ইউক্রেনে স্মরণকালের ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালাল রাশিয়া
রাশিয়া ইউক্রেনে সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ। রবিবার সকালে কিয়েভসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো এ হামলাকে দেশটি রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর সবচেয়ে ভয়াবহ ড্রোন হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ কিয়েভ, দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে মোট ২৭৩টি ড্রোন পাঠায় রাশিয়া। এর মধ্যে ৮৮টি ড্রোন ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছে এবং আরও ১২৮টি ড্রোন লক্ষ্যচ্যুত হয়ে পড়ে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
হামলায় কিয়েভের ওবুখিভ জেলায় একজন নারী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একটি চার বছরের শিশু রয়েছে।
এই হামলা এমন সময় চালানো হলো যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে নির্ধারিত ফোনালাপের একদিন বাকি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইউক্রেন সংকটে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
এদিকে শুক্রবার তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেন মুখোমুখি আলোচনায় বসে। তিন বছরেরও বেশি সময় পর হওয়া এই বৈঠকে বন্দী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও অন্য কোনও বিষয়ে সমঝোতা হয়নি।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা রবিবার রাত এবং ভোরে ইউক্রেনের পাঠানো ২৫টি ড্রোন আটক করেছে। এরই মাঝে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, রাশিয়া হয়তো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের মহড়া বা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা ইউক্রেনকে ভীত করতে পরিকল্পিত।
তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ জানিয়েছেন, সোমবার সকালে পুতিনের সঙ্গে কথা বলার আগে তিনি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন। উল্লেখ্য, এই চার নেতা দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেন সফর করেন এবং ইউরোপীয় জোটের সমর্থনে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
রাশিয়া ইউক্রেনে সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ। রবিবার সকালে কিয়েভসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো এ হামলাকে দেশটি রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর সবচেয়ে ভয়াবহ ড্রোন হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ কিয়েভ, দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে মোট ২৭৩টি ড্রোন পাঠায় রাশিয়া। এর মধ্যে ৮৮টি ড্রোন ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছে এবং আরও ১২৮টি ড্রোন লক্ষ্যচ্যুত হয়ে পড়ে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।হামলায় কিয়েভের ওবুখিভ জেলায় একজন নারী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একটি চার বছরের শিশু রয়েছে।এই হামলা এমন সময় চালানো হলো যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে নির্ধারিত ফোনালাপের একদিন বাকি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইউক্রেন সংকটে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন।এদিকে শুক্রবার তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেন মুখোমুখি আলোচনায় বসে। তিন বছরেরও বেশি সময় পর হওয়া এই বৈঠকে বন্দী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও অন্য কোনও বিষয়ে সমঝোতা হয়নি।রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা রবিবার রাত এবং ভোরে ইউক্রেনের পাঠানো ২৫টি ড্রোন আটক করেছে। এরই মাঝে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, রাশিয়া হয়তো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের মহড়া বা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা ইউক্রেনকে ভীত করতে পরিকল্পিত।তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ জানিয়েছেন, সোমবার সকালে পুতিনের সঙ্গে কথা বলার আগে তিনি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন। উল্লেখ্য, এই চার নেতা দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেন সফর করেন এবং ইউরোপীয় জোটের সমর্থনে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ//হ.র
ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে রোববার রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ২৬৭তম ধর্মগুরু হিসেবে অভিষেক নিলেন পোপ লিও চতুর্দশ। ‘ভিভা এল পাপা’ ধ্বনিতে মুখরিত ওই জমায়েতে দরিদ্রদের পক্ষে সোচ্চার হয়ে, গাজার মানুষের জন্য প্রার্থনা করে এবং চার্চের ঐক্যের বার্তা দিয়ে নিজের পোপালি দায়িত্বের সূচনা করেন তিনি।গত ৮ মে অনুষ্ঠিত কনক্লেভের মাধ্যমে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লিও—তিনি দেশটির প্রথম নির্বাচিত পোপ। এর আগে ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তাঁর পূর্বসূরি, পোপ ফ্রান্সিস।বিশেষভাবে প্রস্তুত একটি গাড়িতে পোপ লিও যখন স্কয়ারে উপস্থিত হন, তখন সেখানে বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এছাড়া পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং পোপের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।দুই ঘণ্টাব্যাপী অভিষেক অনুষ্ঠানে পোপ লিওর বক্তব্য ছিল শান্তি, সহমর্মিতা ও ন্যায়ের পক্ষে। তিনি বলেন, “চার্চে ধর্মীয় অপপ্রচারের কোনো স্থান নেই। কেউ ক্ষমতা দেখিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে, তা টেকসই হবে না।”তিনি প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের বিনয়ের কথা স্মরণ করে বলেন, “আমি নিজের যোগ্যতায় নয়, একজন ভাই ও সেবকের মতো এই দায়িত্ব নিতে এসেছি।”পোপের অভিষেকে তাঁকে প্রদান করা হয় ধর্মীয় প্রতীক ‘পেলিয়াম’ ও ‘ফিশারম্যানস রিং’। এগুলো তাঁর আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের প্রতীক।বক্তব্যের শেষ অংশে বর্তমান বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমালোচনা করে পোপ বলেন, “বিশ্বের সম্পদ একটি গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে এবং দরিদ্রদের আরও পেছনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।” একইসঙ্গে তিনি ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তির আহ্বান জানান এবং ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, “গাজার শিশু, পরিবার, বৃদ্ধ এবং হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের অনাহারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা তাঁদের জন্য প্রার্থনা করি।”ভোরের আকাশ//হ.র
সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুই দিনের সরকারি সফরে চীন যাচ্ছেন। সোমবার শুরু হওয়া এই সফরে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে চীনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই–এর আমন্ত্রণে ১৯ থেকে ২১ মে পর্যন্ত বেইজিং সফর করবেন ইসহাক দার। সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই সফর চীন-পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করবে এবং চলমান উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক সংলাপের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আফগানিস্তান ইস্যুএ সফরের অংশ হিসেবে ২০ মে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুততাকিও চীন সফরে যাচ্ছেন। সেখানে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতগত মাসে কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যু হয়। ভারত হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে।ভারত সীমান্তে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে। জবাবে পাকিস্তানও ‘অপারেশন বুনিয়ানুম-মারসুস’ নামের প্রতিরোধমূলক অভিযান চালায়। পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান (তিনটি রাফালসহ) এবং বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, এই সংঘর্ষে তাদের ১৩ সেনা সদস্যসহ মোট ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। ৮৭ ঘণ্টা স্থায়ী এ সংঘাত শেষ হয় ১০ মে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে।চীনের সমর্থনসংঘাতের সময় চীন প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানায়। বেইজিংয়ে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানকে ‘আয়রন ব্রাদার’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “সংকটকালে চীন সবসময় পাকিস্তানের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”কূটনৈতিক গুরুত্ববিশ্লেষকদের মতে, ইসহাক দারের এই সফর কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পর্যালোচনাই নয়, বরং আঞ্চলিক কূটনৈতিক সমীকরণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, আফগানিস্তানকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় কাঠামো গঠনের মাধ্যমে চীন দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।পাকিস্তান একদিকে যুদ্ধবিরতির পরিবেশ ধরে রাখতে চায়, অন্যদিকে ভারতের ‘আগ্রাসী ভূমিকাকে’ আন্তর্জাতিক মহলে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে।এই সফর শেষে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক কোন পথে যাবে, তা নির্ভর করবে চীনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নতুন কূটনৈতিক সমঝোতার ওপর।সূত্র: দ্য নিউজভোরের আকাশ//হ.র
ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগে ভারতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জাতিসংঘ। অভিযোগ উঠেছে, অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন বিষয়টিকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।৬ মে রাতে দিল্লির কয়েকটি এলাকা থেকে UNHCR-নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের আটক করে পুলিশ। প্রথমে বলা হয়েছিল, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে, কিন্তু পরে তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়নি। আটকদের প্রথমে ডিটেনশন সেন্টারে, এরপর ৮ মে একটি নৌবাহিনীর জাহাজে করে আন্দামান পাঠানো হয়। অভিযোগ, সেখান থেকে তাদের চোখ-মুখ বেঁধে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়।ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানিয়েছে, যাদের ফেলা হয়েছে, তাদের মধ্যে কিশোর, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিও ছিলেন। অনেকেই বলছেন, পুলিশ মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে লাঞ্ছনাও করেছে।জাতিসংঘ বলছে, এই রোহিঙ্গারা আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রাখে। তাদের কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয়েছে, আদালতে তোলা হয়নি এবং নারী-শিশুদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা হয়নি।এই ঘটনার পর জাতিসংঘ ৪০ জন রোহিঙ্গার খোঁজ শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা নিজেরাই সাঁতরে মিয়ানমারের তানিনথারি এলাকায় পৌঁছেছেন।ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট করলেও আদালত প্রমাণের ঘাটতির কথা বলে তা খারিজ করেছে। তবে বিষয়টি চলমান মামলার বেঞ্চে উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতিরা। শুনানি হবে ৩১ জুলাই।মানবাধিকার আইনজীবীরা বলছেন, ভারত আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করছে। তারা প্রশ্ন তুলছেন, মিয়ানমারের নাগরিকত্ব না পাওয়া এই শরণার্থীদের কীভাবে জোর করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।একজন তরুণ রোহিঙ্গা বলেন, “আমার ভাই কোনো রাজনীতিতে ছিল না, ভালো মানুষ ছিল। তাকে আবর্জনার মতো ফেলে দেওয়া হয়েছে।”বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং ভারতকে মানবিক আচরণ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ আহ্বান জানিয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র