আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ০৩:২৮ এএম
আত্মসমর্পণ নয়, দৃঢ় প্রতিরোধের বার্তা খামেনির
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে জাতির উদ্দেশে কঠোর বার্তা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—ইরান কারো কাছে আত্মসমর্পণ করবে না, বরং চাপিয়ে দেওয়া যেকোনো যুদ্ধ বা শান্তির বিপরীতে গড়ে তুলবে দৃঢ় প্রতিরোধ।
বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে খামেনি বলেন, “ইরান চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। একইভাবে চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়বে। এই জাতি চাপের মুখে কখনো আত্মসমর্পণ করে না।”
তাসনিম বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, সম্প্রতি ইসরাইলের পক্ষ থেকে চালানো ড্রোন ও যুদ্ধবিমান হামলার প্রেক্ষিতে এই ভাষণ দেন খামেনি। ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী এই ড্রোন ও বিমান ভূপাতিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং পাল্টা হামলাও করছে তেলআবিব অভিমুখে।
ভাষণে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে খামেনি বলেন, “যারা ইরান ও এর ইতিহাস জানে, তারা জানে—ইরানিরা হুমকির জবাবে মুখ বুজে থাকে না। তারা যথোপযুক্ত জবাব দিতে জানে।”
তিনি ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলাকে ‘একটি বড় ভুল’ উল্লেখ করে বলেন, “এই ভুলের জন্য ইসরাইলকে চরম মূল্য দিতে হবে।” পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও হুঁশিয়ার করে বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিলে আমেরিকাকে অপূরণীয় ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে।”
ইরানি জনগণের সাহসিকতার প্রশংসা করে খামেনি বলেন, “ইহুদিবাদী শত্রুর দাম্ভিক আগ্রাসনের মুখে ইরানি জাতি যে ধৈর্য, সাহস এবং সময়োপযোগী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা উন্নতির লক্ষণ। এটাই যুক্তিবাদিতা এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীক।”
এদিকে ইসরাইলি হামলার মধ্যেই বুধবার সকালে তেহরানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অনুষ্ঠিত হয় ইরানের মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
তাসনিম জানিয়েছে, বৈঠকে নতুন করে ইসরাইলি হামলার হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। সংঘাতের জেরে জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ//হ.র