গাজায় লাগামহীন ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৩ হাজার
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৭৩ জনে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এই প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা থেকে ৮৭টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ২৯০ জন। ফলে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৮৮ জনে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বহু মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপ বা সড়কের পাশে পড়ে রয়েছে। টানা বোমা হামলা ও সড়কপথে বিধিনিষেধ থাকায় উদ্ধারকারী দলগুলোর পক্ষে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
গেল ১৮ মার্চ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ফের পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে গাজায়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪২৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৯ হাজার ৬৪৭ জন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজায় একটি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। তখন বন্দি বিনিময়েরও ব্যবস্থা করা হয়। তবে সেই সমঝোতা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
এদিকে গত বছর নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-তে একটি মামলা এখনো চলমান রয়েছে, যার মূল আবেদনকারী দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সাহায্য না পৌঁছে, তাহলে প্রায় ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে। বিবিসি রেডিও ৪-এর আজকের প্রোগ্রামে আন্না ফস্টারের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।টম ফ্লেচার জানান, ইসরায়েল ১১ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর সোমবার মাত্র ৫টি ত্রাণবাহী লরি গাজায় ঢুকেছে। তবে এখনও সেগুলোর সাহায্য স্থানীয় জনগণের কাছে পৌঁছায়নি। তিনি আশা করছেন মঙ্গলবার গাজায় ১০০টি লরি প্রবেশ করানো যাবে।তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় মানবিক সহায়তা প্লাবনের মতো প্রবাহিত করতে হবে। তার বদলে সেখানে যে সাহায্য ঢুকছে তাকে তিনি সমুদ্রে এক ফোটা পানির সঙ্গে তুলনা করেছেন।টুডে প্রোগ্রামে তিনি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টায় যত বেশি সম্ভব এই শিশুদের বাঁচাতে চাই। এই সংখ্যা কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল রয়েছে, যারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।এদিকে রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে গাজায় অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।এই হামলাটি এমন সময়ে হলো যখন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন গাজায় ‘নতুন করে সামরিক অভিযান বন্ধ করে এবং মানবিক সাহায্যের প্রবাহ বাড়ায়।’ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যুদ্ধ আগামীকালই শেষ হতে পারে’ যদি হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেয় এবং অস্ত্র ফেলে দেয়। গাজায় বর্তমানে আনুমানিক ৫৮ জন জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন জীবিত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডারএদিকে গাজায় ‘মারাত্মক’ সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা।ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার ফরাসি ও কানাডিয়ান নেতাদের সঙ্গে একযোগে ইসরায়েল সরকারকে সামরিক অভিযান বন্ধ ও অবিলম্বে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।তিন দেশের যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা সবসময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছি। কিন্তু ইসরায়েলের এই অভিযান সম্পূর্ণভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ২ মার্চ থেকে গাজায় কোনও খাদ্য, জ্বালানি বা ওষুধ প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ‘বিপর্যয়কর প্রভাব’ বলে বর্ণনা করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই তিন দেশের অবস্থানকে ‘হামাসের জন্য একটি বিশাল পুরস্কার’ বলে উল্লেখ করেন।রোববার নেতানিয়াহু বলেন, তার দেশ ১১ সপ্তাহের অবরোধের পর ‘সীমিত পরিমাণ খাদ্য’ প্রবেশ করতে দেবে। তবে তারা ‘সমগ্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার’ পরিকল্পনা করছে। তিন পশ্চিমা নেতা- স্যার কেয়ার স্টারমার, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং মার্ক কার্নি নেতানিয়াহুর এই অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেছেন।তারা বলেন, ‘নাগরিক জনগোষ্ঠীর জন্য অপরিহার্য মানবিক সহায়তা অস্বীকার করা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি সৃষ্টি করে।তারা আরও বলেন, গাজায় ভোগান্তির মাত্রা অসহনীয়। ইসরায়েলি সরকারের কিছু সদস্যের বিদ্বেষমূলক ভাষা ব্যবহারেরও নিন্দা জানান।ইসরায়েল সরকারের সদস্যরা বলেছেন, ধ্বংসযজ্ঞের মুখে পড়ে গাজার বেসামরিক লোকজন এমনিতেই স্থানান্তর শুরু করবে।এই তিন নেতা বলেন, স্থায়ী জোরপূর্বক স্থানান্তর আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, যত সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারছে, তা জরুরি প্রয়োজনের তুলনায় এক ফোঁটাও নয়। এক সময় ব্রিটিশ কূটনীতিক ছিলেন তিনি।যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডার বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতির পক্ষে এবং ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধানের’ বাস্তবায়নের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, যার অধীনে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে সহাবস্থানে থাকবে। ভোরের আকাশ/আজাসা
গাজায় চলমান সংঘাত থামাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধ দ্রুত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি নেতানিয়াহুকে বার্তা পাঠাতে বলেছেন তার ঘনিষ্ঠদের।মঙ্গলবার (২০ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস নিউজ হোয়াইট হাউজের দুই কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা জানান, গাজার শিশু ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের ছবি দেখে ট্রাম্প হতাশ হয়েছেন এবং যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে নেতানিয়াহুর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।এর আগে একটি খবরে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র গাজা যুদ্ধ বন্ধ না হলে ইসরায়েলকে ‘পরিত্যাগ’ করার হুমকি দিয়েছে। যদিও মার্কিন প্রশাসন এই দাবি অস্বীকার করেছে। তবে এক্সিওস বলছে, যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট।হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বলেন, “ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধের দ্রুত অবসান চান। তিনি জিম্মিদের মুক্তি, মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং গাজার পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু দেখতে চান।”গত সপ্তাহে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন এবং ইসরায়েল ও হামাস উভয়পক্ষকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, যদিও তা এখনো ফলপ্রসূ হয়নি।এদিকে, গাজার বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস করে ২২ লাখ মানুষের স্থানচ্যুতির জন্য কাজ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই মানবিক বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ট্রাম্প। গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করতে নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়িয়েছেন তিনি।এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তিনি চান দ্রুত এ সংঘাতের ইতি টানা হোক।এছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স তার নির্ধারিত ইসরায়েল সফর স্থগিত করেছেন বলেও জানানো হয়েছে।সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মি ইদান আলেক্সান্ডারকে মুক্ত করতে ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি আলোচনায় যায় এবং তাকে ছাড়িয়ে আনে, যা নেতানিয়াহুর সহায়তা ছাড়াই করা হয়।হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভেত্তি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামাসের কাছে স্পষ্ট করেছেন তিনি সব জিম্মির মুক্তি চান। অন্যদিকে ইসরায়েলকে বলেছেন, তিনি চান যুদ্ধ বন্ধ হোক।”ভোরের আকাশ//হ.র
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৭৩ জনে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এই প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।মঙ্গলবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা থেকে ৮৭টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ২৯০ জন। ফলে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৮৮ জনে।বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বহু মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপ বা সড়কের পাশে পড়ে রয়েছে। টানা বোমা হামলা ও সড়কপথে বিধিনিষেধ থাকায় উদ্ধারকারী দলগুলোর পক্ষে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।গেল ১৮ মার্চ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ফের পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে গাজায়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪২৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৯ হাজার ৬৪৭ জন।এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজায় একটি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। তখন বন্দি বিনিময়েরও ব্যবস্থা করা হয়। তবে সেই সমঝোতা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।এদিকে গত বছর নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।এছাড়া গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-তে একটি মামলা এখনো চলমান রয়েছে, যার মূল আবেদনকারী দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা।ভোরের আকাশ//হ.র
ভারতের সঙ্গে চলমান সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই বড় পদোন্নতি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। তাকে দেশটির সর্বোচ্চ সামরিক পদ ফিল্ড মার্শাল র্যাঙ্কে উন্নীত করেছে পাকিস্তান সরকার।মঙ্গলবার (২০ মে) পাকিস্তানের কেবিনেট সভায় এই পদোন্নতির সুপারিশ অনুমোদন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি এবং এখনো এ নিয়ে কারও পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি।ফিল্ড মার্শাল হল পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক র্যাঙ্ক, যা পাঁচ তারকা মর্যাদাসম্পন্ন। ইতিহাসে এর আগে কেবল একবারই এই পদ প্রদান করা হয়েছিল—১৯৫৯ সালে জেনারেল আইয়ুব খান নিজেই নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করেন। তিনি ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেবিনেট বৈঠকে জেনারেল আসিম মুনিরকে এই সম্মাননায় ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল পিটিভি জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ‘অনুকরণীয় নেতৃত্ব ও ভূমিকা’ রাখার কারণেই এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।এর আগে উত্তেজনা বাড়ার সময় এক বক্তব্যে সেনাপ্রধান আসিম মুনির বলেন, “জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রয়োজনে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।”ভোরের আকাশ//হ.র