ছবি : ভোরের আকাশ
নওগাঁর নজিপুর পৌর বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি মামুন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বায়েজীদ রায়হান শাহিন নির্বাচিত। এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এ.জেড মিজান ও মাসুম নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার (২০ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু।
পৌর বিএনপির আহবায়ক ওয়াজেদ আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শফিউল আজম ভিপি রানা, সদস্য মাসুদ হাসান তুহিন প্রমুখ।
জানা যায়, দীর্ঘ ১১ বছর পর পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল আজ। সর্বশেষ ২০১৪ সালে নজিপুর পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল দলটি।
উল্লেখ্য, নওগাঁর ১১টি উপজেলা এবং ৩টি পৌরসভার মোট ১৪টি ইউনিট নিয়ে গঠিত নওগাঁ জেলা বিএনপি। নজিপুর পৌর বিএনপির কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে ১৪টি ইউনিটের কাউন্সিল সম্পন্ন হল।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুরের নাজিরপুরের কৃষকদের বিষমুক্ত কৃষি সবজি উৎপাদনে কেঁচো সার ব্যবহার করার আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে উপজেলার জনসাধারণের বিষমুক্ত সবজির চাহিদা মিটিয়ে বাহিরের জেলাগুলোতে কৃষি সবজি রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা। উপজেলার কেঁচো সার উৎপাদনের উদ্যোক্তা বদরুল হায়দার বেপারী জানান, তার সকালের শুরুটা হয় খামারের কেঁচো এবং খামার পরিচর্যার মাধ্যমে। কাঁচা গোবর থেকে কেঁচোর মাধ্যমে তৈরি করেন ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। নিজে যেমন তৈরি করেন সার তেমনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে তিনি উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কৃষি উদ্যোক্তা তৈরিতে ভূমিকা রাখেন। কেঁচো সার উৎপাদনের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ কর্তৃক পুরস্কৃত করা হয় বদরুল হায়দারকে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক-১৪২৫ সহ ২০২০ সালের ২৭শে জুলাই কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রথমবারের মতো কৃষিক্ষেত্রে গুত্বত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা এবং মাটির হারানো গুণাগুণ ফিরে পেতে ভার্মি কম্পোস্ট উল্লেখযোগ্য কাজ করে।সরকারি সহায়তায় কেঁচো সার ব্যবহারে দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটতে পারে। নাজিরপুরে বর্তমানে বদরুল হায়দারের উৎসাহে একদিকে পরিত্যক্ত গোবর হয়ে উঠেছে মূল্যবান সম্পদে অপরদিকে বাড়ছে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান ও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের স্পৃহা। উপকারভোগী মঞ্জুরানী দাশ ও নিখিল নামের দুই গোবর বিক্রেতা বলেন, আগে গোবর ফেলে দিতাম। কিন্তু এখন সেই গোবর বিক্রি করে আমরা সংসারের অভাব আর ইচ্ছাগুলো পূরণ করি। নাজিরপুরের কলারদোয়নিয়া ইউনিয়নের কৃষক, পরিতোষ বেপারী জানান, আমি এ বছর ২ বিঘা জমিতে কৃষি সবজি লাউ, করল্লা, শসা, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, কুমড়া, বরবটি চাষ করেছি। আগে এসব কৃষি সবজিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতাম। এ বছর সকল সবজিতে কেঁচো সার ব্যবহার করেছি আগের তুলনায় ফলন ভালো হয়েছে।নাজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইসরাতুন্নেছা এশা জানান, বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। বর্তমান প্রচলিত জৈব সারের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বিভিন্নভাবে প্রদর্শনী দিয়ে থাকি। বর্তমানে আমাদের নাজিরপুরে প্রায় পাঁচশতাধিক কৃষক ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করছে। দিন দিন এর সংখ্যা বেড়ে চলছে। কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে এবং ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহারও বাড়ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। শহরের পৌর কবরস্থান থেকে ইমন তালুকদার ও রমজান কাজী এবং টুঙ্গিপাড়ার কবরস্থান থেকে সোহেল রানা মোল্লার লাশ তোলা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে এ খবর পাওয়া গেছে।এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত এ আদেশ দেয়।উল্লেখ্য, শনিবার রাতে সদর থানার ৪ এসআই বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ৪টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনটি মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জনকে ও একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে।গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আইয়ুব হোসেন বাদী হয়ে রমজান কাজী নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০৯ জনকে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে আগরবাতি আমদানি করা হয়েছে। মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল পণ্যটি আমদানি করেছে।রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে ৪ টন আগরবাতি ভর্তি একটি ভারতীয় ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান।তিনি জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল বন্দর দিয়ে আগরবাতি আমদানির (এলসি) খুলেছে। প্রথমবারের মতো এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি পণ্য হিসাবে আগরবাতি প্রবেশ করেছে। যাবতীয় কার্যক্রম শেষে পণ্যটি বন্দর থেকে খালাস হবে। বাণিজ্য বাড়লে স্থলবন্দর দিয়ে রাজস্ব আয় বাড়বে বলেও তিনি জানান।আগরবাতি আমদানির কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সি অ্যান্ড এফ) এজেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন।তিনি জানান, দেশের বাজারে আগরবাতির চাহিদা থাকায় এই স্থলবন্দর দিয়ে আগরবাতি আমদানি করা হয়েছে। বাজারে ভালো মূল্য পাওয়া গেলে এ পণ্যটির আমদানি বাণিজ্য বাড়বে। দেশের অন্যতম বৃহৎ ও শতভাগ রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রতিদিন মাছ, সিমেন্ট, ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন পণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় রপ্তানি হয়। যোগাযোগ সহজ হওয়ায় ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানিতে এ বন্দরের ব্যবহার বাড়ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাতক্ষীরা জেলার সকল থানায় সব ধরনের অনলাইন জিডি চালুর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) দিনগত রাত ১২:০১ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে জেলার সকল থানায় সব ধরনের অনলাইন জিডি চালুর শুভ উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মুকিত হাসান খান , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শাহিনুর চৌধুরী, সদর থানার ওসি মোঃ শামিনুল হক, ডিআইও -১ চৌধুরী রেজাউল করিম প্রমুখ।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশি সেবা ডিজিটালাইজেশন ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় চালু হলো অনলাইনে সব ধরনের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার সুবিধা। বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে এখন থেকে ঘরে বসেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলার যেকোনো থানায় জিডি করা যাবে। ইতোপূর্বে অনলাইনে কেবলমাত্র হারানো ও প্রাপ্তি সংক্রান্ত জিডি করার সুযোগ ছিল। তবে এখন থেকে জেলার সব থানায় সব ধরনের জিডি অনলাইনে করার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এই সেবা ব্যবহার করে এখন চুরি, জবরদখল, হুমকি, পারিবারিক দ্বন্দ্বসহ অন্যান্য সাধারণ বিষয়েও ঘরে বসেই জিডি করা যাবে।জিডি করার পদ্ধতি কীভাবে? এই সেবা গ্রহণের জন্য সর্বপ্রথম অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এরপর কিছু সহজ ধাপে অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে জিডি সম্পন্ন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি: অ্যাপ ডাউনলোড করে মোবাইল নাম্বার দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর প্রেরিত ওটিপি দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে। এনআইডি, জন্মতারিখ ও ছবি আপলোড করতে হবে। এছাড়া ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করতে হবে।জিডি করার ধাপ: অ্যাপে লগইন করে ‘হারানো/পাওয়া/অন্যান্য’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য (বিষয়বস্তু, স্থান, তারিখ) পূরণ করতে হবে। এনআইডি ও মোবাইল নম্বর পুনরায় যাচাই করতে হবে। সবশেষে ‘ফাইনাল সাবমিট’ ক্লিক করলে জিডি সম্পন্ন হবে।এদিকে, জেলা পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এখন আর সাধারণ মানুষকে থানায় গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে জনগণের দোরগোড়ায় নিরাপত্তা সেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”জেলা পুলিশের এই উদ্যোগে নাগরিকরা স্বচ্ছ, সহজ ও সময় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে পুলিশি সেবা গ্রহণ করতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ