আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫ ০৩:৩২ এএম
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে রুশ তেল আমদানি বন্ধ করল ভারত
রাশিয়ার তেলের ওপর ছাড় কমে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক হুমকির কারণে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করেছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক ভারত বর্তমানে সমুদ্রপথে রুশ তেলের অন্যতম প্রধান ক্রেতা হলেও সাম্প্রতিক চাপের মুখে ভারতীয় কোম্পানিগুলো রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্রের বরাতে জানানো হয়, গত সপ্তাহে ভারতীয় কোনো রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি রাশিয়া থেকে তেল কেনেনি।
ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চারটি বড় তেল পরিশোধন প্রতিষ্ঠান—ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOC), হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (HPCL), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (BPCL) এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস (MRPL)—কোনো নতুন রুশ তেল আমদানির চুক্তি করেনি বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
তবে রয়টার্স জানিয়েছে, এই চার কোম্পানি কিংবা ভারতের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য দেয়নি।
এদিকে বিকল্প উৎসের সন্ধানে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো এখন স্পট মার্কেটের দিকে ঝুঁকছে। বিশেষ করে আবু ধাবির মুরবান ক্রুড এবং পশ্চিম আফ্রিকার তেলের দিকে নজর দিচ্ছে তারা।
উল্লেখ্য, ভারতের দৈনিক তেল পরিশোধন সক্ষমতা প্রায় ৫২ লাখ ব্যারেল, যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর ভাগ ৬০ শতাংশেরও বেশি। যদিও দেশটির বেসরকারি খাতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নায়ারা এনার্জি এখনো রাশিয়ার অন্যতম বড় তেল ক্রেতা হিসেবে রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তিচুক্তি না হলে রুশ তেল কেনা দেশগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এরপর বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'ট্রুথ স্যোশাল'-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং অতিরিক্ত জরিমানা আরোপের ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার দেওয়া আরও একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “ভারত ও রাশিয়া চাইলে একসঙ্গে তাদের ‘মরা অর্থনীতি’ ধ্বংস করে ফেলতে পারে। আমাদের তাতে কিছু যায় আসে না।” তিনি আরও দাবি করেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে খুব সামান্য বাণিজ্য করি। তারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর একটি।”
সূত্র: রয়টার্স
ভোরের আকাশ//হ.র