ইরানে মোসাদের গোয়েন্দা অভিযানের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে যখন আলোচনার ঝড় বইছে, ঠিক তখনই আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে—বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র ও গোয়েন্দা বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের অভ্যন্তরে বহু বছর ধরেই গোপনে মোসাদ (ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা) গড়ে তুলছিল একাধিক গোপন ঘাঁটি। এসব ঘাঁটি থেকেই পরিচালিত হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও রিমোট-চালিত অস্ত্রের ভয়ঙ্কর সব অভিযান।
ভেতর থেকেই হামলার ছক!
বিশ্লেষকদের দাবি, ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার সূচনা হয়েছে বাইরে থেকে নয়, বরং ভেতর থেকেই। দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি করা মোসাদ নেটওয়ার্ক এই অভিযানের কেন্দ্রে ছিল। স্থানীয় এজেন্ট, চোরাই অস্ত্র, থ্রিডি প্রিন্টার, এমনকি গোপন কর্মশালার মাধ্যমে এসব ঘাঁটি ছিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হাব।
ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, রাজধানী তেহরানে তিনতলা একটি ভবনেই তৈরি করা হচ্ছিল আত্মঘাতী ড্রোন! সেখানে মিলেছে বিপুল যন্ত্রাংশ, স্যাটেলাইট-নিয়ন্ত্রিত গাইডেন্স সিস্টেম, লঞ্চার ও বিস্ফোরক। গত ১৬ জুন এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত দুই মোসাদ এজেন্টকে গ্রেফতারও করা হয়।
ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও স্মার্ট অস্ত্রের মরণফাঁদ
এ হামলার এক ভিন্ন মাত্রা হলো রিমোট-কন্ট্রোলড স্মার্ট অস্ত্রের ব্যবহার। ইরানের অভিযোগ, ইসরায়েলের স্পাইক মিসাইল ও আত্মঘাতী ড্রোনগুলো পরিচালিত হচ্ছিল উপগ্রহ ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ২০২০ সালে ঠিক এমনভাবেই একজন শীর্ষ ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছিল। এবারও একই কৌশলের পুনরাবৃত্তি দেখা গেছে।
প্রতিরক্ষা ধ্বংস ও নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু
এই হামলায় প্রথমে আঘাত হানা হয় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর। ড্রোন, ইলেকট্রনিক জ্যামিং ও ক্ষেপণাস্ত্রের সমন্বিত আক্রমণে রাডার ও সিস্টেমগুলো অকেজো করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি লক্ষ্য করা হয় ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ কাজমি ও তাঁর ডেপুটিকে।
ভেঙে পড়ছে সাইবার নিরাপত্তা?
হামলার পর ইরানে মোবাইল ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদেরও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তি ব্যবহার কমানোর। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ইঙ্গিত দেয়, ইরানের গোয়েন্দা ও সাইবার প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় গভীর ফাঁক তৈরি হয়েছে।
বহুবছরের অপারেশন: প্রযুক্তিনির্ভর ধ্বংসযজ্ঞ
যদিও ইসরায়েল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দায় স্বীকার করেনি, তথাপি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা রিপোর্ট ও প্রমাণ বলছে—ইরানের ভেতরেই গড়ে তোলা গোপন নেটওয়ার্ক, সাইবার অস্ত্র, স্মার্ট ড্রোন ও স্থানীয় সহযোগীদের মাধ্যমে এই হামলা ছিল বহুবছরের পরিকল্পনার ফসল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ছিল সামরিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন, “তৃতীয় প্রজন্মের” গোপন হামলা, যা একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে থেকেই তাকে দুর্বল করে দেয়।
সূত্র: বিবিসি, আল-মনিটর, মিডল ইস্ট আই
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
স্কটল্যান্ডের এক নারী তুর্কি ড্রামা সিরিজ ‘কুরলুস উসমান’ দেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ড্রামাটি নির্মাণ করেছে বোজদাগ ফ্লিম, যা ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।ড্রামার প্রতি আগ্রহের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া নারীটির নাম জুলিয়েটা লোরেঞ্জা মার্টিনেজ। সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) জানিয়েছে, তিনি ড্রামা দেখার সময় তুরস্কের সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক কাহিনির প্রতি মুগ্ধ হন।মার্টিনেজ বার্তাসংস্থা আনাদোলুকে বলেন, “করোনা মহামারির সময় আমি তুর্কি টিভি দেখতে শুরু করি। কুরলুস উসমানের গল্প, ইতিহাস এবং ইসলাম সম্পর্কে তথ্য আমাকে খুব প্রভাবিত করেছে। এর আগে আমি ইসলাম সম্পর্কে এত কিছু জানতাম না।”তিনি আরও জানান, “ড্রামা দেখার দুই বছর পর আমি শাহাদা পাঠ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করি। এরপর আমি তুরস্কের ইস্তাম্বুল সফর করি, যেখানে বোজদাগ ফ্লিমের ড্রামার সেট, দৃশ্যধারণের স্থান এবং কায়ি উপজাতির ক্যাম্প ঘুরে দেখেছি। এটি আমার জন্য একটি আবেগঘন অভিজ্ঞতা ছিল।”‘কুরলুস উসমান’ সিরিজটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন দেশে এটি অনুবাদ ও সম্প্রচারিত হয়েছে। ড্রামাটির মূল গল্পে অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা ও তার সংস্কৃতি ফুটে উঠেছে।সূত্র: ডেইলি সাবাহভোরের আকাশ//হর
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় চাউং উ শহরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ও সামরিক শাসনের বিরোধী বিক্ষোভের সময় সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছেন। মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।পূর্বসূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় থাদিঙ্গুত পূর্ণিমা উপলক্ষে চাউং উ শহরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা উৎসব ও জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন। এক নারী আয়োজক জানিয়েছেন, উৎসবে হাজির লোকজন কিছুক্ষণ পর বিক্ষোভ শুরু করলে সামরিক বাহিনী লক্ষ্যভ্রষ্ট করে বোমা নিক্ষেপ করে।তিনি আরও জানান, কমিটির পক্ষ থেকে আগেই মানুষকে সতর্ক করা হয়েছিল, যার ফলে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ হামলার আগেই নিরাপদ স্থানে চলে যেতে সক্ষম হয়। তবে কিছুক্ষণ পর একটি মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার উড়ে এসে অনুষ্ঠানস্থলে দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে অনেকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থল থেকে মানবদেহের অংশ ও মাংসের টুকরা সংগ্রহ করতে হয়েছে।চাউং উ এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন কীভাবে তার দুই সহকর্মীসহ অনেক মানুষ বোমার বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় তিনি অংশ নিয়েছেন।স্থানীয় সংবাদমাধ্যমও সামরিক হামলায় ৪০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।মিয়ানমারে আগামী ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। জান্তা সরকার দাবি করেছে, নির্বাচন জাতীয় পুনর্মিলনের পথ সুগম করবে। তবে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এই নির্বাচনকে ‘প্রতারণামূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠীরাও নির্বাচনের সম্ভাব্য সাজানো প্রকৃতি চিহ্নিত করে বাধা দেয়ার হুমকি দিয়েছে।সূত্র: এএফপিভোরের আকাশ//হ.র
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর জন্য উন্নতমানের এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন পর এই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পুনরায় শুরু হওয়াকে ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।ওয়াশিংটনের প্রকাশিত সরকারি নথি অনুযায়ী, এই চুক্তির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এআইএম-১২০ডি-৩ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র পাবে। এটি উন্নত মধ্যপাল্লার এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণ। রোথিয়ন টেকনোলজিস করপোরেশন ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের দায়িত্বে থাকবে। মোট ২.৫ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের পাশাপাশি তুরস্ক ও কয়েকটি মার্কিন মিত্র দেশের জন্যও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হবে।এআইএম-১২০ডি-৩ সংস্করণকে বলা হয় বিভিআর (বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ) যুদ্ধের জন্য অন্যতম সেরা অস্ত্র। এটি শত্রু বিমান ও আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্রকে দৃশ্যমান পরিসরের বাইরে থেকেও নিখুঁতভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম।প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেলে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে ব্যবহৃত এআইএম-১২০সি-৫ সংস্করণকে প্রতিস্থাপন করবে এই নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র।বিশ্লেষকদের ভাষ্য, “এআইএম-১২০ডি-৩ পাকিস্তান বিমানবাহিনীকে বিভিআর যুদ্ধক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা দেবে। দূরত্ব, নিখুঁততা এবং ইলেকট্রনিক প্রতিরোধ ক্ষমতার দিক থেকেও এটি অগ্রগামী।”পাকিস্তান কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই আপডেট সংস্করণের অনুরোধ জানিয়ে আসছিল, যাতে তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।এই চুক্তি এমন সময়ে এসেছে, যখন জুলাইয়ে পাকিস্তান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকী ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষা ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই ধারাবাহিক যোগাযোগ দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন করে উষ্ণ করেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।ভোরের আকাশ//হর
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৮০তম জন্মদিনে ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে আলটিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ (ইউএফসি)। ২০২৬ সালের ১৪ জুন হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে এই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মিক্সড মার্শাল আর্টস প্রতিযোগিতা।ভির্জিনিয়ার নরফোক নৌঘাঁটিতে দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন, জন্মদিন উপলক্ষে হোয়াইট হাউসের মাঠে এই বিশেষ ইউএফসি লড়াই অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ইউএফসি প্রেসিডেন্ট ডানা হোয়াইট জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল, তবে পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ট্রাম্পের জন্মদিনে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।ডানা হোয়াইট জানান, আগামী বছরের শুরু থেকেই তৈরি করা হবে ‘হোয়াইট হাউস কার্ড’, যা ইউএফসি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফাইট কার্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি বলেন, “এটি শুধু একটি লড়াই নয়, এটি আমেরিকান ইতিহাস ও খেলাধুলার গৌরবময় মেলবন্ধন।”ইউএফসি হলো একটি মিক্সড মার্শাল আর্টস প্রতিযোগিতা, যেখানে বক্সিং, রেসলিং, কিকবক্সিং, কারাতে, ব্রাজিলিয়ান জিউ-জিতসু ও জুডো মিলিতভাবে ব্যবহৃত হয়। লড়াইটি অক্টাগন নামে পরিচিত আট কোণবিশিষ্ট ধাতব খাঁচার মতো বিশেষ রিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীরা নানা যুদ্ধকৌশল ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করার চেষ্টা করেন, যা খেলাটিকে রোমাঞ্চকর ও বিপজ্জনক করে তোলে।বিশ্বজুড়ে কোটি দর্শকের প্রিয় এই খেলা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়াতেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো ইউএফসি আয়োজনকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া ও রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এটি ট্রাম্পের নেতৃত্বে রাজনীতি, বিনোদন ও ক্রীড়ার এক নতুন সংমিশ্রণ ঘটাবে, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নজর কাড়বে।ভোরের আকাশ//হর