পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া নিয়ে নতুন উদ্যোগ
পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশ নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পারস্পরিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ কারণে দেশ দুটি একে অপরের ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন এই উদ্যোগকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইকবাল হুসেইন খান জানান, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রাপ্তি সহজ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ মনে করে। লাহোরের গুজরাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জিটিসিসিআই)-তে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি জানান, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ইকবাল হুসেইন আরও জানান, ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের ভিসা প্রদান শুরু হয়েছে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে একটি অনলাইন ভিসা সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ ও দ্রুততর করবে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ব্যবসায়ী মহল আশা প্রকাশ করেছেন, এতে করে ব্যবসা সম্প্রসারণের পথ প্রশস্ত হবে, নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্কও আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ভিসা সহজীকরণ কেবল ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই নয়, বরং সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও পর্যটনের মতো খাতেও দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে। ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা অনেক সময়ই দুই দেশের সম্ভাবনাময় অংশীদারত্বকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ফলে এই উদ্যোগকে তারা সময়োপযোগী এবং যুগান্তকারী বলে বিবেচনা করছেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় পরিবর্তন এনেছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নতুন স্থানকে এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু স্থান প্রাকৃতিক এবং কিছু স্থান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। ইউনেস্কোর এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো বিশ্ব দরবারে আরও পরিচিতি লাভ করবে।ইউনেস্কোর মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় বেশ কয়েকটি নতুন সংযোজনের মধ্যে একটি জার্মানির নিউশওয়ানস্টাইন দুর্গ। এটি জার্মানির বাভারিয়ার একটি বিখ্যাত দুর্গ। এটি জার্মানির অন্যতম জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত দুর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম।জার্মানির ফুসেন শহরের কাছে পোল্লাট গিরিখাতের উপরে এটি অবস্থিত। এই দুর্গটি রাজা দ্বিতীয় লুডভিগ-এর আদেশে নির্মিত হয়েছিল। ১৮৬৯ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি কল্পনাবাদী স্থাপত্যের নিদর্শন। যদিও এটি সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই রাজা মারা যান, তবুও এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।দুর্গটি রোমান্টিক স্থাপত্যশৈলীর একটি চমৎকার উদাহরণ এবং এর ভেতরের কক্ষগুলোও দারুণ কারুকার্য করা। পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই দুর্গ। প্রতি বছর এখানে অসংখ্য মানুষ আসে। এটি জার্মানির অন্যতম বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক।ইউনেস্কো প্রতি বছরই নতুন স্থান বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করে। চলতি বছরও এর ব্যতিক্রম নয়। এই স্থানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত এবং এদের মধ্যে কিছু স্থান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, কিছু স্থান প্রাকৃতিক ঐতিহ্য এবং কিছু স্থান উভয় ধরনের ঐতিহ্য বহন করে। এবার ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় আরও বেশ কিছু নতুন স্থান যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২১টি মানবিক কারণে সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে। যেসব নতুন স্থান ইউনেস্কোর তালিকায় স্থান পেয়েছে সেগুলো হলো-অস্ট্রেলিয়া: মুরুজুগা সাংস্কৃতিক ভূদৃশ্যব্রাজিল: ক্যাভারনাস দো পেরুচু জাতীয় উদ্যানকম্বোডিয়া: কম্বোডিয়ান স্মৃতিস্তম্ভ: দমন-পীড়নের কেন্দ্র থেকে শান্তি ও প্রতিফলনের স্থানক্যামেরুন: মান্দারা পর্বতমালার দি-গিদ-বি সাংস্কৃতিক ভূদৃশ্যচীন: জিক্সিয়া ইম্পেরিয়াল সমাধিগণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া: মাউন্ট কুমগাং—সমুদ্র থেকে হীরা পর্বতডেনমার্ক: মোনস ক্লিন্টফ্রান্স: কার্নাকের মেগালিথ এবং মরবিহানের তীরজার্মানি: বাভারিয়ার রাজা দ্বিতীয় লুডভিগের প্রাসাদ: নিউশওয়ানস্টাইন, লিন্ডারহফ, শাচেন এবং হেরেনচিমসিগ্রীস: মিনোয়ান প্রাসাদ কেন্দ্রগিনি-বিসাউ: বিজাগোস দ্বীপপুঞ্জের উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র—ওমাতি মিনহোভারত: ভারতের মারাঠা সামরিক ভূদৃশ্যইরান (ইসলামী প্রজাতন্ত্র): খোররামাবাদের প্রাগৈতিহাসিক স্থান উপত্যকাইতালি: সার্ডিনিয়ার প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাসে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ঐতিহ্য — জানাসের আস্তানাজ্যামাইকা: ১৭ শতকের পোর্ট রয়েলের প্রত্নতাত্ত্বিক সমাহারমালাউই: মাউন্ট মুলানজে সাংস্কৃতিক ভূদৃশ্যমালয়েশিয়া: বন গবেষণা ইনস্টিটিউট মালয়েশিয়া বন উদ্যান সেলাঙ্গরমেক্সিকো: পবিত্র স্থানগুলির মধ্য দিয়ে উইরিকুটা (তাতেহুয়ারি হুয়াজুয়ে) পর্যন্ত উইক্সারিকা রুটপানামা: পানামার ঔপনিবেশিক ট্রানজিস্টমিয়ান রুটকোরিয়া প্রজাতন্ত্র: বাঙ্গুচিয়ন স্রোতের ধারে পেট্রোগ্লিফরাশিয়ান ফেডারেশন: শুলগান-তাশ গুহার শিলা চিত্রসিয়েরা লিওন: গোলা-তিওয়াই কমপ্লেক্সতাজিকিস্তান: প্রাচীন খুত্তালের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থানতুরস্ক: সার্ডিস এবং বিন টেপের লিডিয়ান তুমুলিসংযুক্ত আরব আমিরাত: ফায়া প্যালিওল্যান্ডস্কেপভিয়েতনাম: ইয়েন তু-ভিনহ এনঘিয়েম-কন সন, স্মৃতিস্তম্ভ এবং ভূদৃশ্যের কিপ বাক কমপ্লেক্সইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকা হালনাগাদ করার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে এবং এই ঐতিহ্যগুলো সংরক্ষণে উৎসাহিত করে। নতুন স্থানগুলো এই তালিকায় যুক্ত হওয়ায়, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তাদের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য আরো বেশি মনোযোগ দেবে এবং বিশ্ববাসীও এই স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরছে এবং সেগুলোর সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় উৎসাহিত করছে।ভোরের আকাশ/জাআ
সাবেক ক্রিকেটার ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী রেহাম খান আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। দলটির নাম ‘পাকিস্তান রিপাবলিক পার্টি’। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন এই সাংবাদিক ও সমাজকর্মী।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) করাচি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রেহাম নতুন দলের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এ দল হবে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর এবং শাসক শ্রেণির জবাবদিহি নিশ্চিত করাই হবে তাদের প্রধান লক্ষ্য।রেহাম বলেন, 'এটা কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি আন্দোলন—যা জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে চায়।' তিনি আরও বলেন, '২০১২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আমি যে পাকিস্তান দেখেছি, সেখানে আজও বিশুদ্ধ পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসার অভাব রয়েছে। এটি আর মেনে নেওয়া যায় না।'প্রাক্তন স্বামীর প্রতি ইঙ্গিত করে রেহাম বলেন, 'আমি এর আগে একজন ব্যক্তির জন্য একটি দলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এবার নিজের শর্তে, নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি।'তিনি স্পষ্ট করেন, তার দল ক্ষমতার জন্য প্রতিযোগিতায় নামেনি, বরং জনগণের বাস্তব চাহিদা ও পরিবর্তনের জন্য এই দল গঠিত হয়েছে।তিনি আরো বলেন, 'সংসদে জনগণের প্রকৃত প্রতিফলন থাকা উচিত। প্রতিটি শ্রেণির প্রতিনিধি সেই শ্রেণি থেকেই আসা প্রয়োজন।'রেহাম পাকিস্তানের বংশানুক্রমিক রাজনীতিরও তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, 'এখনকার সংসদে মাত্র পাঁচটি পরিবার আধিপত্য বিস্তার করে আছে। আমাদের দল কোনো প্রভাবশালীর আশীর্বাদ নিয়ে তৈরি হয়নি। কেউ চারটি আসন থেকে প্রার্থী হবে না। আমরা রাজনীতিকে ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য তৈরির হাতিয়ার বানাতে চাই না।'দলের ঘোষণা অনুযায়ী, ‘পাকিস্তান রিপাবলিক পার্টি’ সংবিধানিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এবং শিগগিরই দলের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।সংবাদ সম্মেলনের একদম শেষে রেহাম খান বলেন, 'আমি এসেছি, যেন সব দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদের জায়গা নিতে পারি।'ভোরের আকাশ/জাআ
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নতুন করে আরও কমপক্ষে ৬১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে দুজন ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে যে, অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বেড়েই যাচ্ছে। মঙ্গলবার উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে বলে বেশ কিছু চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে নিশ্চিত করেছে।দক্ষিণ গাজায় বিতর্কিত ইসরায়েলি এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফার উত্তরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে কমপক্ষে দুই নারী নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে।জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত মে মাসের শেষের দিকে যখন জিএইচএফ কাজ শুরু করে তখন থেকে গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে কমপক্ষে ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজার ১৬টি এলাকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশও জারি করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে জাবালিয়া। বিধ্বস্ত ওই শহরের বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে পালিয়ে যাচ্ছে।আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোকজন তাদের গাড়ি এবং গাধাকে ব্যবহার করে এলাকা খালি করছে। সবাই অজানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে; তারা জানে না কোথায় যাবে। যাতায়াতের জন্য জ্বালানি না থাকায় তাদের এক স্থান থেকে অন্যান্য যেতেও সমস্যাও হচ্ছে। তাই পরিস্থিতি খুবই বিশৃঙ্খল।ভোরের আকাশ/জাআ
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে ৫০ দিনের মধ্যে রাশিয়া চুক্তি করতে রাজি না হলে ‘খুবই মারাত্মক’ শুল্কের মুখে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৪ জুলাই) হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমরা সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপ করতে যাচ্ছি। যদি ৫০ দিনের মধ্যে কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে ব্যাপারটা খুবই সোজা- শুল্ক হবে ১০০%। আর সেটাই বাস্তবতা।রুটে নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর মাধ্যমে ইউক্রেনকে ব্যাপকভাবে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করবে এবং ইউরোপীয় দেশগুলো এই খরচ বহন করবে। ট্রাম্প বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে তাদের নিজস্ব প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেইসবের বদলে নতুন প্রতিস্থাপন পাঠাবে। রুটে জানান, এই চুক্তির আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যদিও ট্রাম্প বা রুটে সরাসরি কোন অস্ত্র পাঠানো হবে, তা বিস্তারিত বলেননি।এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তার কথা হয়েছে এবং তিনি ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ার ইচ্ছার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছি যাতে রুশ হামলা থেকে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এবং আমাদের অবস্থান আরো জোরালো হয়।ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে যদি শান্তিচুক্তি না হয়, তাহলে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’ আরোপ করা হবে। যেমন, যদি ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য আমদানির সময় ১০০ শতাংশ শুল্ক গুণতে হবে। যা পণ্যের দাম এতটাই বাড়িয়ে দেবে যে, মার্কিন ব্যবসায়ীরা অন্য দেশ থেকে কেনাকাটা করতে বাধ্য হবেন। এতে ভারতের আয় হ্রাস পাবে এবং রাশিয়ার অর্থনীতিও ধাক্কা খাবে। রাশিয়ার রপ্তানির ৬০ শতাংশ এবং রাজস্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই আসে তেল ও গ্যাস থেকে, তাই এই শুল্ক ব্যবস্থা মস্কোর অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিতে পারে। তবে ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর মস্কো স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক উর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রথম ঘোষণা। একইসঙ্গে পুতিনের প্রতি তার ভাষা আরো কঠোর হয়েছে। তবে ট্রাম্প এক পর্যায়ে ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনও আক্রমণের জন্য আংশিক দায়ী ছিল।পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অনেকবার কথা বলেছি, তবে কথা বলার পরপরই ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা হয়েছে। তখন বোঝা যায়, কথা অর্থহীন। তিনি বলেন, আমি তাকে (পুতিন) ঘাতক বলতে চাই না, তবে তিনি একজন কঠোর মানুষ। বহু বছর ধরে প্রমাণিত হয়েছে – তিনি ক্লিনটন, বুশ, ওবামা, বাইডেন – সবারই ভুল ধারণা দিয়েছেন। তবে আমাকে নয়।রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনার দুটি দফা এই বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে পরবর্তীতে আর কোনো আলোচনা হয়নি। মস্কো এর দায় চাপিয়েছে কিয়েভের ওপর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বর্তমানে কিয়েভে যুক্তরাষ্ট্রের দূত কিথ কেলগের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং তাকে ট্রাম্পের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মস্কোর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি, তবে মিশ্র প্রতিফলন দেখা গেছে রুশ রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়ায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ