ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকাডুবিতে ৩৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু
ভিয়েতনামের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হা লং বে-তে ভয়াবহ নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৪ জন। শনিবার (স্থানীয় সময়) দুপুরে আকস্মিক ঝড় ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং নৌবাহিনীর যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ওয়ান্ডার সিজ’ নামের ওই পর্যটকবাহী নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন যাত্রী ছিলেন। হ্যানয় থেকে আসা বেশিরভাগ যাত্রীই স্থানীয় ভিয়েতনামি পরিবার। হঠাৎ করে শুরু হওয়া ঝড়, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতের মুখে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়।
উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণকারী কর্মীরা জানান, টানা ভারী বৃষ্টিপাত উদ্ধার তৎপরতায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তবে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করে আকাশ কালো হয়ে আসে, এরপর শুরু হয় প্রবল ঝড় ও বজ্রপাত।”
বিশেষ এক ঘটনা হিসেবে, ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে উল্টে যাওয়া নৌকার ভেতরে থাকা এয়ার পকেট থেকে চার ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, ১০ বছর বয়সী আরেক শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাই চাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
ভিয়েতনামী সংবাদমাধ্যম ভিএনএক্সপ্রেস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলোর মধ্যে অন্তত আটজন শিশু রয়েছে।
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং কেউ আইন ভঙ্গ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কোয়াং নিন প্রদেশের হা লং বে ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। শত শত দ্বীপপুঞ্জ ঘেরা এই অঞ্চল প্রতিবছর লাখো পর্যটককে আকর্ষণ করে। ২০১৯ সালে প্রায় ৪০ লাখ পর্যটক এই স্থানে ভ্রমণ করেছিলেন।
সাম্প্রতিক এই দুর্ঘটনা নতুন করে ওই অঞ্চলের পর্যটন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ নামক এক ধরনের শিরার সমস্যায় ভুগছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প সম্প্রতি পা ফোলা অনুভব করলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন। পরে জানা যায়, তিনি ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সিতে আক্রান্ত। তবে হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, এটি গুরুতর কোনও সমস্যা নয়।তবে সম্প্রতি ট্রাম্পের হাতের তালুর উল্টো পাশে একটি দাগ ও তা মেকআপ দিয়ে ঢাকার ছবি প্রকাশ্যে এলে আলোচনা আরও গড়ায়। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এটি শিরাজনিত নয় বরং ঘন ঘন করমর্দনের ফলেই এমন দাগ তৈরি হয়েছে।হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক ক্যাপ্টেন শন বারবাবেলা জানিয়েছেন, এই সমস্যাটি সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। এতে পায়ের শিরাগুলো রক্তকে হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে ফেরত পাঠাতে পারে না, ফলে দেহের নিচের অংশে ফোলাভাব বা পানি জমার সমস্যা দেখা দেয়।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার পেছনে দুর্বল শিরার ভালভ দায়ী, যা বয়সের সাথে সাথে দুর্বল হয়ে পড়ে। ওজন বেশি হওয়া, অতীতে রক্ত জমাট বাঁধার ইতিহাস থাকা, কিংবা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করার অভ্যাস – এসব বিষয়ও ঝুঁকি বাড়ায়।এই সমস্যার সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে পা ফোলা, ব্যথা, চুলকানি এবং ত্বকে প্রভাব পড়া অন্তর্ভুক্ত। কিছু ক্ষেত্রে আলসার, রক্তপাত বা ডিপ ভেইন থ্রোম্বোসিসের মতো জটিলতাও দেখা দিতে পারে। তবে ডা. বারবাবেলার ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের শারীরিক পরীক্ষায় ডিভিটি বা ধমনীজনিত রোগের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এটি খুব সাধারণ সমস্যা এবং সচরাচর গুরুতর কিছু নয়। ট্রাম্পের মতো বয়সের মানুষদের মধ্যে ১০% থেকে ৩৫% এই সমস্যায় ভুগে থাকেন।চিকিৎসকরা বলছেন, এই সমস্যা সামলাতে মেডিকেল-গ্রেড স্টকিংস, পা উঁচু করে বিশ্রাম নেওয়া এবং উপযুক্ত লোশন ব্যবহারের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি জীবনযাত্রায় পরিবর্তন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চার মাধ্যমেও এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ট্রাম্পের শারীরিক পরীক্ষায় তার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবস্থা "চমৎকার" বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা। হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, স্নায়ু এবং কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।ট্রাম্প বর্তমানে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রসুভাস্ট্যাটিন ও ইজেটিমিবি, হৃদরোগ প্রতিরোধে অ্যাসপিরিন এবং ত্বকের জন্য মোমেটাসোন ক্রিম ব্যবহার করছেন।নিজেকে “সর্বকালের সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান প্রেসিডেন্ট” বলে দাবি করা ট্রাম্পের এই সমস্যা আপাতত গুরুতর নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নিয়মিত নজরদারি ও সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।ভোরের আকাশ//হ.র
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের ফার্স প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২১ জন। শনিবার প্রদেশটির রাজধানী শিরাজের দক্ষিণে একটি বাস উল্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম, সূত্র আলজাজিরা।ফার্স প্রদেশের জরুরি সংস্থার প্রধান মাসুদ আবেদ জানান, দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ৩৪ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাহাড়ি এলাকায়, যা বাস চলাচলের জন্য বরাবরই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত।তিনি বলেন, “উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।” দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।দুর্ঘটনাস্থলটি রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার (৬০০ মাইল) দূরে অবস্থিত।উল্লেখযোগ্যভাবে, ইরানে সড়ক দুর্ঘটনা একটি সাধারণ এবং নিয়মিত ঘটনা। দেশটিতে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ১৭,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বল প্রয়োগ, পুরনো যানবাহনের ব্যবহার এবং জরুরি সেবার সীমাবদ্ধতা এই উচ্চ মৃত্যুহারের অন্যতম কারণ।সরকারি পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ বলছে, সড়ক নিরাপত্তা জোরদার না করলে এই ধরনের দুর্ঘটনা আরও বাড়তে পারে।ভোরের আকাশ//হ.র
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পর এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন।প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দেশের এবং পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তুষ্টিকরণ নীতির নামে তারা সীমা অতিক্রম করেছে। তারা সরাসরি অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে কাজ করছে, জাল নথিপত্র দিচ্ছে এবং এদের সুরক্ষা দিচ্ছে। যারা ভারতের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করছে, তাদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে তৃণমূল।”তিনি আরও বলেন, “যে কেউ ভারতের নাগরিক না, যারা বেআইনিভাবে এদেশে প্রবেশ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পাশাপাশি তিনি বাংলার সংস্কৃতি ও আত্মমর্যাদা রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দেন।বাঙালির আত্মমর্যাদা রক্ষায় বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করে মোদি বলেন, “বাংলা পরিবর্তন চায়, উন্নয়ন চায়। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে। তৃণমূলের অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে শান্তি ও উন্নয়ন ফিরিয়ে আনব।”রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য, ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মোদি বলেন, “তৃণমূল সরকার থাকলে রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগ সম্ভব নয়। মুর্শিদাবাদের মতো এলাকায় পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করে। সিন্ডিকেটের দাপটে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে থাকেন।”এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াতেও মোদি সরাসরি জবাব দেন। মমতা সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই বাঙালিদের হেনস্তা করা হচ্ছে। এর জবাবে মোদি বলেন, বিজেপিই বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। তিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।শিক্ষাক্ষেত্রে তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে মোদি বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের পক্ষ নিচ্ছে তৃণমূল নেতারা। শিক্ষাঙ্গনে এই ধরনের পরিস্থিতি বাংলার মেয়ে ও ছাত্রদের জন্য ভয়ঙ্কর। এটা বন্ধ করতে হলে তৃণমূলকে সরাতেই হবে।”এদিন মোদি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় ও কবি বিষ্ণু দে’র জন্মদিন স্মরণ করেন এবং বাংলার ঐতিহ্যকে স্মরণ করেন।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মোদির বক্তব্যে ২০২১ সালের নির্বাচনী ভাষণেরই প্রতিফলন দেখা গেছে। তবে উন্নয়ন ও বিনিয়োগ ইস্যুতে কিছু নতুন বার্তা দিয়েছেন তিনি।অন্যদিকে, বিজেপি নেতা ও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ঘোষণা দিয়েছেন, “আমি ২৩-২৪ তারিখ থেকে ময়দানে নামছি। মানুষের সমস্যা জানব এবং বুক চিতিয়ে লড়াই করব। আমি কোনো সমঝোতার রাজনীতি করি না।” তিনি পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান।রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়িয়ে মোদির এই সফর তৃণমূল ও বিজেপির দ্বন্দ্বকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মোদির এই বার্তা কতটা প্রভাব ফেলে।ভোরের আকাশ//হ.র
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো গাজায় মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন শত শত শিক্ষার্থী। শনিবার (১৯ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষা গাজার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সম্পূর্ণ অনলাইনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর গাজার শিক্ষাব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। তারপরও প্রায় ১,৫০০ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। অনলাইনে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে নেওয়া পরীক্ষার জন্য প্রযুক্তিগত সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেউ কেউ নিজ বাসা থেকে, আবার অনেকে নির্ধারিত কেন্দ্রে বসে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাবে শিক্ষার্থীরা কখনো ক্যাফে, কখনো তাঁবু, আবার আশ্রয়কেন্দ্র থেকেও পরীক্ষায় বসতে বাধ্য হচ্ছেন।আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজজুম দেইর আল-বালাহ থেকে জানান, এই পরীক্ষাটি শুধু উচ্চশিক্ষার প্রবেশপথ নয়, বরং গাজায় আটকে পড়া তরুণদের ভবিষ্যতের সম্ভাবনার একটি আলো।“যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যেও শিক্ষার্থীরা লগ ইন করে পরীক্ষা দিচ্ছে। তারা যুদ্ধকে নিজেদের স্বপ্ন ধ্বংস করতে দিচ্ছে না,” বলেন তিনি।পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য একটি মক টেস্ট নেওয়া হয়, যাতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি চিহ্নিত করা যায়। তবে শিক্ষার্থীদের অনেকেই বলছেন, গাজার বাস্তবতায় ডিজিটাল পরীক্ষা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন।এক শিক্ষার্থী দোহা খাত্তাব বলেন, “আমরা অনলাইনে পরীক্ষা দিচ্ছি, কিন্তু ইন্টারনেট দুর্বল, অনেকের কাছে ডিভাইস নেই, এমনকি নিরাপদ পরিবেশও নেই। আমাদের বইগুলোও ধ্বংস হয়ে গেছে।”শিক্ষিকা ইনাম আবু স্লিসা জানান, “শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো অনলাইন পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছে। তারা দ্বিধাগ্রস্ত। আমরা ধাপে ধাপে তাদের সহযোগিতা করছি।”জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় শিক্ষাব্যবস্থার ৯৫ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ৬ লাখ ৬০ হাজার স্কুলবয়সী শিশু বর্তমানে বিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরাইল পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করছে, যা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।যুদ্ধের ভয়াবহ বাস্তবতায়ও গাজার শিক্ষার্থীরা যেন থেমে নেই। পরীক্ষা তাদের জন্য কেবল একটি শিক্ষা কার্যক্রম নয়, বরং জীবন ও স্বপ্নের সঙ্গে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের একটি অংশ।ভোরের আকাশ//হ.র