যুদ্ধের ময়দানে নামল ইরানের ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র ‘খাইবার-শেকান’
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার পর এবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলায় আরও আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তেহরান।ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ইসরায়েলবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এটি তাদের ২০তম ধাপ। এবার তারা ব্যবহার করেছে অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক অস্ত্র ‘খাইবার-শেকান’ (Kheybar-Shekan)। এটি ইরানের তৈরি অন্যতম শক্তিশালী ও ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র বলে দাবি করছে আইআরজিসি।এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের খবর এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক স্থাপনা ও বেসামরিক আবাসন এলাকাগুলোর ওপর একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের অভিযোগ, এসব হামলায় অসংখ্য সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন।ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে আখ্যা দিয়েছে “কূটনৈতিক আলোচনার সুযোগ থাকা অবস্থায় সরাসরি যুদ্ধকে বেছে নেওয়া”, যা তাদের মতে, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক শিষ্টাচারের চরম লঙ্ঘন।তাদের ভাষ্য, “যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ ও আণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির বরখেলাপ করে ইরানের ওপর সরাসরি হামলা চালিয়ে বিশ্ব নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।”বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা এবং পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের ছায়া আরও ঘন হচ্ছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিগুলোর জন্যও।ভোরের আকাশ//হ.র
২৩ জুন ২০২৫ ১২:৩০ এএম
ইরানে মার্কিন হামলার কড়া সমালোচনায় লাতিন আমেরিকার চার দেশ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লাতিন আমেরিকার চারটি দেশ—কিউবা, চিলি, মেক্সিকো ও ভেনেজুয়েলা। দেশগুলো এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং বৈশ্বিক শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছে।কিউবার কড়া বার্তাকিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেল মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এটি জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন। এমন এক পদক্ষেপ যা গোটা বিশ্বকে এক ভয়াবহ ও অপরিবর্তনীয় সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”চিলির ন্যায়বোধপূর্ণ অবস্থানচিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিচ ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, “চিলি এই হামলার নিন্দা জানায়। ক্ষমতা থাকলেই তা অন্যায়ভাবে প্রয়োগের অধিকার জন্মায় না—আপনি যত বড় শক্তিই হোন না কেন, এমনকি আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রও হন।”মেক্সিকোর শান্তির ডাকমেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানায়, “আমাদের সংবিধান ও শান্তিবাদী পররাষ্ট্রনীতির আলোকে আমরা জোর দিয়ে বলছি—উত্তেজনা কমাতে হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।”ভেনেজুয়েলার কঠোর নিন্দাভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেন, “আমরা মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটি ইসরায়েলের অনুরোধে পরিচালিত হয়েছে। আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।”বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনা এখন কেবল মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বৈশ্বিক কূটনৈতিক অঙ্গনেও বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। অনেক রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে, এই হামলা শান্তির পরিবর্তে যুদ্ধ ও অস্থিরতার পথ উন্মোচন করছে।তথ্যসূত্র: আলজাজিরাভোরের আকাশ//হ.র
২৩ জুন ২০২৫ ১২:২৭ এএম
ইতিহাসে ট্রাম্পের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে: ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলাকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত ইতিহাসে লেখা থাকবে এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম “স্বর্ণাক্ষরে” লিপিবদ্ধ হবে।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রোববার (২২ জুন) এক প্রতিবেদনে জানায়, গিদিওন সার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে “সাহসী” বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নেতৃত্ব দিয়েছেন।এদিকে ট্রাম্প নিজেও কড়া বার্তা দিয়েছেন ইরানকে। তিনি বলেন, “এখনই ইরানকে শান্তি স্থাপন করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেবে কি না, তা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানানো হবে। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই মার্কিন হামলার খবর জানান ট্রাম্প নিজেই।এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালানো হয়েছে এবং হামলার পর মার্কিন বিমানগুলো নিরাপদে ফিরে গেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের উলঙ্ঘন বলে দাবি করে সতর্ক করেছেন, যে এই হামলার ‘চিরস্থায়ী ফল’ ভোগ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন ও নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফেরেশন চুক্তি (এনপিটি) লঙ্ঘন করেছে। এই অত্যন্ত বিপজ্জনক ও অপরাধমূলক কাজের জন্য তাদের কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।”তিনি আরও জানান, ইরান তার সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সব বিকল্প সংরক্ষণ করেছে।যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সময় রোববার ভোরে ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে হামলা চালায় বলে ঘোষণা দেয়। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, “আমরা তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়েছি এবং সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।”ইরানের পারমাণবিক এজেন্সি এই হামলাকে ‘জঘন্যতম’ আখ্যা দিয়েছে। তবে তারা জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তেমন বেশি নয়।পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মদী বলেন, “ফোরদো স্থাপনায় মার্কিন হামলার আগেই আমরা বিষয়টি জানতাম। তাই স্থানটি আগেই খালি করা হয়েছিল, ফলে আক্রমণে কোনো অপূরণীয় ক্ষতি হয়নি।”ভোরের আকাশ//হ.র
২৩ জুন ২০২৫ ১২:২১ এএম
যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) দিবাগত রাতে সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।ট্রাম্প জানান, ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—এই তিনটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সব বিমান ইতিমধ্যে ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে। তিনি এটিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং পুরো বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন।এদিকে, ইরানে মার্কিন হামলার পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ওয়াশিংটনকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং এনপিটির গুরুতর লঙ্ঘন করেছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "আজ (শনিবার) সকালের ঘটনাগুলো অত্যন্ত ভয়াবহ এবং এর স্থায়ী পরিণতি হবে। জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্যকে এই অত্যন্ত বিপজ্জনক, আইনহীন এবং অপরাধমূলক আচরণের জন্য সতর্ক থাকতে হবে।" তিনি আরও বলেন, ইরান তার সার্বভৌমত্ব, স্বার্থ এবং জনগণকে রক্ষা করার জন্য সব বিকল্প পদক্ষেপ নেবে।এর আগে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে ফের হুঁশিয়ার করে দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি। এই নেতার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে বুধবার (১৮ জুন) টেলিভিশনে দেয়া তার বক্তব্য আবারও শেয়ার করা হয়। যেখানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ায়, তাহলে তা হবে তাদের নিজেদের ক্ষতির জন্য।ওই ভিডিও বার্তায় খামেনেয়ি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে ক্ষতির মুখে পড়বে, তা ইরানের যে কোনো ক্ষতির চেয়ে বহুগুণ বেশি হবে।’ভোরের আকাশ/আজাসা
২২ জুন ২০২৫ ১১:২৯ এএম
ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন যুদ্ধবিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই হামলার মধ্য দিয়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে আনুষ্ঠানটিকভাবে সরাসরি যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় স্টেলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের ‘পারমাণবিক কার্যক্রম ধ্বংসের প্রচেষ্টায়’ ইসরায়েলের সঙ্গে একযোগে অভিযানে অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার পর তেহরানের হুঁশিয়ারি নতুন করে আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।শনিবার (২১ জুন) নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফল হামলা চালিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে ফরদো, নাটানজ ও ইসফাহান। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে। ফরদোতে পুরোপুরি বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। আমাদের সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ফিরছে।ট্রাম্প আরও বলেন, আমাদের মহান আমেরিকান যোদ্ধাদের অভিনন্দন। পৃথিবীতে এমন আর কোনো সেনাবাহিনী নেই যারা এমন কাজ করতে পারত। এখন শান্তির সময়! এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।হামলার পর হোয়াইট হাউজ বিভিন্ন টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে জানিয়েছে, ট্রাম্প রাত ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।রোববার (২২ জুন) ভোরে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায়। ক্বোম প্রদেশের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, কয়েক ঘণ্টা আগে ক্বোমের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে শত্রুদের শনাক্ত করে। এ সময় ফরদো পারমাণবিক স্থাপনার একটি অংশে হামলা হয়।ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম এক প্রাদেশিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, ক্বোমের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ফরদো এলাকার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।ফার্স নিউজ জানিয়েছে, ইসফাহানের কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা সক্রিয় ছিল।রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ভোরে কয়েকটি মার্কিন বি-টু বোমারু বিমান গুয়ামের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেগুলো দিয়ে ইরানে হামলা চালানো হয়েছে।ইসরায়েলের দাবি, তেহরান যাতে কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সে লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইরান বরাবরই দাবি করে এসেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত।যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ ইরান এর আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র হামলায় যুক্ত হলে তারা প্রতিশোধ নেবে। ট্রাম্প নিজেও নির্বাচনী প্রচারে আমেরিকাকে বিদেশি যুদ্ধ থেকে দূরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং সেনা হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।তবে শনিবার এক ফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ইরান যেন অবিলম্বে শান্তি স্থাপন করে। না হলে আবারও হামলা হবে।এর আগে, বুধবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ওপর হামলা হলে তা আমেরিকার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে।ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস্মাইল বাঘাইও সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো হস্তক্ষেপই হবে পুরো অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধের রসদ।ভোরের আকাশ/আজাসা