আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ মে ২০২৫ ০৯:৩২ পিএম
মিয়ানমারে জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী নিহত
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলে একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির জান্তা বাহিনী। এতে ১৭ জন স্কুল শিক্ষার্থী নিহত এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছে। সাগাইং অঞ্চলের দেপেইন শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শহরটি বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত।
মিয়ানমার ছায়া সরকার সোমবার (১২ মে) এ তথ্য জানিয়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর যুদ্ধবিরতির মাঝেই এই হামলা চালানো হলো। খবর রয়টার্স
ছায়া সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ (এনইউজি) পরিচালিত ওই স্কুলটি দেপেইনে অবস্থিত, যা মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তরে এবং ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছাকাছি।
এনইউজির মুখপাত্র নে ফোন লাত বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে জানা যাচ্ছে, ১৭ জন শিক্ষার্থী নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে। স্কুলটি বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েকজন নিখোঁজ থাকতে পারে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সংঘাত শুরু হয়। তখন থেকে জান্তা সরকার বিক্ষোভ দমন এবং বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ ঠেকাতে দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে। বর্তমানে তারা জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং এনইউজি-সমর্থিত প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাঠে পিছিয়ে পড়েছে।
গত সপ্তাহে জান্তা সরকার জানান, যদিও তারা এপ্রিলের শুরুতেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল, যাতে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও মিয়ানমারের কিছু অংশে সেনাবাহিনীর বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চলতে দেখা গেছে। গত ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পর ঘোষিত যুদ্ধবিরতি আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এনইউজি হলো ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রশাসনের সদস্য ও অন্যান্য জান্তা-বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সমন্বয়ে গঠিত একটি ছায়া সরকার।
ভোরের আকাশ/এসআই