ইতিহাস গড়লো টেসলা: চালক ছাড়াই নতুন মালিকের বাসায় পৌঁছাল গাড়ি
চালক ছাড়াই নিজে নিজে নতুন মালিকের বাসায় পৌঁছে ইতিহাস গড়লো টেসলার একটি গাড়ি। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো গাড়ি ডেলিভারি দিলো—তাও আবার চালক বা রিমোট কন্ট্রোলার ছাড়াই।
টেসলার মডেল ওয়াই গাড়িটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে অবস্থিত কারখানা থেকে ৩০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত নতুন মালিকের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। পুরো যাত্রায় গাড়িটির নিয়ন্ত্রণে কোনো চালক ছিল না, এমনকি রিমোট অপারেটরেরও কোনো ভূমিকা ছিল না।
সম্প্রতি টেসলা তিন মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা যায়—গাড়িটি নিজের বুদ্ধিমত্তায় ট্রাফিক আইন মেনে মহাসড়ক ও জংশন পেরিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে। গাড়ির গতি কখনো কখনো ১১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছে বলে জানিয়েছেন টেসলার অটোপাইলট ও এআই বিভাগের প্রধান অশোক এলুস্বামী।
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে জানিয়েছেন, “গাড়িটিতে কোনো চালক ছিল না এবং কোনো রিমোট অপারেটরও ব্যবহৃত হয়নি। এটি সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হয়েছে। আমাদের জ্ঞাত অনুযায়ী, এটি মহাসড়ক দিয়ে চালকহীন প্রথম গাড়ি ডেলিভারির নজির।”
এই সাফল্যকে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইরান ও আজারবাইজানের মধ্যে। সম্প্রতি ইরানি গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, যুদ্ধকালীন সময়ে ইসরায়েলের কিছু ড্রোন আজারবাইজানের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে প্রবেশ করেছে। এই তথ্য জানার পর আজারি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।টেলিফোনে আলাপকালে ইরানি প্রেসিডেন্ট বিষয়টি গুরুতরভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আজারবাইজান থেকে সত্যিই ইসরায়েলি ড্রোন ইরানে প্রবেশ করেছে কি না, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা দরকার।”আর্মেনিয়ায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত মেহদি সোবহানি জানান, “আমরা তথ্য পেয়েছি—সংখ্যায় কম হলেও কিছু ড্রোন আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর আকাশসীমা থেকে ইরানে ঢুকেছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান আজারি প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করেছেন এবং বিস্তারিত তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন।”ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ইসনা নিউজ জানিয়েছে, ইরানি গোয়েন্দারা বিশ্বাস করেন, গাজা যুদ্ধের সময় দখলদার ইসরায়েল আজারবাইজানের আকাশসীমা ব্যবহার করেছে। যদিও এখন পর্যন্ত আজারবাইজানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগের জবাব আসেনি।এই ঘটনা ইরান-আজারবাইজান সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। ইরানের আশঙ্কা, তার প্রতিবেশী দেশগুলো হয়তো ইসরায়েলকে সরাসরি সহায়তা করছে বা অবহিত না থেকেও এমন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।সূত্র: আলজাজিরা, ইসনা নিউজভোরের আকাশ//হ.র
যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত থাকলেও উত্তর গাজায় নতুন করে বড় ধরনের সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। গাজা সিটি ও জাবালিয়ার বাসিন্দাদের দক্ষিণের উপকূলীয় এলাকা আল-মাওয়াসিরে সরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "অভিযান পশ্চিমাঞ্চলে আরও বিস্তৃত ও তীব্র হবে।"হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৬ জন। নিহতদের মধ্যে তিন শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন, যাদের মৃত্যু হয়েছে তথাকথিত "নিরাপদ" অঞ্চল আল-মাওয়াসিরে।নিহত শিশুদের বাবা জিয়াদ আবু মারুফ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন,“ইসরায়েলের নির্দেশ মেনেই এক মাস আগে এই এলাকায় এসেছিলাম। অথচ এখানেই আমাদের সন্তানদের হারালাম।” তার স্ত্রী ইমান আবু মারুফ বলেন, “মাটিতে ঘুমিয়ে থাকাকালীন আমাদের ওপরই বোমা ফেলা হয়।”এই হামলার ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়, যখন মধ্যস্থতাকারীরা হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে নতুন আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আহ্বান জানিয়েছেন, গাজায় চুক্তি সম্পন্ন করে “জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা” হোক। তবে হামাসের এক ঊর্ধ্বতন নেতা বিবিসিকে জানিয়েছেন, “বর্তমানে আলোচনা স্থগিত রয়েছে।” কাতার এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় রয়েছে এবং তারা আশা করছে—যুক্তরাষ্ট্রের চাপেই চুক্তি অর্জন সম্ভব হতে পারে।এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। তিনি মামলাটিকে “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র” বলে উল্লেখ করে বলেছেন, “এটি যুদ্ধবিরতির আলোচনাকেও বিলম্বিত করছে।”তবে ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ এ মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থায় ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ অনুচিত।”গাজায় মানবিক সংকটও দিন দিন বাড়ছে। মার্চ মাসে ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে, যা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ১১ সপ্তাহ পর আংশিক শিথিল করা হয়। এরপর ‘ইসরায়েল-সমর্থিত’ গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) এর মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা হয়। তবে জাতিসংঘ এই ব্যবস্থার সমালোচনা করেছে।জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর মুখপাত্র জুলিয়েট টুমা বলেন, “এই নতুন ত্রাণ ব্যবস্থা একটি মৃত্যুপুরীর মতো। শুধুমাত্র জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই সাহায্য সঠিকভাবে পৌঁছানো সম্ভব।”উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস। এরপর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজার ৫০০-এর বেশি মানুষ।ভোরের আকাশ//হ.র
রাশিয়ার তীব্র হামলায় ইউক্রেনের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বিমানটির পাইলট লেফটেন্যান্ট কর্নেল ম্যাকসিম উস্তিমেনকো। রোববার (২৯ জুন) মধ্যরাতে ইউক্রেনজুড়ে চালানো বড় পরিসরের রুশ হামলার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাতভর রাশিয়া সাড়ে পাঁচশ’র বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একযোগে হামলা চালায়। ওই হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে সাতটি আকাশ হামলা সফলভাবে রুখে দেওয়ার পর এফ-১৬ বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়।১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া ম্যাকসিম উস্তিমেনকো ইউক্রেনের আধুনিক এয়ারফোর্সের একজন প্রশিক্ষিত ও দক্ষ পাইলট ছিলেন। পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে পাওয়া উন্নত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালাতে পারদর্শী ছিলেন তিনি। তার এই মৃত্যু ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য একটি “অপূরণীয় ক্ষতি” বলেই বিবেচিত হচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ থেকে বহু তদবির ও অনুরোধের পর ইউক্রেন কিছু সংখ্যক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করেছিল। যদিও ইউক্রেন সরকার কখনো স্পষ্ট করে জানায়নি, তাদের হাতে ঠিক কতটি এফ-১৬ রয়েছে। এই নিয়ে যুদ্ধ শুরুর পর দেশটি মোট তিনটি এফ-১৬ হারাল।ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, রোববার মধ্যরাতের ওই হামলায় দক্ষিণের মাইকোলাভ, দক্ষিণ-পূর্ব জাপোরিঝিয়া, এবং পশ্চিম লভিভ অঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।এর আগেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই বড় হামলার কথা জানিয়েছিলেন, তবে যুদ্ধবিমান ধ্বংস ও পাইলট নিহতের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।যুদ্ধ শুরুর আগে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী তুলনামূলকভাবে পুরোনো মডেলের যুদ্ধবিমান ব্যবহার করত। রাশিয়ার সঙ্গে সমানে সমানে প্রতিযোগিতা করতে কয়েকজন পাইলটকে পশ্চিমা মিত্ররা প্রশিক্ষণ দেয় আধুনিক প্রযুক্তির বিমান চালানোর জন্য। এই প্রশিক্ষিত পাইলটদের মধ্যে একজন ছিলেন উস্তিমেনকো। ফলে তার মৃত্যু ইউক্রেনের জন্য শুধু একটি জীবনহানিই নয়, একটি কৌশলগত ক্ষতিও।সূত্র: আলজাজিরাভোরের আকাশ//হ.র
চালক ছাড়াই নিজে নিজে নতুন মালিকের বাসায় পৌঁছে ইতিহাস গড়লো টেসলার একটি গাড়ি। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো গাড়ি ডেলিভারি দিলো—তাও আবার চালক বা রিমোট কন্ট্রোলার ছাড়াই।টেসলার মডেল ওয়াই গাড়িটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে অবস্থিত কারখানা থেকে ৩০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত নতুন মালিকের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। পুরো যাত্রায় গাড়িটির নিয়ন্ত্রণে কোনো চালক ছিল না, এমনকি রিমোট অপারেটরেরও কোনো ভূমিকা ছিল না।সম্প্রতি টেসলা তিন মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা যায়—গাড়িটি নিজের বুদ্ধিমত্তায় ট্রাফিক আইন মেনে মহাসড়ক ও জংশন পেরিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে। গাড়ির গতি কখনো কখনো ১১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছে বলে জানিয়েছেন টেসলার অটোপাইলট ও এআই বিভাগের প্রধান অশোক এলুস্বামী।টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে জানিয়েছেন, “গাড়িটিতে কোনো চালক ছিল না এবং কোনো রিমোট অপারেটরও ব্যবহৃত হয়নি। এটি সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হয়েছে। আমাদের জ্ঞাত অনুযায়ী, এটি মহাসড়ক দিয়ে চালকহীন প্রথম গাড়ি ডেলিভারির নজির।”এই সাফল্যকে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।ভোরের আকাশ//হ.র