পীরগঞ্জ ভেটেরিনারি হাসপাতাল
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫ ০৪:৫৮ পিএম
ফাইল ছবি
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে জনবল সংকট থাকায় গবাদি পশুর চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়েছে। ১১টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৪ জন। যে কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গবাদি পশুর মালিকরা। এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন থেকে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় নিবন্ধিত গাভীর খামার ৪৫টি, অনিবন্ধিত গাভীর খামার রয়েছে ১ হাজার ৩০০টি। নিবন্ধিত ছাগলের খামার ১টি ও অনিবন্ধিত ৮১টি। ভেড়ার খামার রয়েছে ১৫টি। এসব খামারে গরু রয়েছে ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৭টি, মহিষ রয়েছে ৫০০টি, ছাগল ১২ লাখ ১২ হাজার ১০টি, ভেড়া ২২ হাজার ৭২০ টিসহ মোট ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার গবাদি পশু।
এ ছাড়াও প্রায় প্রতি বাড়িতেই অসংখ্য হাঁস-মুরগি ও কবুতর খামার রয়েছে। যার একমাত্র চিকিৎসার ভরসা উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতাল। এই হাসপাতালে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক গবাদি পশু চিকিৎসার জন্য আসেন কৃষকরা। জনবল কম থাকায় হাতুড়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসা ব্যয় গুনতে হয় দিগুণ হারে।
কাগজে কলমে কর্মরত ৬ জন থাকলেও উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (ভিএফএ) হরি প্রিয়া সরদার রয়েছেন ৩ বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণে অপর জন ড্রেসার পদে কর্মরত শ্রী রিপন কুমার শুরু থেকেই ঢাকা চিড়িয়াখানায় সংযুক্ত থাকলেও বেতন-ভাতা নেন এই দপ্তর থেকে। এ ছাড়াও কৃত্রিম প্রজননের দায়িত্বে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (এআই) পদ, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদ, কম্পাউন্ডার পদে কোন জনবল নেই।
ভিভিএ পদে ৪ জনের স্থলে কর্মরত আছেন ২ জন এবং অফিস সহকারী-কাম মুদ্রাক্ষরিক পদটিও শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। অসুস্থ গবাদি পশু-পাখির চিকিৎসার ভরসা সবেধন নীলমণি ভেটেরিনারি সার্জন। তার দু’জন উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদ থাকলেও শূন্য রয়েছে বছরের পর বছর ধরে। যে কারণে হাসপাতালে গবাদি পশুর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
চতরা ইউপির নাদনপাড়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম, বাটিকামারীর কৃষক রতিন্দ্রনাথ জানান, গরুর চিকিৎসা নিতে এসেছি। দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করে ডাক্তারের দেখা পাইনি।
ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, অসুস্থ প্রাণীর চাপ বেশি থাকায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল কবীর বলেন, আমি কিছু দিন আগে এই উপজেলায় যোগদান করেছি। এখানে ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ থাকলেও বর্তমানে ৫ জন নিয়মিত অফিস করছেন। বাকি পদগুলো শূন্য রয়েছে। স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়েই চিকিৎসা সেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ