বিমানটি আছড়ে পড়ে বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে।
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে সেখানকার সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে বিমানটি রওনা দেয়। উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানে যে ২৪২ আরোহী ছিলেন তাদের মধ্যে ২৩০ জন ছিলেন সাধারণ যাত্রী। আর বাকি ১২ জন ছিলেন ক্রু।
বিমানটিতে করে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক।
আহমেদাবাদ সিটি পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক বার্তাসংস্থা এপিকে এর আগে জানান, দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে বিমানটির কোনো আরোহী বেঁচে নেই। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে বিমান বিধ্বস্তে কেউ বেঁচে নেই। এটি আছড়ে পড়েছে আবাসিক এলাকায়। এতে স্থানীয় কিছু মানুষও হয়ত মারা গেছে। সব মিলিয়ে কতজনের মৃত্যু হয়েছে সেটি নিরূপণ করা হচ্ছে।”
বিমানটি পাখির আঘাতে বিধ্বস্ত হতে পারে
ভারতের এ ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর অনেকটা দুলতে দুলতে বিমানটি এগিয়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই এটি বিধ্বস্ত হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার এ বিমানটি সেখানকার একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আঘাত হানে।
বিমান চলাচল বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিমানটি উড্ডয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত এটিতে কয়েকটি পাখি আঘাত হেনেছিল। এতে করে পূর্ণ উড্ডয়নের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ছিল বিমানটি সেটি হারিয়ে ফেলেছিল। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও বিমানটি আর উপরের দিতে নিতে পারেননি পাইলট।
সাবেক ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনাগর নামের এ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “প্রথমত মনে হচ্ছে, একাধিক পাখির ধাক্কায় দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। উড্ডয়নটি নিখুঁত ছিল। কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ারটি উপরে তোলার আগেই বিমানটি নিচে নামা শুরু করে। এমনটি সাধারণত হয় যখন ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় অথবা বিমান আকাশে থাকার সামর্থ হারিয়ে ফেলে। তদন্তে আসল কারণ বেরিয়ে আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে উড্ডয়নটি বেশ সুন্দরভাবে হয়েছিল। এছাড়া বিমানটিও নিয়ন্ত্রিতভাবে নিচে নেমে আসে। পাইলট মে ডে কল করেছিলেন। যার অর্থ ওই সময় জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।”
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে তা প্রতিহত করার চেষ্টা চলছে।ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানী তেল আবিব ও জেরুজালেমে সাইরেন বেজে ওঠার পাশাপাশি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে বলে রয়টার্স-কে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।এই হামলার জবাবে ইসরায়েল কী পদক্ষেপ নেবে—তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের হামলা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং পুরো অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে।ভোরের আকাশ/হ.র
ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে এবং পাইলটকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার (১৩ জুন) এই ঘটনার দাবি করা হলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তা অস্বীকার করেছে।এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের শীর্ষস্থানীয় একাধিক সামরিক কমান্ডার নিহত হন।ইসরায়েলের ওই আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা জবাব দেয় তেহরান। প্রথম ধাপে ইরানের পক্ষ থেকে শতাধিক ড্রোন ছোড়া হয় তেল আবিবের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর দিকে। এরপর শুক্রবার রাতেও দ্বিতীয় দফায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে।ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা জানায়, “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কয়েক শ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে।”তবে এই সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা যুদ্ধবিমান ভূপাতনের দাবি নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই দাবিকে “ভিত্তিহীন” আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, তাদের সব বিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে।মধ্যপ্রাচ্যের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি দাবি-প্রতিদাবির বাস্তবতা যাচাইয়ে সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।ভোরের আকাশ/হ.র
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিম তীরের হেবরন শহরে আঘাত হেনেছে। এতে তিনজন ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কতা সক্রিয় হয়ে ওঠে হামলার পরপরই। খবর মেহের নিউজ ও হারেতজ-এর।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাতে জানা গেছে, ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বাধা না পেয়ে সরাসরি হেবরনে আছড়ে পড়ে। তবে এটিতে কোনো প্রতিরক্ষা ইন্টারসেপ্টর সক্রিয় ছিল না।ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেতজ জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় তিনজন ফিলিস্তিনি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। স্থানীয় মেডিকেল কর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এ হামলা এমন এক সময় ঘটল যখন ইসরায়েল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতভর ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। ওই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি, আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং খাতাম আল-আনবিয়া সদর দপ্তরের প্রধান মেজর জেনারেল গোলাম আলি রাশিদসহ শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হন।এই হামলা-পাল্টা হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। ভোরের আকাশ/হ.র
ইসরায়েলি হামলার জবাবে উত্তপ্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকা তেহরানকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার প্রস্তাব দ্রুত মেনে নিতে বললেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।শুক্রবার (১৩ জুন) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করে ট্রাম্প বলেন, “সবকিছু হারানোর আগে ইরানের উচিত একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া। সময় ফুরিয়ে আসছে।”তিনি আরও জানান, দুই মাস আগে ইরানকে একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়ে ৬০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং তাতে করণীয় বিষয়ে পরিষ্কার বার্তাও দেওয়া হয়েছিল। তবে ইরান তখন সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। “এখনো তাদের দ্বিতীয় একটি সুযোগ রয়েছে,” বলেন ট্রাম্প।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কি রুবিও জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়। একই সঙ্গে তিনি ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “মার্কিন স্থাপনা বা সেনাদের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।” তবে তেহরান দাবি করেছে, হামলার পেছনে ওয়াশিংটনের পরোক্ষ ভূমিকা ছিল এবং এর দায় তারা এড়াতে পারে না।প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল তেহরানসহ ইরানের একাধিক স্থাপনায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়। এতে একাধিক সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরানও একই দিনে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে শতাধিক ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে।এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পরমাণু চুক্তির প্রশ্নে আবারও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গন সরব হয়ে উঠছে।ভোরের আকাশ/হ.র