ছবি: সংগৃহীত
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার আরব মিত্রদের মাধ্যমে ইরানের কাছে ইসরায়েলের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
আরব ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার (২৩ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানে তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুগুলোতে চালানো সামরিক অভিযান সম্পন্ন করার আশা করছে। এরপরই যুদ্ধ বন্ধের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
আরবের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, ইসরায়েল এই অভিযান শিগগিরই শেষ করতে চায় বলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আরব মিত্রদের মাধ্যমে ইরানকে বার্তা দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব দেওয়া ছাড়া ইরান এখনই অভিযান শেষ করতে চায় না।
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা রোববার (২২ জুন) টাইমস অফ ইসরায়েলকে বলেছেন, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিল করতে রাজি হলে ইসরায়েল এখনই বোমা হামলা বন্ধ করার জন্য প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, এই অভিযান বন্ধের বিষয়টি আমাদের ওপর নয়, বরং ইরানের ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাইলে এখনই শেষ করতে পারি। সেক্ষেত্রে যদি একটি চুক্তি হয়, তাহলে ইসরায়েল তার অভিযানের ফলাফলে সন্তুষ্ট থাকবে।
তবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না করলে ইসরায়েল আরও জোরালোভাবে পাল্টা হামলা চালাবে। আর এই হামলার প্রধান টার্গেট হবে ইরানি শাসকগোষ্ঠী। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা বলছে, সোমবার তেহরানের কেন্দ্রস্থলে সরকার-নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল এক ধরনের বার্তা দিতে চেয়েছে। সেটি হলো ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে এই ধরনের ইসরায়েলি হামলা আরও বৃদ্ধি পাবে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলা ইরানকে আবারও আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে রাজি হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
আফ্রিকা মহাদেশের ছোট্ট একটি দেশ ইসোয়াতিনি (পূর্বতন সোয়াজিল্যান্ড)। এই ক্ষুদ্র দেশটির বর্তমান নৃপতি তৃতীয় এমসোয়াতি। দেশটি আড়ে-বহরে ছোট হলেও রাজার পরিবার একেবারেই ছোট নয়।আফ্রিকার এই ছোট দেশটির নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান খুবই সাদামাঠা। অর্থনৈতিক ভাবেও দেশটির বেহাল দশা। এত কিছু হলে কী হবে, দেশের রাজা কাটান বিলাসী জীবন। ঠাঁটবাটও নেহাত কম নয়।রাজার মোট ৩০ জন স্ত্রী, সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ জন সন্তান। গৃহকর্ম সহায়কের সংখ্যা গুনে গুনে একশো। পুরো পরিবার ও পরিচারকদের নিয়ে আবু ধাবিতে এসেছিলেন আফ্রিকার অবশিষ্ট নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের সদস্য এমসোয়াতি। চলতি বছরের ১০ জুলাই ব্যক্তিগত বিমানে করে রাজা ও রাজপরিবারের সদস্যেরা হাজির হন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবু ধাবি বিমানবন্দরে। সেই পুরনো ভিডিয়ো নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয় সমাজমাধ্যমে।ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ব্যক্তিগত জেট থেকে নামছেন এক জন পুরুষ। পোশাকটি দিয়ে শুধুমাত্র রাজার শরীরের নিম্নাংশ ঢাকা। উর্ধ্বাঙ্গ প্রায় নিরাবরণ। তাঁর পিছনে সুসজ্জিত ও আধুনিক পোশাক পরা কয়েক জন রমণী। ভিডিয়োটি প্রথমে সকলের নজর কেড়েছিল বেশ কয়েকটি কারণে। নেটাগরিকদের মনে প্রশ্ন জেগেছিল কেন হঠাৎ করে অর্ধেক পোশাক পরা ব্যক্তিটিকে তাঁর আশপাশের লোকেরা মাথা ঝুঁকিয়ে কুর্নিশ জানিয়ে অভিবাদন করছেন ও সেলাম ঠুকছেন। স্বাভাবিক ভাবেই সকলের কৌতূহলী প্রশ্ন ছিল, কে এই ব্যক্তি? অর্ধেক পোশাক পরে কেন তিনি এত বিলাসবহুল ভ্রমণ করছেন? তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলারাই বা কারা?জানা যায়, তিনি রাজা এমসোয়াতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজপুত্র-কন্যারাও। রাজপরিবারের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ১০০ জন পরিচারকও ছিল। বৈষয়িক ও অর্থনৈতিক আলোচনার জন্য আবু ধাবিতে এলেও রাজার বিলাসী জীবন নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয় সমাজমাধ্যমে ও সংবাদমাধ্যমে। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজা ও তাঁর বিরাট সংসার নিয়ে হঠাৎ করে চলে আসার ফলে আবু ধাবি বিমানবন্দরের কাজকর্ম সাময়িক ভাবে লাটে ওঠে।রাজার আগমন এতটাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দেখভালকারীরা তিনটি টার্মিনাল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অস্থায়ী লকডাউনও জারি করে দেওয়া হয় সেখানে। রাজা এমসোয়াতিকে চিতাবাঘের ছাপের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছে সেই ভিডিয়োয়। রানিরা ধরা দিয়েছেন উজ্জ্বল, রঙিন পোশাকে। রাজার ১০০ জন পরিচারকের দল রাজকীয় জিনিসপত্র এবং রসদ ব্যবস্থাপনায় ব্যস্ত ছিল।দেশ গরিব হলে কী হবে, রাজা এমসোয়াতির জীবন বৈচিত্রে ভরপুর। বিদেশে গেলে ব্যক্তিগত বিমান ছাড়া চলেন না। গ্যারাজে রয়েছে রোলস রয়েস থেকে শুরু করে একাধিক বিদেশি বিলাসবহুল গাড়ি। কয়েকশো কোটি টাকা দিয়ে স্ত্রীদের রোলস রয়েস কিনে দিয়েছিলেন রাজা, এমনটাই দাবি তুলেছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।তৃতীয় এমসোয়াতি ১৯৮৬ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার এই ছোট্ট দেশটি শাসন করে আসছেন। একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ ১ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। নির্মাণ, পর্যটন, কৃষি, টেলি যোগাযোগের মতো বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের মালিক রাজা নিজে। রাজার বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এবং দেশের নাগরিকদের দৈনন্দিন সংগ্রামের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত বলেও অভিযোগ।রাজার সম্পত্তি ফুলেফেঁপে উঠলেও সে দেশের জনগণের অবস্থা শোচনীয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা। সরকারি হাসপাতালে রয়েছে ওষুধের ঘাটতি। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা অনুদানের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ না করে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ইসোয়াতিনিতে ২০২১ সালে বেকারত্ব ২৩% থেকে বেড়ে ৩৩.৩% হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের জাতীয় সম্পদ রাজপরিবারের কুক্ষিগত বলে জনগণের ৬০ শতাংশই দারিদ্রসীমার নীচে বাস করেন বলে জানা গিয়েছে।ইসোয়াতিনির জনতা যতই কষ্টে দিনপাত করুক না কেন, রাজা আছেন মহাসুখে! প্রতি বছর একটি করে বিয়ে সারেন এমসোয়াতি। প্রতি বছর তিনি ঐতিহ্যবাহী ‘রিড ড্যান্স’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এক জন করে নতুন কনে নির্বাচন করেন। সেইমতো বর্তমান রাজার ৩০ জন স্ত্রী রয়েছেন। যদিও সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বর্তমানে তাঁর সঙ্গে ১৫ জন স্ত্রী রয়েছেন। ৩৫টিরও বেশি সন্তান রয়েছে রাজার।এই দেশের রাজাদের ঐতিহ্যবাহী একটি নামে ডাকা হয়, তা হল ‘দ্য লায়ন’। তাঁদের পোশাকও রাজার পরিচয় বহন করে। বিয়ে করার জন্য স্ত্রী বাছাই করার পদ্ধতিটিও স্বতন্ত্র। প্রতি বছর অগস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে সোয়াজি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার কুমারী নারী এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রাজা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন এবং তাঁদের প্রতি সম্মান জানান। এই সমস্ত তরুণীর মধ্যে থেকে এক জনকে নিজের স্ত্রী হিসাবে বেছে নেন রাজা।শোনা যায়, বর্তমান রাজার বাবা প্রাক্তন রাজা দ্বিতীয় সোভুজার ১২৫ জন স্ত্রী ছিলেন। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ২১০ জনেরও বেশি সন্তান এবং প্রায় ১ হাজার নাতি-নাতনি ছিলেন তাঁর। আবার কেউ কেউ বলেন, প্রাক্তন রাজার ৭০ জন ঘরনি ছিলেন।রাজার আবু ধাবি সফরের ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরে সমালোচনার বন্যা বয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। দেশের নাগরিকদের দুর্দশার মধ্যেও রাজার অমিতব্যয়ী ও জাঁকজমকপূর্ণ জীবন নিয়ে কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে রাজা ও তাঁর পরিবারের দিকে। কেউ কেউ বলছেন, রাজার পরিবারকে পুরো একটা গ্রামের মতো মনে হচ্ছে। কেউ কেউ আরও তীব্র ভাষায় রাজার নিন্দা করেছেন। এক জন লিখেছেন, “এই ব্যক্তি যখন ব্যক্তিগত বিমানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন তাঁর দেশের লোকেরা অনাহারে মারা যাচ্ছেন।’’নেটমাধ্যমে অনেকের দাবি, দেশটিতে সমস্ত জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছোতে পারেনি। সেখানে রাজা এতগুলি বিয়ে করে দামি দামি উপহারে দেশের জনগণের টাকা উড়িয়ে দিতে কসুর করছেন না।দেশটির নামের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের নামের মিল থাকায় অনেকেই ভুল বুঝতেন। তাই ২০১৮ সালে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে পূর্তি উপলক্ষে রাজা এমসোয়াতি দেশের নাম পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সোয়াজিল্যান্ডের নতুন নামকরণ করা হয় ইসোয়াতিনি। ৬,৭০৪ বর্গমাইলের এই দেশটির পুরো নাম ‘দ্য কিংডম অফ ইসোয়াতিনি’। এর অর্থ সোয়াজিদের ভূমি।শতাংশের হিসাবে বিশ্বে এইচআইভি রোগীর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি এই ইসোয়াতিনিতে। দেশের জনসংখ্যার ২৭ শতাংশই রোগাক্রান্ত। ১০ কোটি ৩০ লক্ষ জনসংখ্যার দেশটিতে এইচআইভি রোগীর সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার জন। লিঙ্গবৈষম্য, বিভিন্ন অধিকার থেকে দেশবাসীকে বঞ্চিত করা খুব সাধারণ ব্যাপার দেশটিতে এমনটাই দাবি তুলেছে সে দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশ। দেশের অভ্যন্তরীণ অরাজকতা বিশ্বের দরবারে যাতে প্রকাশিত না হয় সে জন্য সংবাদমাধ্যমগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে।সূত্র: আনন্দবাজারভোরের আকাশ/মো.আ.
এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমর এম. ইয়াগি।বুধবার (৮ অক্টোবর) সুইডেনের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে) রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস তাদের নাম ঘোষণা করে।গত সোমবার (৬ অক্টোবর) চলতি ২০২৫ সালের প্রথম নোবেল ঘোষণা করা হয়। জানানো হয় চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণার জন্য এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ই. ফ্রাঙ্কো ও ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমন সাকাগুচি।গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন মার্কিন বিজ্ঞানী জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরেট ও জন এম মার্টিনিস। বৈদ্যুতিক বর্তনীর মধ্যে স্থূল কোয়ান্টাম যান্ত্রিক টানেলিং এবং শক্তির কোয়ান্টাইজেশন আবিষ্কারের জন্য নোবেল দেয়া হয়েছে তাদের। গত বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন ৩ বিজ্ঞানী ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পার। এদের মধ্যে ডেভিড বেকার যুক্তরাষ্ট্রের এবং ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পার যুক্তরাজ্যের নাগরিক।‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন’- এ অবদান অর্থাৎ নতুন ধরনের একটি প্রোটিন তৈরির জন্য নোবেল দেয়া হয় ডেভিড বেকারকে। আর ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পারকে নোবেল দেয়া হয় ‘প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন’ বিষয়ে অবদান রাখার জন্য। দুই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেন যা দিয়ে ৫০ বছরের পুরোনো ‘প্রোটিনের জটিল কাঠামো অনুমান করার’ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় সাহিত্যে এবং ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর ১৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম।ভোরের আকাশ/এসএইচ
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র পর এবার গাজার পথে ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক নৌবহর ফ্রিডম ফ্লোটিলাও। ‘থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস’ নামে অভিযানে অংশ নেওয়া ফ্রিডম ফ্লোটিলার নয়টি জাহাজের সবকটিই আটক করে ফেলেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।এসব জাহাজ এবং তাতে থাকা শতাধিক অধিকারকর্মীকে ইতোমধ্যে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইসরায়েলের বন্দরে। এই অধিকারকর্মীদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমও।বুধবার (৮ অক্টোবর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে এ তথ্য। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র মতো আরেকটি ফ্লোটিলা, যা আইন ভেঙে গাজার সমুদ্রবন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ করে দিয়েছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। ফ্লোটিলার সমস্ত জাহাজ এবং যাত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং বর্তমানে তাদেরকে একটি ইসরায়েলি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে।ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আইনগত নৌবন্দর ভেঙে যুদ্ধে প্রবেশের আরও একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা কোনো ফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। জাহাজ এবং যাত্রীদের একটি ইসরায়েলি বন্দরে নেওয়া হয়েছে। সকল যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ অবস্থায় আছেন। তাদের দ্রুত বহিষ্কৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন কর্তৃক আয়োজিত এই ৯ জাহাজের অভিযানে সবচেয়ে বড় জাহাজটির নাম কনশানস (Conscience)। জাহাজটিতে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ ৯৩ জন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মী ছিলেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জাহাজগুলো ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করে।কনশানসের আয়োজকরা বুধবার সকালে জানিয়েছেন, আমাদের জাহাজ বর্তমানে একটি ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টারের দ্বারা আক্রমণ করা হচ্ছে, অন্য ৮টি জাহাজও অবৈধভাবে আটক ও জব্দ করা হচ্ছে।সেইসঙ্গে কর্মীদের প্রকাশ করা ফুটেজে দেখা যায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী জাহাজগুলোতে চড়ে অভিযান চালাচ্ছে।এছাড়া, একই সময় বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন যেখানে তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় যারা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, আমি আমার সকল কমরেড এবং বন্ধুদের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করছি। এদিকে গাজাগামী ফিডম ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। একইসঙ্গে ফ্লোটিলায় থাকা মালয়েশীয় কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।ভোরের আকাশ/মো.আ.
বাংলাদেশের ফটোগ্রাফার ও লেখক শহিদুল আলমকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আটকের খবর নিশ্চিতের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই পোস্টে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন।বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি শহিদুল আলমের বিষয়ে বার্তা দেন।পোস্টে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি সরকারকে শহিদুল আলমের নিরাপদে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।এর আগে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম জানান, সমুদ্রে তাদের আটক করা হয়েছে এবং ইসরাইলের দখলদার বাহিনী তাকে অপহরণ করেছে।শহিদুল আলম ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘আমি শহিদুল আলম বাংলাদেশের ফটোগ্রাফার ও লেখক। আপনি যদি এই ভিডিওটি দেখেন, তার মানে আমাদের সমুদ্রে আটকে দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল দখলদার বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে এই দেশ। আমি আমার সব সহযোদ্ধা ও বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য।’ফ্লোটিলা জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী দ্য কনশেনস নামের একটি নৌকায় হামলা করে। এটি শহিদুল আলমসহ ৯৩ জন সাংবাদিক, ডাক্তার এবং কর্মী বহন করছিল। এ জাহাজের সঙ্গে থাকা তিনটি ছোট নৌকাও আক্রমণ করে ইসরায়েলিরা।ভোরের আকাশ/মো.আ.