিনের কঠোর পরিশ্রম আর ন্যূনতম উপার্জনের মধ্যেই টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।কমলগঞ্জ উপজেলার পদ্মছড়া চা বাগানের দৃশ্য ছিল এমনই। চা পাতা তোলা শেষ করে ওজনের অপেক্ষায় ছিলেন নারী শ্রমিকরা। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত টানা পরিশ্রমের পরও তাদের পাতে ওঠে না পুষ্টিকর খাবার। বরং সেই পুরোনো রুটিন- আটার রুটি, মুড়ি আর চা পাতার ভর্তা।চা শ্রমিকদের দৈনন্দিন খাবার বলতে গেলে, সকালে কেউ খেয়ে আসে, কেউ বা সময়ের অভাবে নিয়ে আসে খাবারের পোটলা। মধ্যাহ্নের আহারে সাধারণত থাকে পান্তা ভাত, রুটি, মুড়ি, পেঁয়াজ, রসুন, লবণ আর সেই বিশেষ ‘পাতিচখা’ চা পাতার ভর্তা। যা তাদের কর্মঘণ্টার মাঝে ক্ষুধা মেটায়, তবে পুষ্টি জোগায় না।সিলেট বিভাগের পর্যটনসমৃদ্ধ জেলা মৌলভীবাজারে রয়েছে ৯২টি চা বাগান। এখানকার বহু নারী শ্রমিক প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করেন। সংসার, সন্তান, রান্না শেষে মাঠে গিয়ে চা পাতা তোলা তাদের দিন শুরু হয় এমনই এক চক্রে।মাধবপুর চা বাগানের কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, এভাবে চলতে হচ্ছে অনেক বছর ধরে। খেয়ে না খেয়ে কাজ করতে হয়। কাজ না করলে আয় হয় না, আয় না হলে সংসার চলে না। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ থাকলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই অপর্যাপ্ত। ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ আবাসন ও শিক্ষার সুযোগ এখনও বহু শ্রমিকের কাছে অধরা।এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, প্রশাসন থেকে শ্রমিকদের সব সময় সহযোগিতা করা হয়। তারা বিভিন্ন সময় অসুস্থ ও সমস্যায় থাকেন। প্রশাসন তাদের খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে থাকে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নওগাঁর রাণীনগরের করজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মুরাদ চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী)।রোববার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুধীজন ও সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এক পরিচিতি সভার মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নতুন সভাপতি মুরাদ চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী)।এর আগে চলতি মাসের ২০ তারিখে উপজেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাব রাণীনগরের সভাপতি মুরাদ চৌধুরী (সেলিম চৌধুরী)কে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি অনুমোদন প্রদান করে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সুধীজন ও সাংবাদিকরা বিদ্যালয়টির আরো উন্নয়নকল্পে করনীয় বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। বিশেষ করে বিদ্যালয়কে কিভাবে আরো শিক্ষাবান্ধব করা যায় এবং শ্রেণিকক্ষ সংকট দূর করে একটি সুন্দর ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে অত্র অঞ্চলে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে আরো শক্তিশালী করতে সবাই একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।ভোরের আকাশ/জাআ