আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫ ১১:৫২ পিএম
ইরানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধ: জাতিসংঘে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার পথেই রয়েছে ইরান।
২০ জুন (শুক্রবার) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫৯তম অধিবেশনে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্বাস আরাগচি বলেন, জাতিসংঘ সনদের ২(৪) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে ইরানের ভেতরে সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। ১৩ জুন রাত থেকেই ইরানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অবৈধ হামলা শুরু হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ, ছুটিতে থাকা সেনাসদস্য, শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীরা নিহত ও আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের এই হামলায় আবাসিক ভবন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি স্থাপনা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবন এবং পরমাণু স্থাপনাও লক্ষ্যবস্তু হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন।
পরমাণু স্থাপনায় হামলার বিষয়টি ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার প্রস্তাব থাকলেও ইসরায়েল সেই প্রক্রিয়া শুরুর আগেই হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ১৫ জুন একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে প্রস্তুত ছিলাম, অথচ আগেভাগেই ইসরায়েল এই হামলা চালায়। এটি কূটনৈতিক আস্থা ও আন্তর্জাতিক কাঠামোর ওপর সরাসরি আঘাত।”
জাতিসংঘকে সতর্ক করে তিনি বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অন্যদিকে মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ইরানে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরান ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন।
সংঘাত প্রশমনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। আলোচনাকে সময়োচিত উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি আশা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন দুই সপ্তাহের মধ্যেই কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে।
ভোরের আকাশ/হ.র