আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫ ০৯:৪৫ এএম
ইরানকে বৈঠকের প্রস্তাব আইএইএ’র, পাঠানো হয়েছে চিঠি
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে চায় জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (IAEA)। এ লক্ষ্যে সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি-কে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করা এক বার্তায় বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেন গ্রসি। তিনি লিখেছেন, “ইরান যদি আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা ফের শুরু করে, তাহলে তাদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিতর্ক কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা সম্ভব হবে।”
চিঠিটি পাঠানোর খবরটি আসে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে।
তবে এখনো ইরানের পক্ষ থেকে এই চিঠির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। যদিও তেহরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালে ইরান জাতিসংঘের এনপিটি (NPT) বা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তখন ইরানে শাসন করছিলেন শাহ রেজা পাহলভী। সেই চুক্তির আওতায় ইরান আইএইএ’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং জানায়, দেশটি কখনোই পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথ বেছে নেবে না।
তবে, গত ৬ জুন আইএইএ এক বিবৃতিতে জানায়, ইরান যে মাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করছে, তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। এরপর ১৩ জুন ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই হামলার কারণ হিসেবে আইএইএ’র প্রতিবেদনকেই উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা থেকে বিরত রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ১৬ জুন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, “ইরানে ইসরায়েলি হামলার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে আইএইএ। তাদের প্রতিবেদনই হামলার অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।”
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
ভোরের আকাশ//হ.র