আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫ ০৪:৫৮ এএম
বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ধরনের গোল্ডেন ভিসা চালু করলো আমিরাত
মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) পেশাজীবীদের জন্য নতুন ধরনের গোল্ডেন ভিসা চালু করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের নাগরিকদের জন্য মনোনয়ন-ভিত্তিক এই পাইলট প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটির আবাসন কর্মসূচির শর্ত শিথিল করে নার্স, শিক্ষক, কনটেন্ট ক্রিয়েটরসহ আরও নানা পেশার মানুষের জন্য ভিসার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগ পর্যন্ত আমিরাতে গোল্ডেন ভিসা পেতে সম্পদ বা ব্যবসায় বড় বিনিয়োগ করতে হতো। তবে নতুন নিয়মে শুধু বিনিয়োগকারীরাই নয়, ১৫ বছরের অভিজ্ঞ নার্স, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইউটিউবার, ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতা, ই-স্পোর্টস পেশাজীবী ও বিলাসবহুল ইয়টের মালিকরাও এই সুবিধা পাবেন।
অভিযোগমুক্ত, অপরাধমুক্ত প্রোফাইল থাকা আবশ্যক। আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের হিস্টোরিও যাচাই করা হবে। এছাড়াও তাদের আমিরাতের অর্থনীতি, ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে অবদানের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
মনোনয়ন-ভিত্তিক এই ভিসার জন্য আবেদন করলে তা আমিরাত সরকারের কাছে পাঠানো হয় এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারা নেবে। বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য আবেদন সুবিধাজনক করতে ‘ওয়ান ভাস্কো সেন্টার’সহ অনলাইন পোর্টাল ও কল সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হবে।
নতুন এই গোল্ডেন ভিসার মাধ্যমে পেশাজীবীরা শুধু নিজেদের জন্যই নয়, পরিবারের সদস্যদেরও আমিরাতে নিয়ে আসতে পারবেন। গৃহকর্মী ও চালক নিয়োগের অনুমতিও থাকবে। এই ভিসায় বিনিয়োগ বা সম্পত্তি বিক্রির কারণে ভিসা বাতিলের আশঙ্কা নেই, যা আগের সম্পত্তি-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসার তুলনায় বড় সুবিধা।
২০১৯ সালে বিশ্বের ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে আমিরাত গোল্ডেন ভিসা চালু করে। ২০২২ সালে বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়, যাতে আরও বড় পরিসরে বিনিয়োগকারীরা ভিসা সুবিধা পায়।
বর্তমানে মনোনয়ন-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসা কর্মসূচি বাংলাদেশ ও ভারতকে কেন্দ্র করে পরীক্ষামূলক ধাপে চলছে। ভবিষ্যতে চীনসহ অন্যান্য দেশও এতে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গোল্ডেন ভিসার জন্য নির্ধারিত ফি এক লাখ আমিরাতি দিরহাম (বাংলাদেশি প্রায় ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা)। আগামী তিন মাসের মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি ভারতীয় নাগরিকের আবেদন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোরের আকাশ//হ.র